ডিম্পল কপাডিয়া। ছবি: সংগৃহীত।
বর্ষীয়সী অভিনেত্রী ডিম্পল কপাডিয়া। খোলাখুলি কথা বলতেই তিনি পছন্দ করেন। নিজমুখেই স্বীকার করেছিলেন, বাস্তব জীবনে তিনি দ্বিধায় ভোগেন, আত্মবিশ্বাসের অভাব রয়েছে তাঁর। কিন্তু এই নেতিবাচক দিকগুলিই যে তাঁর কেরিয়ারে শাপে বর হয়ে দাঁড়িয়েছে, পরে তা উপলব্ধি করেন।
তাঁর মতে, দ্বিধা, সংশয় নিয়েই কেরিয়ারে এত পথ চলেছেন। কখনও দুম করে কোনও সিদ্ধান্ত বদল তাঁর ধাতে ছিল না। সে জন্য পথ চলেছেন শুধু, কোথাও পৌঁছাননি। কিছু দিন আগেই এক ওয়েব সিরিজের কাজ করে আইনি জটিলতায় পড়তে হয়েছিল তাঁকে। ‘পাঠান’ এবং ‘সাস বহু অউর ফ্লেমিঙ্গো’ নামের সেই শো যদিও ডিম্পলকে ফের আলোচনার কেন্দ্রে এনেছে। সিরিজে চুক্তিবদ্ধ হয়েও ডিম্পল দেখেছিলেন অন্য কেউ তাঁর চরিত্র করছেন। কিন্তু ডিম্পল নাছোড়বান্দা। শেষমেশ তিনি এই প্রকল্পের অংশ হয়েই ছাড়েন, স্রেফ কাজটি ভাল লেগেছিল বলে। কিন্তু কাজটি শুরু করার ঠিক কয়েক মাস আগে প্রস্তুতি পর্বেই সিঁদুরে মেঘ দেখেন অভিনেত্রী। তাঁর সমস্ত পরিকল্পনা ভেস্তে যায়।
শুধু এই একটি কাজ নয়, অনেক সময়েই ব্যর্থ হয়েছেন বলে জানান ডিম্পল। তার পরই আর কাজ না করার কথা ভেবে ঘরে বসেছিলেন। কিন্তু কন্যারা তা শোনেননি। অভিনেত্রীর বয়স এখন ৬৬ বছর। তিনি জানান, নতুন করে কাজে ফেরার কোনও পরিকল্পনা ছিল না তাঁর। কিন্তু দুই মেয়ে টুইঙ্কল এবং রিঙ্কি খন্নাই জোর করে তাঁকে কাজের দিকে ঠেলে দিয়েছেন।
ডিম্পল বলেন, “বাড়িতেই বসে থাকতাম। এটা এক ধরনের প্রতিবন্ধকতা এবং অনীহা এনে দিচ্ছিল। আমার মেয়েরাই বার বার বলল যে, আমার বেরোনো উচিত এবং কাজ করা উচিত।”
এক সময় বাধ্য হয়েই নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করতে হল ডিম্পলকে। তাঁর কথায়, “আমি টুইঙ্কলকে বলেছিলাম, আর কাজ করতে চাই না। অনেক করেছি। শরীরও ভাল নয়। নানা রকম চিন্তাও হয়। এখন আমায় পর্দায় কেমন দেখাবে, সেটাও ভাবি।”
টুইঙ্কল অবশ্য মনে করিয়ে দেন, টাকার দরকার আছে ডিম্পলের। তাই ফালতু চিন্তা রেখে তিনি যেন কাজে মন দেন। এখন যদি ডিম্পল কোনও কাজ নিতে না চান, নির্মাতারা সোজা যোগাযোগ করেন তাঁর কন্যা রিঙ্কির সঙ্গে। ডিম্পলের কথায়, “ও আমাকে জানায়, তার পর কাজ এগোয়। আমি খুব খুশি যে ওরাই আমায় কাজের মধ্যে ফিরিয়ে এনেছে।”
সম্প্রতি ‘পাঠান’, ‘তু ঝুঠি ম্যায় মক্কর’- এর মতো ছবিতে দেখা গিয়েছে ডিম্পলকে। ওটিটি মাধ্যমেও কাজ করছেন তিনি। মানতে দ্বিধা করেননি, কেরিয়ারের শুরুতে এত বৈচিত্রময় চরিত্র পাননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy