এই পুজোয় কোন ছবির পাল্লা ভারী?
৩০ সেপ্টেম্বর মুক্তি পেতে চলেছে এক গুচ্ছ ছবি। এক দিকে রয়েছে হৃতিক রোশন, সইফ আলি খানের ছবি ‘বিক্রম বেদা’। অন্য দিকে মুক্তি পাচ্ছে চারটি বাংলা ছবি— ‘কাছের মানুষ’, ‘কর্ণসুবর্ণের গুপ্তধন’, ‘বৌদি ক্যান্টিন’, ‘মিশন এভারেস্ট’। প্রতিটি ছবিতেই আছে ইন্ডাস্ট্রির বড় নাম। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, দেব, আবীর চট্টোপাধ্যায়, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়-সহ আরও অনেকে। তবে কি এই পুজোয় হৃতিক-সইফের সঙ্গে টক্কর দিতে চলেছেন দেব, আবীর, প্রসেনজিতরা? প্রাক্ পুজোর মরসুমে কী বলছেন সিনেমা হলের মালিকেরা? খোঁজ নিল আনন্দবাজার অনলাইন।
অরিজিৎ দত্ত, প্রিয়া সিনেমার কর্ণধার
প্রিয়াতে ‘বিক্রম বেদা’ এবং ‘কাছের মানুষ’ এই দুই ছবিই চালাচ্ছি। কর্ণসুবর্ণের গুপ্তধন চালানো হচ্ছে না। ‘কাছের মানুষ’ নিয়ে আমি বেশ আশাবাদী। কারণ শেষ এক মাসে হিন্দি কোনও ছবিই আশানুরূপ ফল করেনি। ‘বিক্রম বেদা’র বুকিং ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু যতটা হওয়া উচিত, ততটাও বুকিং এখনও হয়নি। ‘কাছের মানুষ’ এবং ‘বৌদি ক্যান্টিন’ দুই বাংলা ছবির দিকে পাল্লা ভারী বলেই আমার মনে হয়।
প্রণব কুমার রায়, মেনকা সিনেমার কর্ণধার
‘কর্ণসুবর্ণের গুপ্তধন’ ছবির প্রায় ৬০ শতাংশ বুকিং ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে। সেই তুলনায় হিন্দি ছবি ‘বিক্রম বেদা’র চাহিদা দর্শকের মধ্যে অনেকটাই কম লক্ষ্য করছি। আমার প্রেক্ষাগৃহে ‘কাছের মানুষ’, ‘বৌদি ক্যান্টিন’ কোনও ছবিই এখনও শো দিতে পারছি না। কারণ হিন্দি ছবি চালানো আমাদের জরুরি। ‘বিক্রম বেদা’র শো চালাতে গেলে আমাকে ‘কর্ণসুবর্ণ...’ ছাড়া আমি আর কোনও বাংলা ছবি চালাতে পারব না,এমন শর্তই এসেছে ডিস্ট্রিবিউটরের তরফ থেকে। কিন্তু সব বাংলা ছবিই আমি চালাতে চাই।
নবীন চৌখানি, নবীনা সিনেমার কর্ণধার
আমার ধারণা অনুযায়ী, ‘বিক্রম বেদা’, ‘কাছের মানুষ’ এবং ‘কর্ণসুবর্ণের গুপ্তধন’— এই তিনটি ছবিই ভাল ব্যবসা করবে। তবে যদিও আমি ‘কর্ণসুবর্ণ...’ চালাচ্ছি না। ‘বিক্রম বেদা’ এবং ‘কাছের মানুষ’-এর প্রি-বুকিং ইতিমধ্যেই বেশ কিছুটা হয়ে গিয়েছে। তবে ‘বৌদি ক্যান্টিন’ এখনও কিছুটা পিছিয়ে। আশা করছি মুক্তির পর মানুষের কথার মাধ্যমে আরও কিছুটা আগ্রহ জন্মাবে দর্শক মনে।
দীপাঞ্জন দে, সোনালি সিনেমার কর্ণধার
‘সোনাদা’র একটা দর্শক আছে। সেই ফলই দেখা যাচ্ছে। এমনটাই আশা করেছিলাম। এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি বুকিং হয়েছে ‘কর্ণসুবর্ণের গুপ্তধন’ ছবির। তার পর ‘বিক্রম বেদা’। ‘কাছের মানুষ’ নিয়ে দর্শক মনে উচ্ছ্বাস আছে। কিন্তু ‘সোনাদা’কে ছোঁয়া কঠিন। এই সপ্তাহে ‘বৌদি ক্যান্টিন’ ছবিটি চালাতে পারছি না। তবে আশা করছি, পরের সপ্তাহে ‘বৌদি ক্যান্টিন’ চালাতে পারব।
সিনেমা হল মালিকদর কথা অনুযায়ী এবং সব কিছুর বিচারে এখনও অবধি এগিয়ে ‘সোনাদা’। নেটমাধ্যমের হিসাবও তেমনই বলছে। প্রসঙ্গত, ‘প্রিয়া’ এবং ‘নবীনা’ প্রেক্ষাগৃহে কেন ‘কর্ণসুবর্ণের গুপ্তধন’ ছবিটি দেখানো হচ্ছে না, তা স্পষ্ট নয়। তবে অনুমান করা হচ্ছে , ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ মুক্তির পর ডিস্ট্রিবিউটার এসভিএফ-এর সঙ্গে কিছু সমস্যা হয়েছিল অরিজিৎ দত্তের। সেই সময় তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন নবীন চৌখানিও। ছবি না দেখানোর সিদ্ধান্তের নেপথ্যে থাকতে পারে সেই কারণ। তবে এ বিষয়ে কোনও যথাযথ উত্তর মেলেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy