কৌশানী, সায়ন্তিকা ও তনুশ্রী ফাইল চিত্র।
নির্বাচনের আগে তাঁদের সোশ্যাল মিডিয়া পেজ ভরে গিয়েছিল জোড়হাত ছবিতে। নির্বাচনের ফলাফল শেষে সেই তারকাপ্রার্থীরা মানুষের পাশে কতখানি রয়েছেন? রাজনৈতিক শিবিরের রং যা-ই হোক, কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ এবং ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের দাপটে বিপর্যস্ত মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন এমন কিছু তারকাপ্রার্থী, যাঁরা নির্বাচনে পরাজিত। সম্প্রতি রাজ্যের শাসকদল এমনই দুই পরাজিত প্রার্থীকে গুরুদায়িত্ব সঁপে প্রমাণ করে দিয়েছে, তাঁদের ভরসা করছে দল। তেমনই আবার নির্বাচনের পালা চুকে যেতেই জনসেবার তাগিদ ফুরিয়ে গিয়েছে কোনও কোনও স্টার ক্যান্ডিডেটের কাছে। তাঁদের সোশ্যাল মিডিয়ায় ফের জায়গা করে নিয়েছে ফোটোশুটের চেনা ছবি।
৭৩৫ ভোটের ব্যবধানে হারার আফসোস নিয়েও বাঁকুড়ায় কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাঁকুড়ার কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এ বার সেখানে ‘দুয়ারে ওষুধ’ প্রকল্পের পরিকল্পনা করছেন অভিনেত্রী। ‘‘বাঁকুড়ার ডি.এম. রাধিকা আইয়ার আমাদের প্রচুর সাহায্য করছেন। শিগগিরই হিঙ্গলগঞ্জ যাচ্ছি, ইয়াস কবলিত এলাকায় ত্রাণ বিতরণের কাজে,’’ বললেন সায়ন্তিকা। সদ্য তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। তাঁর মতোই সায়নী ঘোষের কাছেও যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার খবরটা একরাশ বিস্ময় আর ভাললাগা নিয়ে এসেছে। আসানসোল দক্ষিণের বিভিন্ন প্রান্তে গিয়ে কোভিড মোকাবিলায় কাজ করে গিয়েছেন সায়নীও।
কৃষ্ণনগর উত্তরের বিজেপি প্রশাসনের কাছ থেকে সাহায্য না পাওয়ার আক্ষেপ ঝরে পড়ল কৌশানী মুখোপাধ্যায়ের কথায়। এলাকায় নিজের উদ্যোগে কমিউনিটি কিচেন খুলছেন। তাঁর কথায়, ‘‘এলাকার সমস্যায় বিধায়কের কাছে যে ফোনগুলো যাওয়ার কথা ছিল, সেগুলো এখনও আমার কাছে আসছে।’’
নিজে যেতে না পারলেও শ্যামপুরে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যস্ত এলাকার জন্য ত্রাণ পাঠিয়েছেন সেখানকার পরাজিত বিজেপি প্রার্থী তনুশ্রী চক্রবর্তী। তবে যশ দাশগুপ্ত, শ্রাবন্তী, পায়েল সরকারের মতো বিজেপির তারকাপ্রার্থীদের কর্মকাণ্ড নির্বাচনের ফলাফলের পর থেকেই প্রায় অদৃশ্য। তাঁদের সোশ্যাল মিডিয়া পেজও সেই নীরবতারই সাক্ষী। শ্রাবন্তী অবশ্য জানালেন, তিনি নিজে না গেলেও, কলকাতা পুলিশের সঙ্গে ফুটপাথবাসীদের খাবার বিলির বন্দোবস্ত করেছেন। তনুশ্রীর কথায়, ‘‘সোশ্যাল মিডিয়ায় কাজের বিজ্ঞাপন দেখে কাউকে বিচার করাটা অনুচিত। আমি নিজে যতটা কাজ করছি, তার সামান্যই পোস্ট করেিছ।’’ আবার কৌশানীর মতে, যুগটাই দেখনদারির। তাই নির্বাচনী প্রচারের মতোই কাজের খতিয়ানও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মানুষের কাছে পৌঁছনো উচিত। সায়ন্তিকা বিশ্বাস করেন, মানুষের উপকারে কাজ করার জন্য রাজনীতি একটা মাধ্যম মাত্র। সদিচ্ছা থাকলে তার বাইরে গিয়েও কাজ করা যায়।
ভোটপর্ব শেষে কেউ কথা রেখেছেন, কেউ আবার রাখেননি। সোশ্যাল মিডিয়া পেজ নয়, দিনের শেষে তারকাদের হয়ে কথা বলছে তাঁদের কাজই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy