Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

‘সন্তানের সামনে অভিভাবকের আচরণ খুব গুরুত্বপূর্ণ’

খন ছোট ছোট ছেলেরা অপরাধ করছে। ছবিতে আমরা সেটাই দেখিয়েছি। এই ছবির ভিলেন ২১ বছর বয়সি একটি ছেলে। কারও মুখ দেখে বোঝা যায় না, সে অপরাধী। এত কম বয়সি ছেলেদের মধ্যে কেন এই প্রবণতা তার নির্দিষ্ট কারণ ব্যাখ্যা করা মুশকিল।

রানি। ছবি: সুমন বল্লভ

রানি। ছবি: সুমন বল্লভ

দীপান্বিতা মুখোপাধ্যায় ঘোষ
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০১৯ ০০:৪১
Share: Save:

প্র: প্রথম ছবিতে নারী পাচারের মতো ঘটনা তুলে ধরেছিলেন। এ বারের বিষয় ধর্ষণ। এই ধরনের বিষয় বাছার নির্দিষ্ট কারণ আছে?

উ: ‘মর্দানী’ ফ্র্যাঞ্চাইজ়িতে আমরা এমন সব বিষয় অ্যাড্রেস করতে চাই, যেখানে দেখানো হচ্ছে, একজন মহিলা কী ভাবে মহিলাদের বিরুদ্ধে হওয়া অত্যাচারের প্রতিবাদ করে। এই ছবির মধ্য দিয়ে আমরা সচেতনতা বাড়াতে চাই।

প্র: ছবির ট্রেলার বলছে, ভারতে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত দু’হাজার জনের বয়স আঠেরোর মধ্যে। এই প্রবণতার কারণ কী?

উ: এখন ছোট ছোট ছেলেরা অপরাধ করছে। ছবিতে আমরা সেটাই দেখিয়েছি। এই ছবির ভিলেন ২১ বছর বয়সি একটি ছেলে। কারও মুখ দেখে বোঝা যায় না, সে অপরাধী। এত কম বয়সি ছেলেদের মধ্যে কেন এই প্রবণতা তার নির্দিষ্ট কারণ ব্যাখ্যা করা মুশকিল। অভিভাবকদের উপরে খুব বড় একটা দায়িত্ব বর্তায়। একজন মা তাঁর ছেলেকে কী শেখাচ্ছেন, পুরুষ অভিভাবক বাড়ির মেয়েদের সঙ্গে কেমন আচরণ করেন, সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। ছোট ছেলেটি হয়তো তা দেখেই অনেক কিছু শিখছে। সন্তানের সামনে বাবা-মা একে অপরকে রেসপেক্ট দিচ্ছে কি না, কেমন আচরণ করছে সেটাও জরুরি। অভিভাবকের আচরণের সাইকোলজিক্যাল প্রভাব পড়ে সন্তানের উপরে।

প্র: মহিলা হিসেবে এবং মা হিসেবে এই সামাজিক পরিস্থিতিতে ভয় করে?

উ: সব বাবা-মায়ের মনেই এই ভয়টা থাকে। সমাজ, পরিস্থিতি তো হঠাৎ করে বদলে যাবে না। আর অভিভাবকের পক্ষে সারাক্ষণ সন্তানকে পাহারা দেওয়া সম্ভব নয়। ছোটদের সচেতন করতে হবে। আমাদেরও সচেতন হতে হবে। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি বদলাবে... এটা আশা করতে পারি।

প্র: ‘মর্দানী টু’-এর জন্য আলাদা করে প্রস্তুতি নিয়েছেন?

উ: প্রথম ছবিতে আমি ক্রাইম ব্রাঞ্চ অফিসার ছিলাম। সাধারণ পোশাকে সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে যেতে পারতাম। অপরাধীর কাছে পরিচয় গোপন রাখা যেত। এই ছবিতে আমার প্রোমোশন হয়েছে (হাসি)। এখন আমি এসপি। উর্দি পরতে হয়। দায়িত্ব আলাদা হয়ে যায়। তাই কিছু নিয়মবিধি মানতে হয়েছে। তবে ইমোশনালি শিবানী শিবাজি রাও একই রকম আছে।

প্র: আপনি সোশ্যাল মিডিয়ায় নেই। এর পিছনে কোনও কারণ রয়েছে?

উ: একদম সচেতন সিদ্ধান্ত। কোনও তাগিদও অনুভব করি না।

প্র: ছবির প্রযোজক হিসেবে সামনে আসার ইচ্ছে আছে?

উ: আমি তো একজন প্রযোজককেই বিয়ে করেছি (হাসি)। তাই ফিল্ম প্রোডাকশনের সঙ্গে জড়িয়েও গিয়েছি। অ্যাক্টিভলি খুব বেশি জড়াই না। বরং সংসার, নিজের কেরিয়ারের পিছনে অনেক বেশি সময় দিই।

প্র: পরিচালনায় আসবেন?

উ: এখন প্ল্যান নেই। তবে ভবিষ্যতে করতেও পারি। এখনই কিছু বলতে পারছি না।

প্র: একটা সময়ে আপনার এবং কাজলের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথা শোনা যেত। কিন্তু এ বারের দুর্গা পুজোয় আপনাদের দু’জনের একসঙ্গে ছবি দেখে অনেকে অবাক হয়ে গিয়েছেন। সত্যিটা কী বলবেন?

উ: একদমই নয়। এ রকম কিছু কোনও দিনই ছিল না (হাসি)! আসলে এ বার আমাদের সকলের সময় ছিল। সাধারণত কাজল এক দিন আসত, আমি হয়তো অন্য দিনে। এ বার আমরা পুরো পরিবার একসঙ্গে হয়েছি। আমি তো প্রত্যেক দিনই গিয়েছি। দু’বছর আগে আমার বাবা মারা গিয়েছেন। তার পর পরিবারের সকলে আরও কাছাকাছি চলে আসি। পরিবারের একজন সদস্য চলে গেলে বাকিরা পরস্পরকে আঁকড়ে ধরে। আমাদের ক্ষেত্রে সেটাই হয়েছে।

প্র: কলকাতা থেকে বাড়ির জন্য কী নিয়ে যাচ্ছেন এ বার?

উ: রসগোল্লা আর সন্দেশ। এটা প্রতিবারই নিয়ে যাই (হাসি)।

প্র: মেয়ে আদিরাকে কলকাতার কোন জিনিসটার সঙ্গে পরিচয় করানোর ইচ্ছে আছে?

উ: ওর স্কুল আছে। তা ছাড়া এ বার আমি একদিনের জন্য এসেছি। ইচ্ছে আছে, তিন-চার দিনের জন্য ওকে নিয়ে এসে কলকাতার কিছু জায়গায় ঘোরাব। তবে একটু বড় হওয়ার পরে আনতে চাই। যাতে বুঝতে পারে, মনে থাকে।

অন্য বিষয়গুলি:

Rani Mukerji Mardaani 2 Interview
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy