সাবেকি থেকে সাহেবিয়ানায় দীপান্বিতা...
পেশায় চিকিৎসক। নেশায় অভিনেত্রী। নেশায় পেশার ছায়া প্রায়শ পড়ে। ছোট থেকে বড় পর্দাতেও চিকিৎসক দীপান্বিতা হাজারি তাই ‘ডাক্তার’। ‘রাণী রাসমণি’ সেই ছক ভাঙতে চলেছে। শনিবার অভিনেত্রী একটি ছবি পোস্ট করেছেন ফেসবুকে। এই প্রথম শাড়ি ছেড়ে কেতাদুরস্ত পা ছোঁয়া ঘন নীল স্কার্ট, কুঁচি দেওয়া পুরো হাতার সাদা টপে। গলায় দুলছে ক্রশ। মেম সাহেবদের মতোই মাথা ভর্তি সোনালি চুল! ঘাড়ের কাছে হাতখোঁপা করা। অভিনেত্রী লিখেছেন, জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিকে তিনি ‘মেম অধ্যক্ষ’ সিস্টার ক্যাথি! চরিত্র অনুযায়ী তাঁর সাজও বদলেছে।
দীপান্বিতাকে এমন রূপে দেখে হতবাক দর্শকেরা। তার পরেই শুভেচ্ছায় বানভাসি নতুন মেমসাহেব।
নিজের এই নতুন রূপে কতটা মুগ্ধ তিনি? ইন্দ্রপুরী স্টুডিয়োয় সেট তৈরি হয়েছে। সেখানেই শটে ব্যস্ত দীপান্বিতা। তার ফাঁকেই আনন্দবাজার অনলাইনের ফোন ধরলেন। খুশির রেশ তাঁর গলাতেও। বললেন, ‘‘একটু ভয় পেয়েছিলাম। যাঁরা আমায় চেনেন, তাঁদের প্রতিক্রিয়া কী হবে? আমিও চরিত্রকে ফোটাতে পারব তো! রূপটানের পরে নিজেকে দেখে ভালই লেগেছে।’’
শনিবার থেকেই ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে নবরূপের দীপান্বিতাকে। তাঁর এই নতুন সজ্জা পছন্দ পরিবারেরও। প্রবাসী মেয়ে-নাতনিরা ফোনে জানিয়েছেন, ‘সিস্টার ক্যাথি’র সাজে বেশ লাগছে তাঁদের আত্মজনকে।
এ তো গেল রূপসজ্জার কথা। মেম অধ্যক্ষের চরিত্র কেমন? দীপান্বিতার দাবি, কঠোরে-কোমলে গড়া এক মানুষ, যিনি সেই সময়ে বাংলার মেয়েদের মনে শিক্ষার আলো জ্বালতে তৎপর হয়েছিলেন। অভিনেত্রী নিজেও পড়াশোনা ভালবাসেন। সব সময়েই চান, সমাজের সব স্তরের নারী শিক্ষার আলোয় আলোকিত হোক। তাঁর মনের কথাই শোনা যাবে ‘সিস্টার ক্যাথি’র সংলাপে। তাই চরিত্র পেয়ে তৃপ্ত তিনি।
একই সঙ্গে দীপান্বিতা কৃতজ্ঞ চ্যানেল কর্তৃপক্ষের কাছেও, যাঁরা ‘রাণী রাসমণি’র মতো ধারাবাহিকে তাঁকে অভিনয়ের সুযোগ দিয়েছেন। দীপান্বিতার কথায়, ‘‘এত দিন ছোট পর্দায় ধারাবাহিকটি দেখতাম। এ বার আমায় সেখানে দেখা যাবে। এর চেয়ে ভাল আর কী হতে পারে?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy