প্রতীকী ছবি।
প্রথমে যাবতীয় বিতর্ক ছিল, মৃত্যু না আত্মহত্যা তা নিয়ে। সেখান থেকে নানা প্রশ্ন ডালপালা মেলতে থাকে। নিত্য জন্ম নেয় নতুন বিতর্ক। এখন যে প্রশ্ন সবচেয়ে জোরালো হয়ে উঠেছে, তা হল বলিউডের ড্রাগের আসক্তি এবং সেই তালিকায় কারা রয়েছেন? সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যু বলিউডের দেওয়াল থেকে রুপোলি পরত মুছে দিয়েছিল। এ বার চুন-পলস্তারাও ক্রমে খসে পড়ছে।
সেলেব্রিটিদের মাদক সেবন ইন্ডাস্ট্রির ওপেন সিক্রেট। বলা হয়, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে হাতে গোনা কয়েকজন এই তালিকার বাইরে। বাকিরা কমবেশি সকলেই আসক্ত। সুশান্তের মাদক নেওয়ার বিষয়টি এই ক’দিনের সাক্ষ্যপ্রমাণে অনেকটাই প্রকাশ্যে এসেছে। ড্রাগস নেওয়ার অভিযোগ তুলে কঙ্গনা রানাউত জোর গলায় বেশ কয়েক জনের নাম নিয়েছেন। সেই তালিকায় রণবীর সিংহ, রণবীর কপূরের মতো প্রথম সারির তারকারা রয়েছেন। ভিকি কৌশল এবং পরিচালক অয়ন মুখোপাধ্যায়ের নামও নিয়েছেন অভিনেত্রী। প্রসঙ্গত, গত বছর কর্ণ জোহরের পার্টিতে ড্রাগ নেওয়ার অভিযোগে এই নামগুলোই উঠে এসেছিল। কর্ণের পোস্ট করা একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়, যেখানে ভিকি, অয়ন, রণবীর কপূর, দীপিকা পাড়ুকোন, বরুণ ধওয়নদের অপ্রকৃতিস্থ অবস্থায় দেখা যাওয়ার অভিযোগ ওঠে। তবে কর্ণ বিষয়টি অস্বীকার করেন। কিন্তু তাতে বিতর্ক থামছে না। এই নামগুলির সঙ্গে জুড়ে যাচ্ছে ইন্ডাস্ট্রির বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী তারকার নাম। শোনা যায়, বহু বছর আগে এক সুপারস্টারের পত্নী ড্রাগস নিয়ে যাওয়ার সময়ে বিমানবন্দরে ধরা পড়েছিলেন। তখনই প্রকাশ্যে আসে মুম্বই-দুবাই ড্রাগস র্যাকেটের নানা ঘটনা। ওই সুপারস্টারের মাদক সেবনের কথা কারও অজানা নয়। আরও এক তারকা-পত্নীর বিরুদ্ধেও ড্রাগস লেনদেনের অভিযোগ উঠেছিল। ওই তারকার পত্নী, শালা এবং এক অভিনেতা বন্ধুর ড্রাগ অ্যাডিকশনের কাহিনি ইন্ডাস্ট্রিতে সুবিদিত। অধুনা বিদেশে থাকা এক নায়িকার মাদক সেবনের ঘটনাও শোনা যায়।
ড্রাগ এবং মদ ছাড়া ইন্ডাস্ট্রিতে নাকি কোনও পার্টি হয় না। কোকেন, মারিজুয়ানা, হেরোইন... সব ধরনের নেশাই চলতে থাকে বলে শোনা যায়। কারও কাছে মাদক হল ক্ষণিকের উত্তেজনা, কারও কাছে টেনশন কাটানোর দাওয়াই। যে নায়িকা ইন্ডাস্ট্রির ড্রাগ সেবনের পর্দা ফাঁস করেছেন, তিনিও এক সময়ে এই নেশায় মজেছিলেন। নিজের একটি ভিডিয়োয় তা স্বীকারও করেছিলেন।
বহু দিন আগে সঞ্জয় দত্তের মাদক সেবনের ঘটনা ইন্ডাস্ট্রির একটা অন্য রূপ তুলে ধরেছিল আমজনতার সামনে। সুশান্তের ঘটনা সেই অন্ধকার আরও গাঢ় করল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy