আমির
প্র: পরবর্তী ছবি কবে শুরু করছেন?
উ: পয়লা ফেব্রুয়ারি থেকে আবার জিমে মন দেব। এখন অনেকটা ওজন বাড়িয়ে ফেলেছি। শুটিং নেই, শুধু খাচ্ছি আর এনজয় করছি। তবে এক মাসের মধ্যে জানিয়ে দেব, কোন ছবির কাজ শুরু করব। অনেক দিন পরে আমি চারটে ছবির প্রস্তাব একসঙ্গে পেয়েছি। প্রত্যেকটা চিত্রনাট্যই খুব ভাল। প্রযোজনায় থাকবই। কিন্তু পরিচালনায় নয়। এখন চুল এবং দাড়িটা বাড়াচ্ছি। খুব তাড়াতাড়ি ওজন কমানোর প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।
প্র: মহাভারত না ‘সারে জাহাঁ সে অচ্ছা’ কোনটা আগে করবেন?
উ: (হেসে) মহাভারতের কথা আপনারাই (মিডিয়া) প্রথমে বলেছিলেন। আমি কোনও দিন মন্তব্য করিনি। ‘সারে জাহাঁ সে অচ্ছা’ শাহরুখ যে করছে না, সেটা আমি এখনই জানতে পারলাম। আগে শাহরুখ ঘোষণা করুক যে, ও করছে না। আমি যতক্ষণ না ছবি সম্পর্কে পুরো তথ্য পাই, ততক্ষণ পর্যন্ত ছবি নিয়ে মন্তব্য করি না।
প্র: ছেলে জুনেইদকে নাকি আপনি খুব শিগগিরই লঞ্চ করবেন?
উ: ওর কাজ আমি দেখেছি। ভাল অভিনয় করে। ওর জন্য একটা ভাল স্ক্রিপ্ট খুঁজছি। তবে ওকে বাকিদের মতোই স্ক্রিনটেস্ট দিতে হবে। আমেরিকান অ্যাকাডেমি অব পারফর্মিং আর্টস-এ দু’বছরের ট্রেনিং নিয়েছে জুনেইদ। গত তিন বছর ধরে থিয়েটার করছে। আমি চাই, জুনেইদ ওর প্রথম ছবিতে একটা ভাল চরিত্র করুক। হিরো না হয়ে ওর চরিত্র দিয়ে পরিচিতি পাক। দর্শক কিন্তু আমার অভিনীত চরিত্র দিয়েই আমাকে চেনেন।
প্র: আপনার প্রযোজনায় ‘রুবারু রোশনি’ নামে একটি তথ্যচিত্র পরিচালনা করেছেন স্বাতী চক্রবর্তী ভাটকল। ওটা দেখতে দেখতে আপনি খুব কেঁদেছেন। বাস্তবেও আপনি আবেগপ্রবণ?
উ: এক বার ফ্লাইটে আমি সানিয়া, ফ্যাটি (ফতিমা সানা শেখ) কোথাও একটা যাচ্ছিলাম। আর সে দিন ‘দঙ্গল’-এর ট্রেলার রিলিজ় হয়েছিল। আমি আর সানিয়া দু’জনে কাঁদতে শুরু করে দিয়েছিলাম। আমাদের দেখে ফ্যাটি খুব অবাক হয়ে গিয়েছিল! আমার ছেলে-মেয়েও জানে যে, আমি খুব ইমোশনাল।
প্র: সম্প্রতি আপনি জৈন ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছেন, এটা সত্যি?
উ: জৈন ধর্মে এমন অনেক কিছু আছে, যা আমার খুব ভাল লাগে। ক্ষমা করে দেওয়ার প্রবৃত্তি, অহিংসা, অন্যের মতামতকে সম্মান করা... এই ভাবনাগুলো ভাল লাগে।
প্র: কারও বিরুদ্ধে মনে রাগ আছে?
উ: আগে আমি ভীষণ কঠোর ছিলাম। কাউকে সহজে ক্ষমা করতাম না। আম্মি এক দিন আমাকে বলেছিলেন, ‘মনের মধ্যে নেগেটিভ জিনিস ধরে রেখো না। ক্ষমা করতে শেখো।’ জুহির (চাওলা) সঙ্গে আমার এক বার একটা খুব ছোট বিষয়ে ঝগড়া হয়েছিল। জুহির সঙ্গে কথা বন্ধ করে দিয়েছিলাম। ছ’বছর একে অপরের সঙ্গে কথা বলিনি। তার পরে আমার আর রিনার যখন বিবাহবিচ্ছেদ হয়, তখন জুহি খবর পেয়ে আমাকে ফোন করেছিল। সেই সময়ে আমি কারও সঙ্গে কথা বলতাম না। জুহি হয়তো জানত যে, আমি ফোন ধরব না। তবুও আমাকে কল করেছিল। জুহি আমার আর রিনার খুব ভাল বন্ধু ছিল। চেয়েছিল, যাতে আমাদের ডিভোর্স না হয়। এই ঘটনা আমাকে নাড়া দিয়েছিল। বুঝেছিলাম, জুহি আমার প্রকৃত বন্ধু।
প্র: জুহিকে ক্ষমা করে দিলেন। বিজয়কৃষ্ণ আচার্যকে (‘ঠগস অব হিন্দোস্তান’-এর পরিচালক) কোনও দিন ক্ষমা করতে পারবেন?
উ: আমার ওকে ক্ষমা করার কোনও দরকার নেই। আমি যখন যে পরিচালকের সঙ্গে কাজ করেছি, তাঁর টিমের সদস্য হয়ে গিয়েছি। আমার ছবি ফ্লপ করলেও আমি পরিচালককেই সমর্থন করব। পরিচালক ভুল হলে আমিও ভুল। পুরো দায়িত্ব নিতে চাই, কারণ দর্শক আমার নাম দেখে থিয়েটারে এসেছিলেন। এ ছাড়া অনেক দিন ধরে আমার কোনও ছবি ফ্লপ হয়নি (হেসে)। তাই দর্শক মন ভরে নিজেদের অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। আমার মতে, ব্যর্থতা কাটিয়ে ওঠার একটাই পথ, ভাল ছবি করা। যেটা এ বার আমি করব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy