(বাঁ দিকে) অর্ণ মুখোপাধ্যায়। অনির্বাণ ভট্টাচার্য (ডান দিকে) । গ্রাফিক : সনৎ সিংহ।
ছবির নাম ‘অথৈ’। শেক্সপিয়রের ‘ওথেলো’ নাটক থেকে অনুপ্রাণিত এই ছবিটি। এর আগে বলিউডে ওথেলো থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে যে হিন্দি ছবি হয়েছে, সেটি বিশাল ভরদ্বাজ পরিচালিত ‘ওমকারা’। এ বার বাংলায় সেই ছবিতেই মুখ্যচরিত্রে রয়েছেন অর্ণ, অনির্বাণ ভট্টাচার্য ও সোহিনী সরকার।
ওথেলোর চরিত্রে অর্ণ, দেসদিমোনার চরিত্রে সোহিনী ও ইয়াগোর চরিত্রে অনির্বাণ। এর আগে সোহিনী-অনির্বাণ জুটিকে দেখছেন দর্শক। এই ছবিতে সোহিনী-অর্ণ স্বামী-স্ত্রী। ধূসর চরিত্রে অনির্বাণ। ছবি থেকে সমাজের অবক্ষয় ছুঁয়ে বাংলা সিনেমার ব্যবসায়িক সাফল্য নিয়ে আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে আলাপচারিতায় অর্ণ-অনির্বাণ।
প্রশ্ন: মঞ্চে অথৈ ও গোগো জুটি সফল। এ বার বড় পর্দায় আসছে তার চিত্ররূপ। মাঝের গল্পটি কী?
অর্ণ: হ্যাঁ, ‘অথৈ’ নাটক হিসাবে খুব জনপ্রিয়তা পায়। তার পর এ বারে চলচ্চিত্র। মাঝের ব্যাপারটি হল, এ নিয়ে পরিকল্পনা লকডাউনের সময়। আমি সিনেমার জন্য চিত্রনাট্য লেখাটা একটু প্র্যাকটিস করছিলাম। তখন প্রথমেই এই নাটকটা নিয়ে চিত্রনাট্য লিখতে শুরু করি। তার পর অনির্বাণের সঙ্গে একেবারেই আড্ডার ছলে এটা নিয়ে কথা বলি। আমি গোটাটাই হালকা ভাবে বললেও অনির্বাণ ভীষণ গুরুত্ব দেয় বিষয়টিতে। তখন ওই-ই আমাকে এসভিএফ-এ নিয়ে যায়। তার পর ধীরে ধীরে কাজ শুরু হয়। এই ছবির সঙ্গে যুক্ত হয় অনির্বাণ। ছবির সৃজনশীল পরিচালক হয় ও। ছবির খুঁটিনাটি থেকে প্রচারে কেমন কী হবে, সেটাও দেখছে এখন।
প্রশ্ন: দুই বন্ধু। একজন ছবির পরিচালক। অন্য জন সৃজনশীল পরিচালক। কাজ করতে গিয়ে মতবিরোধ হয় না?
অনির্বাণ: হ্যাঁ, মতবিরোধ তো হবেই। হয়েছেও। তবে আমরা একে অপরের কাজের ধরনটা জানি। এই ছবিতে দু’জনেই বিরাট বড় দু’টি চরিত্র করছি। অর্ণদা ওথেলোর (ছবিতে অথৈ) চরিত্রে ও আমি ইয়াগোর (ছবিতে গোগো) চরিত্রে। আমরা আগে বাড়িতে বসে গোটা ছবিটা বানিয়ে তার পর শুটিংয়ে যাই। ফ্লোরে যাওয়ার আগে অর্ণদা যে চিত্রনাট্যটা লিখেছিল, সেটা নিয়ে ছবির সহকারী পরিচালক থেকে চিত্রগাহক সমীক হালদার, সকলের সঙ্গে বসি। পুরো শট ডিভিশনগুলি ঠিক করে নিই। প্রস্তুতিটা আগে থেকেই নিয়েছিলাম, যাতে শুটিংয়ে গিয়ে বিপদে না পড়ি! কারণ, আমাদের দু’জনকেই বেশির ভাগ সময় ক্যামেরার সামনে থাকতে হবে বা হয়েছে। কে কখন ক্যামেরার সামনে থাকবে, কখন মনিটরের কাছে থাকবে, এটা অবধি ঠিক করে নিই। পুরো ব্যাপারটা একটা ‘টিম’ পরিচালনার মতো। আমার জীবনে এ রকম একটা কাজ প্রথম অভিজ্ঞতা বলতে পারেন। আসলে এত বড় একটা চরিত্র, পাশপাশি ক্যামেরার পিছনের দায়িত্ব, সব মিলিয়ে। আমার মনে হয় অর্ণদার জীবনেও এমন অভিজ্ঞতা প্রথম। এ প্রসঙ্গে বলি, আমাদের মতের মিল ও অমিল গোটাটাই বাড়িতে হয়ে গিয়েছিল, ফ্লোরে আমরা জানতাম, কী হতে চলেছে।
প্রশ্ন: উইলিয়াম শেক্সপিয়রের নাটক মঞ্চস্থ করা, আর তার পর সেটা সিনেমায় নিয়ে যাওয়া, কোন কোন বিষয়গুলির অদল-বদল প্রয়োজন হয়েছিল?
অর্ণ: দেখুন, থিয়েটার তার গতিতে চলে। যখন সেটি সিনেমায় রূপান্তরিত হয়, তখন তা সম্পূর্ণ আলাদা হয়। মঞ্চে যাঁরা নাটকটি দেখছেন, তাঁরা বুঝতে পারবেন, মঞ্চের ‘অথৈ’-এর সঙ্গে সিনেমার চিত্রনাট্যেরও কোনও মিল নেই।
প্রশ্ন: চারশো বছর আগের লেখা একটি নাটক, সেটি এখনও সমকালীন, সমাজ কি একটুও পাল্টাল না?
অনির্বাণ: কী জানি! চারশো বছর আগে কী যে উনি লিখে গিয়েছিলেন! পরতে পরতে মিলে যায় এখনও। ‘অথৈ’ ২০১৬ সালে প্রথম বার মঞ্চস্থ করা হয়। তার পর ৭ বছর ধরে দর্শক এই নাটকটার সঙ্গে জুড়ে থেকেছেন। তাঁরা দেখেছেন, কেঁদেছেন, উত্তেজিত হয়েছেন, উন্মাদনা তৈরি করেছেন। আমার মনে হয় মানুষের মনের গহিন- গভীর জায়গা থেকে গল্পগুলিকে তিনি তুলে এনেছেন। মনে হয়, আরও চারশো বছর পরও একই রকম প্রাসঙ্গিক থাকবে এই রচনা। শেক্সপিয়রের সমাজ ও এখনকার সমাজ বদলে গিয়েছে, তবে মানুষের মনের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব বা রাজনীতি, তার বদল ঘটেনি। সেই কারণেই রচনাটি কালজয়ী।
প্রশ্ন: এই ধরনের নাটকে অদল-বদল করতে গেলে কি বাড়তি সাবধানি হওয়ার প্রয়োজন?
অর্ণ: ২০১৫ সালে যখন নাটকটি মঞ্চস্থ করার জন্য লেখা শুরু করি, আমরা তখন দু’জনেই নাটকের ছাত্র। যখন মঞ্চস্থ করি, সেই সময় যে নাটকটি নিয়ে একেবারেই ভয় ছিল না, বললে মিথ্যে বলা হবে। ইংরেজির যাঁরা অধ্যাপক, গবেষক ‘রে রে’ করে তেড়ে আসবেন, এমন আশঙ্কা ছিল। নাটকটি মঞ্চস্থ হওয়ার পর শেক্সপিয়র-বিশেষজ্ঞ যাঁরা, তাঁরা ফেসবুকে লিখেওছিলেন। তবে নির্মাতা হিসাবে খুব যে সাবধানতা নিয়েছি এমনটা নয়, শিল্প করতে গেলে সেটা হয় না। একটা ভয় ছিল, শেক্সপিয়র নিয়ে নাটক করতে যাচ্ছি, লোকজন তো গালাগাল দেবে। এখন তো আমরা একটা ‘বিশেষজ্ঞ ভর্তি’ সমাজে বাস করি, তাই না? যাক, সে অবশ্য অন্য তর্ক…
অনির্বাণ: শেক্সপিয়র বেঁচে থাকলে খুব দুঃখ পেতেন না। আমার মনে হয়, শিল্প সব সময় তর্কের পরিবেশ তৈরি করে। কিন্তু আমাদের এখানে তর্কের যা চেহারা, তা বড় বিশ্রী, কটু জায়গা তৈরি করে। শিল্প যে সমাজে তর্ক সৃষ্টি করে, সেটি কিন্তু ইতিবাচক।
প্রশ্ন: অথৈ নাটকে ‘দেসদিমোনা’র চরিত্রটি দুই অভিনেত্রীর হাত ঘুরে সোহিনীর (সরকার) কাছে আসে, সিনেমার ক্ষেত্রে সোহিনীর বদলে কাউকে ভেবেছিলেন?
অর্ণ: না, দ্বিতীয় কোনও চিন্তা-ভাবনার জায়গা ছিল না।
প্রশ্ন: গোগো-র চরিত্রটি ধূসর, অনেকে নাকি তার সঙ্গে জোকারের সঙ্গে মিল পান, আপনি কি তাতে সহমত?
অনির্বাণ: আমি জোকারের চরিত্র থেকে অনুপ্রেরণা নিয়েছি। ‘দ্য ডার্ক নাইট’-এর জোকারের থেকে অনুপ্রাণিত নাটকের গোগো চরিত্রটি। তবে সিনেমায় তা নেই।
প্রশ্ন: খলনায়কের চরিত্রে অনির্বাণের জনপ্রিয়তা গড়ে ওঠে ‘অথৈ’-এর মাধ্যমেই! সহমত আপনি?
অনির্বাণ: বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছি। আমি এর আগেও শেক্সপিয়রের খলনায়ক এডমন্ড-এর চরিত্রে অভিনয় করেছি। তবে অর্ণদা যখন ইয়াগো চরিত্রটির পুনর্নির্মাণ করল, তার ভাষা এত আকর্ষক, এত কথ্য ভাষার কাছাকাছি ছিল যে, দর্শক খুব সহজে একাত্ম হতে পেরেছিল। সিনেমা ও থিয়েটারের ক্ষেত্রে খলচরিত্রের প্রতি বিমুগ্ধ হয়ে পড়ার একটি রীতি সমাজে দেখা যায়। আসলে আমরা ‘ডার্ক’ ভালবাসি। সাধারণ মানুষ তো খুব বেশি শয়তানি করতে পারে না, আর একটি শয়তানের মধ্যে দিয়ে সেই ‘সুখ’ খোঁজে।
প্রশ্ন: এই নাটকটা নিয়ে দর্শকের এক ধরনের উন্মাদনা রয়েছে, সেটি এ বার সিনেমা হচ্ছে। কিন্তু মঞ্চে আবার কবে?
অর্ণ: অদূর ভবিষ্যতে এই নাটকটির মঞ্চস্থ হওয়ার সম্ভবনা নেই বললেই চলে। আসলে ৭ বছর ধরে নাটকটি চলেছে। এই নাটকদের শেষ শো ছিল ২০২৩-এর এপ্রিল মাসে। তার আগে থেকেই কতগুলি শো করতে গিয়ে বুঝেছি, যে লক্ষ্য নিয়ে নাটকটি শুরু হয়েছিল, তার প্রস্থান ঘটেছে। অভিনেতা-অভিনেত্রীদের এবং দর্শক উভয় ক্ষেত্রেই সেটি ঘটেছে। নির্দেশক বা অভিনেতা হিসাবে সেই আনন্দটা আর পাচ্ছি না।
প্রশ্ন: বিশাল ভরদ্বাজ-এর ‘ওমকারা’ ছবির গান, অভিনয়, শিল্প গুণে প্রশংসিত! তুলনা টানার আশঙ্কা থাকে বলে মনে হয়?
অর্ণ: বিশাল ভরদ্বাজ খুব সফল ভাবে শেক্সপিয়রকে নিয়ে কাজ করেছেন। গল্পগুলিকে নিজের মাটির সঙ্গে জুড়ে দিতে পেরেছেন। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই তুলনা আসতে পারে। কিন্তু আমাদের ‘অথৈ’ ছবির চিত্রনাট্যে ‘ওমকারা’র কোনও প্রভাব নেই।
প্রশ্ন: বাংলা সিনেমা মানেই স্বর্ণযুগ কিংবা ‘ক্লাসিক’! এর মধ্যেই কি আটকে রয়েছেন দর্শক? এই ব্যাপারে পরিচালকদের কোনও সীমাবদ্ধতা কাজ করছে কি?
অনির্বাণ: এখন সবাই বিজ্ঞ। সমাজমাধ্যমে ‘কমেন্ট’ করে। এ সব ‘কমেন্ট’ পড়ে কিছু বোঝা যায় না। দর্শকের সঙ্গে কথা বলে বুঝতে হবে। দর্শক কী দেখছেন এবং কোনটা দেখছেন না। সেটি ঘরে বসে বোঝা সম্ভব নয়। একটা বড় অংশের দর্শক কিন্তু সিনেমার আলোচনার বাইরেই থেকে যান।
অর্ণ: আমার মনে হয় যাঁরা বাংলা সিনেমার বিবর্তন নিয়ে খুব চিন্তিত, তাঁরা সত্যজিৎ রায়, ঋত্বিক ঘটকের সব ছবি আদৌ দেখেছেন তো! আমি যেমন নিজের কাজকে সন্দেহ করি, তেমনই তাঁদের দেখাকেও সন্দেহ করি।
প্রশ্ন: ছবি যেমন শিল্প, ততটাই গুরুদায়িত্ব থাকে প্রযোজকের হাতে টাকা তুলে দেওয়া! ব্যবসায়িক সাফল্য নিয়ে আপনারা কতটা ভাবিত?
অর্ণ: থিয়েটার করার সময় তো ব্যবসায়িক সাফল্য নিয়ে ভাবিনি। কিন্তু এই মাধ্যমটা আলাদা। একটি প্রযোজনা সংস্থার লক্ষ্মীলাভ তাতে জড়িয়ে।
অনির্বাণ: হ্যাঁ, ব্যবসায়িক সাফল্য নিয়ে ভাবিত তো বটেই (মৃদু হাসি)। লক্ষ্মীলাভের কথা ভেবে যেগুলি করা উচিত, সেগুলি করেছি আমরা। কিন্তু তার পর কী হবে, জানি না।
প্রশ্ন: অনির্বাণ, আপনি বাংলার প্রতিষ্ঠিত নায়ক, হিন্দি ছবিতেও কাজ করেছেন! ফারাকটা কোথায়?
অনির্বাণ: একটি মাত্র হিন্দি ছবিতে কাজ করে ইন্ডাস্ট্রি বোঝা যায় না। তবে ফারাক হচ্ছে, ওখানে পয়সা বেশি ও অনেকটা সময় নিয়ে কাজ হয়।
প্রশ্ন: বাংলার পরিচালকদের মাপা সময়ে কাজ করতে হয়, তার ছাপ পড়ে কাজে! যুক্তিটা গ্রহণযোগ্য?
অনিবার্ণ: এর পিছনে যুক্তি নয়, বরং রয়েছে হিসাব। আমাদের এখানে বাজেট কম, তাই সময় কম। আমাদের অর্থ কম, তাই সেই বুঝেই শুটিং করতে হয়। আমার মনে হয়, ফ্লোরে যাওয়ার আগে প্রস্তুতিটা ভাল ভাবে করে নিলে, ফারাকের দূরত্বটা কমানো যায়। আমি যে ভৌগোলিক জায়গায় জন্মেছি এবং যে ভাষায় শিক্ষা পেয়েছি, সেই ভাষায় সংস্কৃতি চর্চা করতে এসেছি। সেটি নিয়েই তো চলতে হবে!
অর্ণ: এখানে পরিচালক হতে গেলে তাঁর প্রাক্-শর্ত হিসাবে অনিবার্ণ যেটা বলল, সে কথা মাথায় রেখে পরিচালনায় আসা উচিত। যে কোনও পরিস্থিতির সঙ্গে অভিযোজন ঘটাতে পারলেই টিকে থাকা যায়। নয় তো, নয়।
প্রশ্ন: পরিচালক অনির্বাণের থেকে প্রথম ছবির জন্য কোনও টিপ্স পেয়েছেন, অর্ণ?
অর্ণ: প্রচুর টিপ্স দিয়েছে ও। একসঙ্গে কাজ করতে করতে অনেক কিছু শিখেছি ওর কাছ থেকে। অনির্বাণ যখন অভিনয় করে, শুধুই যে অভিনয় করে তেমনটা নয়। ছবি নির্মাণের সব ক’টি দিক ও ব্লটিং পেপারের মতো শুষে নিতে পারে। ও সিনেমাটা বোঝে।
প্রশ্ন: দু’জনেই রবীন্দ্রভারতীর প্রাক্তনী, সেখান থেকেই কি শুরু বন্ধুত্বের?
অনির্বাণ: অর্ণদা আমার থেকে সিনিয়র। তবে বন্ধুত্বটা হয় ‘অথৈ’ করতে গিয়েই। তার আগে ‘ট্রয়’ করেছিলাম একসঙ্গে। সম্পর্কটা সহজ হয় ২০১৬ সাল থেকে। শুধু অর্ণদা নয়, ওদের নাট্যদল ‘নটধা’র সঙ্গেও সখ্য গড়ে ওঠে। একটা নাটক মানে, শুধু ‘ব্যক্তি’ নয়, একটা গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করে।
প্রশ্ন: সাম্প্রতিক সময় অনির্বাণকে ‘বুদ্ধিজীবীদের’ তালিকাভুক্ত করা হয়েছে, এই ধারণা কোথা থেকে প্রতিষ্ঠিত হল?
অনির্বাণ: এ সব নিয়ে আমি মাথা ঘামাই না। অনেক কাজ করার আছে আসলে। সব বিষয়ে মতামত দেওয়ার তো প্রয়োজন নেই।
প্রশ্ন: অনির্বাণ কি ‘নীতিপুলিশদের’ নজরে পড়ে গিয়েছেন?
অনির্বাণ:আমাদের শরীরে ভাল ব্যাক্টেরিয়া থাকে, বাজে ব্যাক্টেরিয়াও থাকে। সমাজেও তেমন আছে। আমি মনে করি, আমরা যে কাজ করি, তার মধ্যে ভাল দর্শক কিন্তু বেশি, আর বাজে লোকেদের আওয়াজটা বড্ড বেশি। সেটাই সমাজে ছেয়ে আছে। আসলে এই সমাজটা আমরা নিজেরাই তৈরি করেছি, তাই অভিযোগ করে লাভ নেই। যাঁরা নিরন্তর খুঁত ধরতে ব্যস্ত, আমার মনে হয়, তাঁরা খানিকটা ‘শকুন’ প্রজাতির। শকুনের মৃত্যু কখনও থামানো যাবে না। ইতিমধ্যেই সমাজের একটা বীভৎস চালচিত্র তৈরি হয়ে গিয়েছে। ১০ বছর বাদে এটি যে চেহারা ধারণ করবে, মনে হয় তাতে ‘আয়না’ও লজ্জা পাবে!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy