২০১৮ সালে ‘কারওয়াঁ’ দিয়ে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন দুলকের।
অভিনয়ের পরিবার থেকে এসেছেন। সে কারণেই আরও অভিনয়ের জগতে পা বাড়াতে চাননি দুলকের সলমন। বেছে নিয়েছিলেন ১০টা-৫টার চাকরি। বহুতল নির্মাণকারী এক সংস্থায়। কিন্তু আড়াই বছরের বেশি আর চাকরি করতে পারলেন না। বুঝতে পারছিলেন এটা নিছকই ‘কাজ’, এতে কোনও আনন্দ নেই। পূর্ণতা নেই। আরও করলে আরও খানিক সময় নষ্ট হবে। তার চেয়ে মন যা চাইছে, সেখানেই আসার সিদ্ধান্ত নিলেন দুলকের। সেই অভিনয়। ওটাই যে তাঁর রক্তে। কিন্তু আবারও ঘিরে ফেলল একই ভয়। যদি না পারেন? তাঁর অভিনয় দেখে যদি সবাই হাসেন? সেই ভেবে ক্যামেরার সামনে অস্বস্তি বোধ করতেন শুরুতে। মনে হত, লোকে তুলনা টানছে বাবার সঙ্গে তাঁর। জনপ্রিয় মালয়ালম অভিনেতা এবং পরিচালক মামুটিকে কে না চেনেন!
আর এখন? নিজের জায়গাও পাকা করে ফেলেছেন দুলকের। যার শুরুটা ছিল খাপছাড়া। অভিনয়ে আসবেন মনঃস্থির করার পর তিন মাসের একটি কোর্সে ভর্তি হন ‘সীতা রামম’ অভিনেতা। মুম্বইয়ের ব্যারি জন অ্যাক্টিং স্টুডিয়ো থেকে বেরিয়ে ২০১২ সালে প্রথম অভিনয়ের সুযোগ পান। মালয়ালম অ্যাকশন ছবিতে কাজ করেন।
তার পর আর পিছনে তাকাতে হয়নি অভিনেতাকে। কয়েক দশক ধরে জনপ্রিয় মুখ দুলকের। তবে অল্লু অর্জুন, প্রভাস, রামচরণ কিংবা এন টি আর জুনিয়রের মতো বিগ বাজেট ‘প্যান ইন্ডিয়ান’ ছবিতে অভিনয় করতে দেখা যায়নি তাঁকে। এ দিকে তাঁর জনপ্রিয়তা কিন্তু দক্ষিণে সীমাবদ্ধ নেই। মালয়ালম ছবির দর্শক ছাড়াও গোটা দেশের অজস্র মানুষ তাঁকে ভালবাসেন। ‘সীতা রামম’-এর বিপুল সাফল্যের পর, সেটিকে হিন্দিতে ডাব করেছেন নির্মাতারা। গত শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে তাঁর ছবি ‘চুপ’।
সম্প্রতি ‘চুপ’-এর প্রচার অনুষ্ঠানে এসে অতীত ফিরে দেখলেন অভিনেতা। বললেন, ‘‘মনে হয়েছিল পারব না। কেউ দেখবেন না আমার অভিনয়। ক্যামেরা দেখলে ভয়ে বুক কাঁপত। মঞ্চে উঠে হাঁটু কাঁপত। নিজেকে নিয়ে এতটুকু বিশ্বাস ছিল না। ভাবতাম, লোকে বাবার সঙ্গে তুলনা করছে। সব মিলিয়ে পুরো ল্যাজে-গোবরে অবস্থা।’’
দুলকেরের মনে পড়ে যায়, কাজ শুরুর পরই আর এক বিপত্তির কথা। চোখে ইনফেকশন হয়েছিল তাঁর। মুম্বই থেকে আবার কোচিতে ফিরে যান তখন। প্রথম হিন্দি ছবি করেন তারও পরে। ২০১৮ সালে ‘কারওয়াঁ’ দিয়ে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি। ‘চুপ’ তাঁর অভিনীত তৃতীয় হিন্দি ছবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy