এক মুখোপাধ্যায়ের হাত থেকে ‘ফেলুদা’র ব্যাটন আর এক মুখোপাধ্যায়ের হাতে। হইচই ওয়েব প্ল্যাটফর্মে সত্যজিৎ রায় সৃষ্ট এই গোয়েন্দাকে প্রথম এনেছিলেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়। ‘ফেলুদা’র ভক্তরা সৃজিতের থেকে উপহার পেয়েছেন ‘দার্জিলিং জমজমাট’, ‘ভূস্বর্গ ভয়ঙ্কর’। গত ডিসেম্বর ‘ভূস্বর্গ ভয়ঙ্কর’ মুক্তি পাওয়ার পরেই পরিচালক জানান, ওয়েব সিরিজ় হিসেবে তিনি আর ‘ফেলুদা’ পরিচালনা করবেন না। তখন থেকেই চর্চা শুরু, তা হলে ব্যাটন যাবে কার হাতে? শুক্রবার তার জবাব মিলল এসভিএফ এবং হইচই-এর যৌথ অনুষ্ঠান ‘গল্প পার্বণ ১৪৩২’-এ। প্রযোজনা সংস্থার কর্ণধার শ্রীকান্ত মোহতা এবং মহেন্দ্র সোনি যুগ্ম ভাবে ঘোষণা করেন, এ বছরের শীতেও ‘ফেলুদা’ আসবে পর্দায়। কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনায়।
এর আগে কমলেশ্বর একাধিক কাজ করেছেন শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মসের সঙ্গে। তার মধ্যে অন্যতম, ‘মেঘে ঢাকা তারা’, ‘চাঁদের পাহাড়’, ‘অ্যামাজ়ন অভিযান’। পরিচালক বদলে যাওয়ার অর্থই হল দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্য। কমলেশ্বরের পরিচালনায় সৃজিতের ‘ফেলুদা’ কতটা বদলে যেতে পারে? প্রশ্ন রেখেছিল আনন্দবাজার অনলাইন। পরিচালকের কথায়, “মূল ভাবধারা এক রেখেই চিত্রনাট্য লিখছি। সৃজিতের ‘ফেলুদা’কে বদলানোর কথা মাথাতেই আসেনি। কারণ, পরিচালক গোয়েন্দা, তাঁর সহকারী এবং লালমোহন গঙ্গোপাধ্যায় ওরফে ‘জটায়ু’ হিসেবে যাঁদের বেছেছিলেন বাংলায় তাঁরাই সেরা। সেই অনুযায়ী, টোটা রায়চৌধুরী (ফেলুদা), অনির্বাণ চক্রবর্তী, (জটায়ু) এবং কল্পন মিত্রকে (তোপসে) আমার পরিচালিত সিরিজ়েও দেখা যাবে।”
আরও পড়ুন:
তিনি আরও জানান, টোটাকে বাঙালি ‘ফেলুদা’ হিসেবে ভালবেসে ফেলেছেন। অনির্বাণ ছাড়া ‘জটায়ু’ আর কাউকেই মানায় না। কল্পনের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। ফলে, এই টিমকে ভাঙার ইচ্ছে তাঁর বিন্দুমাত্র নেই। অন্য অভিনেতাদের অবশ্যই চরিত্র অনুযায়ী বাছবেন। সিরিজ়ের চিত্রনাট্য ঘষামাজার কাজ চলছে। কমলেশ্বর জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ঠিক আছে উত্তরবঙ্গে শুটিং হবে। যে হেতু হাতবদল তাই শুটিংয়ের আগে অভিনেতাদের মহড়া করাতে আগ্রহী পরিচালক। যাতে ক্যামেরার মুখোমুখি হওয়ার আগেই তাঁরা জেনে যান, টোটা, অনির্বাণ, কল্পনের থেকে কী চাইছেন কমলেশ্বর।