প্রিয়মণি
প্র: ‘দ্য ফ্যামিলি ম্যান’-এ আপনার কাজ খুবই প্রশংসিত। কেমন লাগছে এত ভালবাসা পেয়ে?
উ: আমার বাড়ির সকলে খুব খুশি। বাবা আমাকে কল করে বলল, এ বার একটা ঘরোয়া পার্টি করতেই হবে। তবে আমার স্বামী এই মুহূর্তে আমেরিকায়। তাই আপাতত সেলিব্রেশন স্থগিত।
প্র: আপনার মতে, এই সিরিজ়ের সাফল্যের কারণ কী?
উ: এই সিরিজ়ে খুব সুন্দর ভাবে চরিত্র বিন্যাস করা হয়েছে এবং তার সঙ্গে নিখুঁত পরিচালনা। সেটাই এর সাফল্যের কারণ বলে মনে হয়। আমার কাছে যাঁদের মেসেজ এসেছে, তাঁরা সবাই একবারের বেশি সিজ়ন টু দেখে ফেলেছেন। শোয়ের প্রোমো দেখে আমিও খুব আশাবাদী ছিলাম, তবে এতটা ভালবাসা পাব, ভাবতে পারিনি।
প্র: সুচি চরিত্রটির অনুপ্রেরণা কারও কাছ থেকে নিয়েছেন?
উ: সোশ্যাল মিডিয়ায় আমাকে অনেকে মেসেজ করেছেন যে, তাঁদের সঙ্গে সুচির খুব মিল। আমার মা এবং পরিবারের অন্যান্যদের কাছ থেকে চরিত্রটির অনুপ্রেরণা পেয়েছি। তার সঙ্গে পরিচালক রাজ এবং ডিকে স্যরের গাইডেন্সও আমাকে অনেক সাহায্য করেছে।
প্র: সিজন থ্রি-এ কি আমরা জানতে পারব লোনাভলাতে অরবিন্দ এবং সুচির মধ্যে ঠিক কী হয়েছিল?
উ: (খুব হেসে) এই প্রশ্নটা কিন্তু ‘কাটাপ্পা নে বাহুবলী কো কিঁউ মারা’র মতোই জনপ্রিয় প্রশ্ন! তবে আমার কাছেও এর উত্তর নেই। সিজন থ্রি-র শুটিং শুরু হলে জানতে পারব।
প্র: এ বার কি আপনাকে ওয়েব সিরিজ়ে আরও বেশি দেখা যাবে?
উ: ১৮ বছর বয়স থেকে ফিল্মে অভিনয় করছি। সিনেমায় অভিনয় করা কোনও দিন ছাড়ব না। তবে ভাল ওয়েব সিরিজ়ে কাজ করতে সব সময়ে রাজি।
প্র: এই কঠিন সময়ে নিজেকে আশাবাদী রাখেন কী করে?
উ: পরিবার এবং প্রিয় বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাতে আমার খুব ভাল লাগে। এখন আমি বেঙ্গালুরুতে রয়েছি। এখানে ধীর ধীরে লকডাউন উঠছে। আমার হাতে তিন-চারটে প্রজেক্ট রয়েছে, যেগুলোর কাজ শুরু করব। আমরা আর্টিস্টরা ঝুঁকি সত্ত্বেও ডাবল প্রোটেকশন নিয়ে কাজ করছি, দর্শকের বিনোদনের জন্য। কাজও আমাকে পজ়িটিভ থাকতে সাহায্য করে।
প্র: কলকাতায় এসেছেন কখনও?
উ: বছর পাঁচেক আগে স্বামীর সঙ্গে ওর একটা ইভেন্টের কাজে কলকাতায় গিয়েছিলাম। হাওড়া ব্রিজ, ইডেন গার্ডেনস দেখেছিলাম। খুব ভাল রেস্তরাঁয় ডিনার করেছিলাম, যদিও নাম মনে নেই। আর প্রাণ ভরে মিষ্টি খেয়েছিলাম। বাংলা আর মলয়ালম ছবির মধ্যে আমি অনেক মিল পাই। কোনও দিন সুযোগ পেলে নিশ্চয়ই বাংলা ছবিতে অভিনয় করব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy