(বাঁ দিক থেকে) দীপ্সিতা ধর, শোভন গঙ্গোপাধ্যায়, সোহিনী সরকার। ছবি: সংগৃহীত।
১৫ জুলাই বিয়ে করেছেন সোহিনী সরকার ও শোভন গঙ্গোপাধ্যায়। দক্ষিণ ২৪ পরগনার খামারবাড়িতে তিন দিন কাটিয়ে এসে শ্বশুরবাড়িতে সংসার শুরু করেছেন অভিনেত্রী। বিয়ের নানা মুহূর্তের ছবি শেয়ার করছেন নবদম্পতি। সম্পর্কে শোভনের মাসতুতো বোন তথা বামনেত্রী দীপ্সিতা ধরও বেশ কিছু ছবি শেয়ার করেছেন। নতুন বৌদির সঙ্গে ছবি পোস্ট করে দীপ্সিতা লিখেছেন, “একসঙ্গে ভাল থাকার পথ চলা।”
আনন্দবাজার অনলাইনকে দীপ্সিতা জানান, ইতিমধ্যেই পরিবারের সকলকে খুব আপন করে নিয়েছেন সোহিনী। ‘ননদিনী’ বলেন, “বাড়িতে এক জন নতুন মানুষ এসেছে। সকলকে খুব আপন করে নিয়েছে। আমরাও খুব খুশি। সোহিনীদি মাটির মানুষ। একেবারে আমাদের মতোই। তাই নতুন করে আমাদের কিছু মানিয়ে নিতে হয়নি। একসঙ্গে ভাল থাকার চেষ্টা করছি আমরা।”
বিয়ের আগেও বেশ কয়েক বার সোহিনীর সঙ্গে দেখা হয়েছে বলে জানান দীপ্সিতা। তাঁর কথায়, “আমাদের বাড়িতেও কয়েক বার এসেছে। আমরাও ওদের বাড়ি গিয়েছি। বিয়ের আগে থেকেই বাড়ির লোক হয়ে গিয়েছিল। ভীষণ আন্তরিক। মানুষ হিসেবে একই সঙ্গে পরিণত ও স্নেহশীল।”
নতুন বৌদির সঙ্গে একের পর এক ছবি পোস্ট করতেই নেটাগরিকের কেউ কেউ দীপ্সিতার দিকে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছে, “আপনি কবে বিয়ে করছেন?” সোহিনীর থেকে কি এমন কোনও পরামর্শ পেয়েছেন? এর উত্তরে দীপ্সিতার সাফ জবাব, “এ তো গতানুগতিক ভারতীয় পরিবারে যা হয়ে থাকে। মেয়ের বিয়ে দিতে হবে, এই নিয়ে সবাই খুব উঠেপড়ে লাগে। তবে এই নিয়ে সোহিনীদির সঙ্গে কোনও কথা হয়নি।”
তবে সমাজমাধ্যমে চলা ট্রোলিং নিয়ে খুব বিরক্ত দীপ্সিতা। তিনি বলেন, “নেটদুনিয়ায় যে অবাঞ্ছিত মন্তব্য করছেন কয়েক জন, তা নিয়ে আমি খুব বিরক্ত। এই ধরনের মন্তব্যের কোনও সারবত্তা নেই। যদিও সোহিনীদির উপর এগুলো কোনও প্রভাব ফেলতে পারেনি। এতটুকুও ভাবিত নয়। সমাজমাধ্যমে ট্রোলিং কে কী ভাবে পাত্তা না দিয়ে থাকা যায়, সেটা ওর মধ্যে দেখেছি।”
একেবারেই তথাকথিত ননদ-বৌদি সমীকরণ তৈরি হয়নি সোহিনী ও দীপ্সিতার। বিয়েতে তত্ত্বেরও কোনও ব্যাপার ছিল না। বামনেত্রীর কথায়, “কোনও রীতি মেনে বিয়ে হয়নি। সইসাবুদ করে বিয়ে করেছে ওরা, ঠিক যেমন দু’জন আধুনিক, শিক্ষিত মানুষের বিয়ে হওয়া উচিত, তেমনই হয়েছে। পুরনো ধ্যানধারণার কোনও কিছু ছিল না। ফলে ওই তথাকথিত ননদ-বৌদি বা ননদ-বৌদির মধ্যে টানাপড়েন এ সব কিছু ছিল না।”
কথায় কথায় দীপ্সিতা জানান, বিয়ের দু’টি দিন খুব আনন্দে কেটেছে। সকলে মিলে গানবাজনা হয়েছে। দীপ্সিতার কথায়, “আসলে খুব ঘনিষ্ঠ পরিসরে বিয়েটা হয়েছে। ওদের বন্ধুরা ছিলেন। আমাদের পরিবার ছিল। বাইরের কেউ ছিলেন না। খুব মিষ্টি দুটো দিন কেটেছে আমাদের।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy