বিভিন্ন কারণে একাধিক বার বিতর্কে জড়িয়েছেন রামগোপাল বর্মা। কখনও মন্তব্যের জন্য। কখনও আবার নিজের ছবির জন্য। তবে ছবিতে নিজের ভুল থাকলে তা স্বীকার করতে দু’বার ভাবেননি পরিচালক। একসময়ে ভেবেছিলেন ‘শোলে’ ছবির রিমেক তৈরি করবেন। তার পরেই ‘আগ’ ছবিটি তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। এই ছবিকে বলিউডের ইতিহাসের অন্যতম খারাপ ছবি বলে মনে করা হয়।
একাধিক বার বিতর্কে জড়ানোর কারণে রামগোপালের ভাবমূর্তি নিয়েও প্রশ্ন ওঠে প্রায়ই। তবে শুধু নিজের নয়। তাঁর জন্য অমিতাভ বচ্চনের ভাবমূর্তিও খারাপ হয়েছে বলে স্বীকার করেন পরিচালক। এক সাক্ষাৎকারে রামগোপাল বলেছেন, বর্তমান যুগে ‘শোলে’ ছবিটি তিনি কল্পনা করেছিলেন। রামগোপালের ‘সত্য’ ছবিটি সফল হয়েছিল। তাই পরিচালক ভেবেছিলেন, একই রকম নিষ্ঠার সঙ্গে ‘শোলে’র রিমেক তৈরি করলে সেটিও সফল হবে। কিন্তু আদতে তা হয়নি।
তাই রামগোপাল বলেছেন, “ছবি তৈরির ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভুল হল, যা মন চায় সেই কাজই করতে যাওয়া। এতে ক্রমশ কিছুই নিজের নিয়ন্ত্রণে থাকে না।” এক পোস্টারশিল্পীর প্রভাবেই গব্বর সিংহের চরিত্রটি নিয়ে ভাবতে শুরু করেছিলেন তিনি। অবশেষে অমিতাভ বচ্চনকে সেই চরিত্রে ভাবতে শুরু করেন তিনি ‘আগ’ ছবির জন্য। এই ভাবনার কথা রামগোপাল জানান অমিতাভকে। তিনিও ‘সত্য’ ছবির অভিজ্ঞতার কথা ভেবে রাজি হয়ে যান।
আরও পড়ুন:
‘আগ’-এর মতো অসফল ছবি তৈরির দায় আসলে কার? এই প্রশ্নের উত্তরে রামগোপাল হাসতে হাসতে বলেন, “সসচা সিপ্পি নামে ওই পোস্টারশিল্পীরই দায়। কিছুটা দায় তো বচ্চন সাহেবেরও। ওঁর ঘাড়েই আসল দায়িত্বটা ছিল শেষ পর্যন্ত। কিন্তু দায়টা আমিই নিচ্ছি।”
এই ‘আগ’ ছবির জন্য অমিতাভের ভাবমূর্তি খারাপ হয়েছিল বলে মনে করেন রামগোপাল। তাঁর কথায়, “আমার জন্য তিনি নিজের ভাবমূর্তি পর্যন্ত খারাপ করতে বসেছিলেন। ওই ছবিটা (‘আগ’) নিয়ে হাসির খোরাক পর্যন্ত হয়েছে। তার কারণ কিন্তু আমি। অমিতাভ সাহেব নন। আমার খারাপ লাগে যে, আমি ওঁকে দিয়ে কী করিয়েছি!” ২০০৭ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘রামগোপাল বর্মা কি আগ’।