কথায় বলে, হাতের তির আর মুখের কথা ফেরানো যায় না। পরিচালক অনুরাগ কশ্যপও সেটা জানেন। তাই অপ্রাসঙ্গিক কথা বলায় সমাজমাধ্যমে ক্ষমা চাইতে হল তাঁকে। যদিও পরিচালকের দাবি, তিনি যা বলেছেন সজ্ঞানেই বলেছেন। তাই নিয়ে তাঁর কোনও বিবেকের তাড়না নেই। এবং সেই সমস্ত বলা কথা ফেরাতেও চান না। অনুরাগের মতে, তিনি একটি কথা কেবল বক্তব্যের বাইরে বলেছিলেন। যার জেরে তথাকথিত সংস্কৃতির ধারক-বাহকদের থেকে তাঁর পরিবারের মেয়েরা ধর্ষণের হুমকি পাচ্ছেন, বন্ধু, সহকর্মীরা প্রাণনাশের হুমকি। ওঁদের মুখ চেয়ে তিনি ক্ষমাপ্রার্থী। তাঁর অনুরোধ, “আমাকে যত রকম ভাবে নিগ্রহ করা যায় করুন। আমার পরিবার- পরিজনের উপরে সেই রাগ ফলাবেন না।”
অনন্ত মহাদেবন পরিচালিত ‘ফুলে’ ছবি নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত। ছবিটি মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল ১১ এপ্রিল। খবর, প্রতীক গান্ধী, পত্রলেখা অভিনীত ছবি নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়ার কারণে মুক্তির তারিখ পিছিয়ে হয়েছে ২৫ এপ্রিল। এর পরেই অনুরাগ সেন্সর বোর্ড এবং ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। যার জেরে তাঁর এই ক্ষমাপ্রার্থনা। প্রসঙ্গত, সমাজ সংস্কারক জ্যোতিরাও এবং সাবিত্রীবাই ফুলের জীবন এই ছবিতে দেখানো হচ্ছে। যেখানে বর্ণবৈষম্য, লিঙ্গবৈষম্যের বিরুদ্ধে দম্পতির লড়াই বর্ণিত হয়েছে। যা ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়ের রোষের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন:
ইতিমধ্যেই কুমন্তব্য করার কারণে অনুরাগ তীব্র কটাক্ষের শিকার। তাঁকে নানা ভাবে অপদস্থ করা হচ্ছে সমাজমাধ্যমে। কুৎসিত ভাষায় আক্রমণও করা হচ্ছে। সে সব নিয়ে কশ্যপ যদিও ভাবিত নন। তাঁর বক্তব্য, “আমি যা বলেছি তা নিয়ে কোনও আক্ষেপ নেই। বলা কথা ফিরিয়ে নেওয়ার উপায় নেই। আমি কথা ফিরিয়ে নিতে চাইও না। কেবল একটি বাক্য ছাড়া। ওই বক্তব্যটি অনেকেরই মনে হতে পারে অপ্রাসঙ্গিক। আমি কেবল ওই একটি বাক্যের কারণে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। কারণ, আমার বক্তব্যের কারণে আমার পরিবার-পরিজন সমস্যার মুখোমুখি হবেন— এটা কাম্য নয়।” পরিচালকের আরও দাবি, তাঁর একটি পোস্ট সমাজ সংস্কারকদের প্রকৃত চেহারা প্রকাশ্যে এনে দিয়েছে। তাঁকে গালমন্দ করার পাশাপাশি আক্রমণ করা হচ্ছে নারীদের। অথচ, মনুসংহিতা নারীদের সম্মান দেওয়ার কথাই বলে।