রজত। ছবি: স্বপ্নিল সরকার
প্র: বছর দশেক পরে ফের বাংলায় কাজ করলেন...
উ: হ্যাঁ... ‘ইতি মৃণালিনী’ করেছিলাম ২০১০ সালে। তার আগে ‘অনুরণন’ করেছিলাম। তবে এই প্রথম কোনও বাংলা ওয়েব সিরিজ়ে কাজ করলাম।
প্র: সিরিজ়ে আপনার চরিত্র কতটা ইন্টারেস্টিং?
উ: এখানে আমি একজন লেখক, যে নিজেকে হারিয়ে ফেলছে ধীরে ধীরে। ‘শব্দজব্দ’র স্ক্রিপ্টটা গোড়াতেই বেশ মনে ধরেছিল। তবে শেষ পর্যন্ত কী রকম দাঁড়াবে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত ছিলাম না প্রথমে। তবে খানিকটা ঝুঁকি তো নিতেই হয়। এ ক্ষেত্রে সেই ঝুঁকিটা নিয়ে আই ওয়জ় হ্যাপিলি সারপ্রাইজ়ড। যা ভেবেছিলাম, তার চেয়ে অনেক অনেক ভাল কাজ করেছে সৌরভ (চক্রবর্তী) আর ওর টিম। পায়েল অনস্ক্রিন দুর্দান্ত। মুমতাজ়, সুব্রতর মতো কো-স্টাররাও খুব ভাল কাজ করেছেন।
প্র: আপনি তো থিয়েটারের সূত্রেও প্রায়ই কলকাতায় আসেন। হিন্দি বা ইংরেজি থিয়েটার নিয়ে এখানকার দর্শকের মধ্যে কতটা আগ্রহ আপনার চোখে পড়েছে?
উ: আগ্রহ তো কম দেখি না। তবে বিভিন্ন ধরনের দর্শক চোখে পড়ে। জি ডি বিড়লা সভাগারে পারফর্ম করলে মনে হয়, অন্য কোনও শহরে এসে পড়েছি, কলকাতা নয়। আবার কলামন্দিরের দর্শকের কাছ থেকে একেবারে অন্য রকমের রেসপন্স পাই। ভাল-খারাপ বলছি না, তবে একটা স্পষ্ট পার্থক্য বুঝতে পারি। এটা মুম্বইয়েও রয়েছে। পৃথ্বী থিয়েটারে যে ধরনের দর্শক আসেন, অন্য থিয়েটারে তা নয়। তবে কলকাতা বরাবরই থিয়েটারের কদর করে। শুধু কলকাতা বা মুম্বই নয়, ছোট শহরগুলোতেও কিন্তু থিয়েটার ভীষণ ভাবে জনপ্রিয়।
প্র: জনপ্রিয় হলেও আর্থিক দিক থেকে আঞ্চলিক থিয়েটার পাল্লা দিতে পারছে কি?
উ: হিন্দি থিয়েটারে কিন্তু সেই সময় অনেক দিন আগেই এসে গিয়েছে, যেখানে শুধু থিয়েটার করে সংসার চালাতে পারেন শিল্পীরা। এখন দর্শক এন্টারটেনমেন্টের পিছনে আগের চেয়ে বেশি খরচ করেন বলেই মনে হয় আমার। সব ক্ষেত্রেই। না হলে লোকে হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কেটে স্ট্যান্ড-আপ কমেডি শো দেখতে যায় কী করে? হাজার টাকা কিন্তু কম টাকা নয়। দশ বছর আগে স্ট্যান্ড-আপ কমেডি কোথায় ছিল?
প্র: আপনি একজন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিচালকও বটে। অথচ বক্স অফিস না থাকায় আপনাকেও ছবি রিলিজ়ের জন্য ক্রাউড ফান্ডিংয়ের শরণাপন্ন হতে হয়। এটা কতটা হতাশার?
উ: দেখুন, রাগ করলে কিংবা হতাশ হলে তো সময় নষ্ট ছাড়া আর কিছু হবে না। তার চেয়ে নিজের মতো করে চেষ্টা করে যাওয়াই ভাল। যেমন ‘কড়ক’ এবং ‘আরকে/ আর কে’ তৈরি করে ফেলেছি। এ বার রিলিজ়ের চেষ্টায়। সিনেমায় টাকাপয়সাটা আমার কাছে বরাবরই গৌণ। তার চেয়ে ভাল ছবি তৈরি করা এবং দেখাটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আর এখন অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলো জনপ্রিয় হওয়ায় প্রচুর ছবি যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে।
‘আঁখো দেখি’ হলে গিয়ে ক’জন দেখেছেন বলুন? ওটিটি প্ল্যাটফর্মে তার চেয়ে অনেক বেশি মানুষ দেখছেন।
প্র: আপনি বলিউডে ছবি করা কমিয়ে দিয়েছেন কেন?
উ: বছরে একটা-দুটো করে ছবি করি তো। ভাল অফার আসা বা না আসাটা আমার হাতে নেই। আর ছবি বানানো এবং তা রিলিজ়ের চেষ্টাতেও অনেকটাই ব্যস্ত থাকতে হয় এখন।
প্র: #মিটু-র আঁচ আপনার গায়েও লেগেছিল। তার প্রভাব কি কাজে পড়েছে?
উ: এ ব্যাপারে আর কথা বলতে চাই না। আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাক্টিভ ছিলাম। এখন তা-ও নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy