পরিচালক অরুণ রায়। — ফাইল চিত্র।
বছরের শুরুতেই বড় ধাক্কা বাংলা বিনোদন দুনিয়ায়। ‘বাঘা যতীন’ ছবির পরিচালক অরুণ রায় প্রয়াত। বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর। বছরশেষে ফুসফুসের সংক্রমণ নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বুধবার আনন্দবাজার অনলাইনকে চিকিৎসক-অভিনেতা কিঞ্জল নন্দ জানিয়েছিলেন, কোমায় চলে গিয়েছেন পরিচালক। জীবনদায়ী ব্যবস্থার সাহায্যে তাঁকে জীবিত রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। পরিচালকের অসুস্থতার খবর পেয়েই ব্যস্ততা সরিয়ে হাসপাতালে তাঁকে দেখতে গিয়েছিলেন তাঁর প্রিয় ‘বাঘা যতীন’ দেব। শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পরিচালকের দেহ রাখা হয় টেকনিশিয়ান স্টুডিয়োতে।
ক্যানসার বাসা বেঁধেছিল সদ্যপ্রয়াত পরিচালকের শরীরে। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ভুগছিলেন সেই রোগে। তার মধ্যেও যত বার আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে কথা বলেছেন, জানিয়েছেন, তিনি ফিরে আসবেন। আবার ছবি পরিচালনা করবেন। স্বপ্ন দেখতেন, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জীবন রুপোলি পর্দায় তুলে ধরবেন। অরুণের হাত ধরে বাংলা ছবির দুনিয়ায় পা রাখেন চিকিৎসক-অভিনেতা কিঞ্জল। তাঁর কথায়, ‘‘অরুণদা আমায় ছায়াছবির জনক হীরালাল সেনকে চিনিয়েছেন।’’ কিঞ্জল বিনোদন দুনিয়ায় এসেছেন অরুণের হাত ধরেই। তাঁর ‘৮/১২’ ছবিতে বিপ্লবী ‘বিনয় বসু’ চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন চিকিৎসক-অভিনেতা। সেই কৃতজ্ঞতা থেকেই কি আরজি করে অরুণের চিকিৎসার ব্যবস্থা করলেন? চিকিৎসকের দাবি, “অর্থনৈতিক পরিস্থিতি একটা কারণ তো বটেই। নিজে উপস্থিত থেকে অরুণদার দেখভাল করার চেষ্টা করব, সেটাও অন্যতম কারণ।’’
চিকিৎসক আরও জানিয়েছেন, পরিচালককে ক্যানসার কাবু করে ফেলেছিল। নিয়মে থাকলেও অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়েছিলেন তিনি। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে গিয়েছিল। ফলে, ফুসফুসে দ্রুত সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। তাঁর আফসোস, “বরাবর ব্যতিক্রমী ছবি বানানোর চেষ্টা করেছেন অরুণদা। ওঁর জন্যই তো ছায়াছবির জনক ‘হীরালাল সেন’কে চিনেছি। ‘চোলাই’ তাঁর আরও একটি ভাল কাজ। ইন্ডাস্ট্রি ওঁর মতো প্রতিভাকে সঠিক ব্যবহার করতে পারল না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy