এক দশক ধরে দর্শক ও অনুরাগীদের মন্ত্রমুগ্ধ করে রেখেছে জেকে রাউলিংয়ের অবিস্মরণীয় সৃষ্টি ‘হ্যারি পটার’। — ফাইল চিত্র।
দেশি শার্লক তৈরির খবর মিলেছে আগেই। এ বার নাকি ভারতীয়করণ হতে চলেছে হ্যারি পটারেরও। হ্যারি, রন ও হারমাইনি— যে ত্রয়ীর হাত ধরে জাদুর দুনিয়ায় পা রেখেছিলেন বিশ্ববাসী, এ বার ভারতে তৈরি হতে চলেছে তার নিজস্ব জগৎ। এই গোটা কাজের রাশ থাকছে বর্ষীয়ান পরিচালক শেখর কপূরের হাতে। নিজের পরবর্তী এই কাজের কথা সংবাদমাধ্যমের কাছে জানালেন জাতীয় পুরস্কারজয়ী পরিচালক।
১৯৯৭ সালের জুন মাস। বাজারে আসে সর্বপ্রথম হ্যারি পটার বই, ‘হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ফিলোজ়ফার্স স্টোন’। বইয়ের লেখিকা জোয়্যান ক্যাথলিন রাউলিং ওরফে জেকে রাউলিং। বই প্রকাশ্যে আসার পরেই ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠে তা। হ্যারি পটারের হাত ধরে জাদুর দুনিয়ার পা রাখেন লক্ষ লক্ষ অনুরাগী। প্রথম খণ্ডের জনপ্রিয়তার জেরে পরের বছরই প্রকাশিত হয় ‘হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য চেম্বার অফ সিক্রেটস্’। তার পরের বছর ‘হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য প্রিজ়নর অফ অ্যাজ়ক্যাবান’। হ্যারি পটার, রন উইজ়লি ও হারমাইনি গ্রেঞ্জার— এই তিন বন্ধুর সঙ্গে জাদুর দুনিয়ার নিজেদের খুঁজে পান অসংখ্য অনুরাগী। বইয়ের জনপ্রিয়তা উত্তরোত্তর বাড়তে থাকায় ছবি তৈরি সিদ্ধান্ত নেয় প্রযোজনা সংস্থা ও স্টুডিয়ো ‘ওয়ার্নার ব্রোজ়’। ২০০১ সালে মুক্তি পায় হ্যারি পটার ফ্র্যাঞ্জাইজ়ির প্রথম ছবি ‘হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ফিলোজ়ফার্স স্টোন’। বাকিটা ইতিহাস। এক দশক ধরে দর্শক ও অনুরাগীদের মন্ত্রমুগ্ধ করে রেখেছে জেকে রাউলিংয়ের এই অবিস্মরণীয় সৃষ্টি। এ বার সেই ধাঁচেই ভারতীয় হ্যারি পটার তৈরির ভাবনা বর্ষীয়ান পরিচালক শেখর কপূরের। ইতিমধ্যেই নাকি তার কাজও শুরু করে দিয়েছেন পরিচালক।
এক সাক্ষাৎকারে শেখর কপূর বলেন, ‘‘আমি যে কাজটা ভেবেছি, সেটা হ্যারি পটারের ভারতীয় ভার্সন। এটা হ্যারি পটারের ভারতীয় তর্জমা নয়। তবে, এ দেশের প্রেক্ষাপটেই তৈরি হবে ওই প্রজেক্ট। হ্যারি পটারের ধাঁচেই আমি এটা তৈরি করতে চাই কারণ, ভারতীয়রা জাদু ও রূপকথা নিয়ে খুব আগ্রহী। আমরা ওই ধরনের গল্প শুনে ও পড়ে বড় হয়েছি। আমি এমন একটা কিছু বানাতে চাই, যেটা পশ্চিমি দুনিয়ায় নয়, ভারতের মাটিতেই তৈরি হবে।’’
শেখর কপূরের শেষ ছবি ছিল রোম্যান্টিক কমেডি ঘরানার ‘হোয়াটস্ লভ গট টু ডু উইথ ইট’। শাবানা আজ়মি, এমা থম্পসন, লিলি জেমসের মতো তারকারা অভিনয় করেছিলেন ওই ছবিতে। টরোন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রিমিয়ার হওয়া এই ছবি সেরার শিরোপা অর্জন করেছিল রোম ফিল্ম ফেস্টিভালে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy