Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
নতুন ছবি নিয়ে কথা বললেন তারা সুতারিয়া
Tara Sutaria

Tara Sutaria: ‘জীবনে কোন সময়ে, কাদের অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত, অতিমারি সেটা শিখিয়েছে আমাকে’

তিন বছর হয়ে গেল ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছি। তাই এখন আগের চেয়ে অনেকটাই সহজ হতে পারি ক্যামেরার সামনে।

তারা

তারা

শ্রাবন্তী চক্রবর্তী
মুম্বই শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২১ ০৬:৪৮
Share: Save:

প্র: মিলন লুথারিয়ার ছবি মানেই অ্যাকশন। ওঁর ছবিতে নায়িকাদের ভূমিকা গৌণ। ওঁর কাছ থেকে ছবির প্রস্তাব পাওয়ার সময়ে আপনার মনে কোনও দ্বিধা ছিল?

উ: ‘তড়প’-এ আমার ভূমিকা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। মূল তেলুগু ছবি ‘আরএক্স হান্ড্রেড’ যাঁরা দেখেছেন, তাঁরা আমার কথা বুঝতে পারবেন। অহনের এটা প্রথম ছবি। স্বাভাবিক ভাবেই এখানে অহনও নজর কাড়বে।

প্র: ছবির ট্রেলার মুক্তি পাওয়ার পরে আপনার আর অহনের রসায়ন বেশ প্রশংসা পেয়েছে। আপনারা দু’জনেই লাজুক স্বভাবের। অন্তরঙ্গ দৃশ্য শুটের সময়ে আপনাদের মধ্যে কে বিষয়টাকে সহজ করে তুলল?

উ: এটা সত্যি যে আমি বেশ লাজুক, তবে অহনের চেয়ে খানিকটা কম। তিন বছর হয়ে গেল ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছি। তাই এখন আগের চেয়ে অনেকটাই সহজ হতে পারি ক্যামেরার সামনে। শুট শুরু করার আগে আমাদের দু’জনকেই একসঙ্গে অনেক ওয়ার্কশপ করতে হয়েছে। সেটা ক্যামেরার সামনে খুব কাজেও দিয়েছিল। অহনের চোখ দুটো খুব সুন্দর। সেটা ক্যামেরায় ধরা হয়েছে সুন্দর ভাবে।

প্র: গত তিন বছরে অভিনেত্রী হিসেবে কতটা পরিণত হয়েছেন বলে মনে হয়?

উ: আমার মধ্যে যে এত ধৈর্য ছিল, সেটা সিনেমার জগতে কাজ করতে না এলে হয়তো বুঝতে পারতাম না। আমি যা যা ভাল পারি, সেগুলো আরও শেখার, ঘষামাজা করার অনেক সুযোগ পেয়েছি ছবি করতে এসে। আর এ সবই হয়তো আমাকে আগের চেয়ে কিছুটা পরিণত করে তুলেছে।

প্র: অভিনয়ের পাশাপাশি গানবাজনাও মন দিয়ে করেন। এই মুহূর্তে গান নিয়ে কিছু ভাবছেন?

উ: আমার আগামী ছবি ‘এক ভিলেন রিটার্নস’-এ আমি প্লেব্যাক করেছি। গানবাজনা আমার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটা অংশ। আমি বড়ই হয়েছি সাঙ্গীতিক পরিবেশে। তাই এখনও দিনের শুরু আর শেষটা গান দিয়েই হয়। আর বাদ্যযন্ত্রের মধ্যে পিয়ানো আমার খুবই পছন্দের।

প্র: সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনার ফলোয়ারের সংখ্যা অনেক। সেখানে নেতিবাচক কোনও মন্তব্য আপনাকে কতটা বিব্রত করে?

উ: আমি কিন্তু বেশির ভাগ সময়ে ভাল ভাল কমেন্টই পেয়ে থাকি (হাসি)! মাঝে মাঝে নেগেটিভ কমেন্টও আসে, যেগুলো পাত্তা দিই না একেবারেই। তবে মাঝে মাঝে নিজেকে নিয়ে হাসাটাও জরুরি।

প্র: অতিমারি আপনার মধ্যে কতটা বদল এনেছে?

উ: যে সময়টা কাজ করতাম না, নিজের পরিবার আর কাছের বন্ধুদের নিয়েই থাকতাম। লকডাউন চলাকালীন অনেকটা সময় পেয়েছিলাম বলে আরও বেশি করে বুঝতে পেরেছি, এঁরা সকলে আমার জীবনে ঠিক কতটা অপরিহার্য। তাই কাজের বাইরে এঁদের নিয়েই থাকি সারাক্ষণ। জীবনে কোন সময়ে, কাদের অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত, অতিমারি সেটা শিখিয়েছে আমাকে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy