অনুরাগ বসু।
প্র: মহারাষ্ট্রে কোভিড বেড়েই চলেছে...
উ: সব গাইডলাইন মেনে আমরা শুটিং করার চেষ্টা করেছি। তবুও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। কোভিড টেস্ট করাতে করাতে আমার নাকটাই চওড়া হয়ে গিয়েছে (খুব হেসে)।
প্র: ডান্স রিয়্যালিটি শো বিচার করা কতটা উপভোগ করেন?
উ: বাচ্চারা যখন মঞ্চে এসে পারফর্ম করে তখন ওরা জেতা-হারার তোয়াক্কা করে না। আর কী ট্যালেন্টেড সকলে! ওদের এই অ্যাটিটিউডটা আমার দারুণ লাগে। এখানেই ‘সুপার ডান্সার চ্যাপ্টার থ্রি’ অন্য মাত্রা পেয়েছে।
প্র: এত খুদে প্রতিযোগীর মধ্যে ভালমন্দ বেছে নেওয়া কতটা কঠিন?
উ: খুব কঠিন কাজ। আমিও একজন বাবা। তাই ওদের দেখলেই মন খুব নরম হয়ে যায়। ওরা নাচের মধ্যে যখন জিমন্যাস্টিকস, অ্যাক্রোব্যাটিক্স করে, তখন আমিই উল্টে ওদের বলি, অত কঠিন স্টেপস না করতে।
প্র: আপনার মেয়েদের পড়াশোনার বাইরে আর কোন কোন বিষয়ে উৎসাহ দেন?
উ: এই ব্যাপারে আমি পুরোপুরি টিপিক্যাল ভারতীয় বাবা। ওরা নাচ, গান সব শিখছে। কিন্তু তার সঙ্গে এটাও বলি যে, ভাল করে পড়াশোনা করাটাও খুব জরুরি। বাবা হিসেবে ওদের সামনে অনেক দরজা খুলে দিয়েছি। এর পর ওরা কোন দিকে যাবে, সেটা ওদের সিদ্ধান্ত।
প্র: মুম্বইয়ে সরস্বতী পুজোয় নাচতে দেখেছি আপনাকেও। কলকাতায় এ রকম কোনও ঘটনা আছে?
উ: আমি তো প্রবাসী বাঙালি, তাই কলকাতায় খুব বেশি থাকা হয়নি। তবে ছোটবেলায় দুর্গাপুজোর সময়ে অনেক মণ্ডপে ঘুরে ঘুরে ধুনুচি নাচের প্রতিযোগিতায় নাম দিতাম। একসঙ্গে পাঁচটা ধুনুচি নিয়েও নাচতে পারতাম। এ ছাড়া স্কুল-কলেজেও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নিতাম। আসলে নাচতে আমি বরাবরই ভালবাসি।
প্র: গত বছর আপনার পরিচালিত ছবি ‘লুডো’ ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেল। কী রকম সাড়া পেলেন?
উ: ওটিটি ফরম্যাট আমার কাছে একদম নতুন। তবে ভাল প্রতিক্রিয়া পেয়েছি। কিন্তু ব্যাপারটার সঙ্গে মানিয়ে নিতে সময় লেগেছে। আমি সিনেমা হলে গিয়ে দর্শকের প্রতিক্রিয়া দেখতে ভালবাসি। সেটা খুব মিস করেছি। আর সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনিতে মোটেই সক্রিয় নই। গত বছর একটু অ্যাক্টিভ হতে হয়েছিল ‘লুডো’র জন্য।
প্র: ‘লুডো টু’ কবে বানানোর পরিকল্পনা রয়েছে?
উ: এই মুহূর্তে তো নয়। আমি নিজেকে রিপিট করতে ভালবাসি না। ছবিটা বানাব, তবে একটু সময় নিয়ে।
প্র: আপনার ছবির জন্য দর্শককে অনেক অপেক্ষা করতে হয়। এতটা বিরতি নেন কেন?
উ: এই সিদ্ধান্তটা কিন্তু ভেবেচিন্তে নেওয়া। লম্বা একটা ফিল্মোগ্রাফি বানানো আমার জীবনের লক্ষ্য নয়। সেটার বাইরেও তো একটা জীবন আছে, তাই না? আমি এবং আমার স্ত্রী দু’জনে মিলে আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে, বাচ্চারা যখন বড় হবে, তখন আমরা ধীরেসুস্থে কাজ করব।
প্র: এ বার কি একটা বাংলা ছবি বানাবেন?
উ: এটা একটা বিরাট বড় চাপ (হেসে)। আমার প্রয়াত দিদাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম যে, একটা বাংলা ছবি বানাবই। খুব শিগগিরই প্ল্যান করব সেটার।
প্র: হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে বাঙালি পরিচালকদের ছড়াছড়ি। বাঙালি হিসেবে এটা নিয়ে গর্ব হয়?
উ: হ্যাঁ, এই বিষয়টা নিয়ে আমি খুব গর্বিত। বাঙালি পরিচালকেরা বর্ন স্টোরিটেলার। আর শুধু পরিচালক কেন, কত বাঙালি টেকনিশিয়ান এখানে কাজ করেন। আমার টিমেই তো ভর্তি বাঙালি। শুটিংয়ের সময়ে কথাবার্তাও বাংলায় হয়। আর আমি কিন্তু ভাবি বাংলায়। তার পর সেটা অন্য ভাষায় লিখি।
প্র: কিশোরকুমারের বায়োপিকটা শেষ পর্যন্ত বানাবেন তো?
উ: হ্যাঁ নিশ্চয়ই। অনেক দিন ধরে এটা নিয়েও কাজ চলছে। এ বার সেটা বাস্তবায়িত করার ইচ্ছে আছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy