তিনি বলিউডের শাহেনশাহ, বয়স বাড়লেও রাজপাট সামলান দাপটে। শুধু অভিনয় নয়, অমিতাভ বচ্চনের সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলতে গেলেও লাগে বুকের পাটা! এমনই জানিয়েছেন বলিউডের সফল পরিচালক সুরজ বরজাতিয়া।
১৯৮৯ সালে সুরজের বলিউডি সফর শুরু হয় ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’ ছবি দিয়ে। তার পর একে একে তিনি উপহার দিয়েছেন, ‘হাম আপকে হ্যায় কৌন’, ‘হাম সাথ-সাথ হ্যায়’, ‘ম্যায় প্রেম কি দিওয়ানি হুঁ’, ‘বিবাহ’, ‘এক বিবাহ অ্যায়সা ভি’, ‘প্রেম রতন ধন পায়ো’-র মতো বিনোদনমূলক ছবি। ২০১৫ সালে সলমন খান, সোনম কপূরকে নিয়ে বানানো ‘প্রেম রতন ধন পায়ো’ ছবিটির জন্য পুরস্কারও পান তিনি। কিন্তু এর পর পরিচালক খানিকটা বিরতি নেন। ফিরে আসেন একেবারে অন্য ধারার ছবি ‘উঁচাই’ নিয়ে ২০২২ সালে। এ ছবি আসলে চার বন্ধুর গল্প, যাদের হাঁটুর জোর কমে গেলেও মনের জোর কমেনি। তাই তারা হিমালয় বেসক্যাম্প পর্যন্ত ট্রেকিং করার কথা ভাবে। করেও দেখায় অসাধ্যসাধন। চার বন্ধুর চরিত্রেই সুরজ বেছেছিলেন অমিতাভ বচ্চন, অনুপম খের, বোমান ইরানি এবং ড্যানি ড্যানজংপাকে। সম্প্রতি সে ছবি তৈরির অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতেই সুরজ বলে বসেন, ‘‘অমিতাভ ভয় ধরিয়ে দেন।’’
আরও পড়ুন:
সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সুরজ বলেন, “চেনা ছক বদলাচ্ছিলাম, ‘উঁচাই’-এর গল্পটা পড়তে পড়তেই বুঝেছিলাম এটা আমার তৈরি ছবিগুলির মতো হবে না। সিদ্ধান্ত নিলাম এটা করব। ভেবেছিলাম একটা ‘চ্যালেঞ্জ’ নেওয়া যেতেই পারে, আমার কিছু হারানোর নেই।” কিন্তু এর পরেই তিনি ভাবতে বসেন কী ভাবে অমিতাভ বচ্চনকে পাবেন তাঁর ছবিতে। সুরজ জানিয়েছেন, এটাও তাঁর কাছে একটা নতুন ‘চ্যালেঞ্জ’ ছিল।
সুরজ বলেন, “তিনি (অমিতাভ) গল্প শোনেন চোখ দিয়ে, পলক ফেলেন না। প্রাণে ভয় ধরিয়ে দেন। আমি প্রথমে তাঁকে গল্পটা পাঠিয়েছিলাম, তার পর তিনি ভিডিয়ো কলে কথা বলতে চান। এই সাক্ষাৎকারের আগে আমাকে দু’টি ওষুধ খেতে হয়েছিল উদ্বেগ কমানোর জন্য।” উল্লেখ্য, এই ছবির জন্যও সেরা পরিচালকের পুরস্কার পেয়েছেন সুরজ।