নায়িকা হতে চাননি মাধুরী দীক্ষিত!
তাঁর মুক্তঝরা হাসি আজও ঘুম কাড়ে কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারীর। ভক্ত হৃদয়ে তাঁর চিরকালের বাস। অথচ একের পর এক হিট ছবির সাড়াজাগানো নায়িকা নাকি অভিনেত্রী হতেই চাননি! তা হলে কী হতে চেয়েছিলেন মাধুরী দীক্ষিত? ‘ধক ধক গার্ল’-এর জন্মদিনে খুঁজে দেখা যাক সে কাহিনি।
মাত্র ১৭ বছর বয়সে বলিউডে পা রাখেন মরাঠি পরিবারের সুন্দরী কন্যে। তাপস পালের বিপরীতে ‘অবোধ’ ছবিতে যাত্রা শুরু। সে ছবি চলেনি ঠিকই। কিন্তু নজর কাড়ে মাধুরীর অভিনয়। তার পর ‘তেজাব’! আর ফিরে তাকাতে হয়নি ‘এক দো তিন গার্লকে’। একে একে ‘রাম লখন’, ‘সাজন’, ‘খলনায়ক’, হাম আপকে হ্যায় কৌন’, ‘দিল তো পাগল হ্যায়’— মাধুরীর স্পর্শে সোনা ফলিয়েছে অজস্র বলিউড ছবি।
তার পরেই আচমকা উধাও নায়িকা। আমেরিকার ব্যস্ত ডাক্তার শ্রীরাম নেনেকে বিয়ে করে বিদেশবাসিনী। এবং স্বামী-পুত্র নিয়ে ঘোরতর সংসারী। দুই ছেলে বড় হওয়ার পরে ফের একটু একটু করে বলিউডে ফিরে আসছেন সাড়াজাগানো অভিনেত্রী।
সেই মাধুরীরই নাকি স্বপ্ন ছিল একেবারে আলাদা। অভিনয়ে আসতেই চাননি কোনও দিন। মাধুরীর নাকি ইচ্ছে ছিল, মাইক্রোবায়োলজি এবং প্যাথলজির দুনিয়াতেই পেশা-জীবন গড়ে তুলবেন। স্রেফ শখই নয়, সেই বিষয়ে পড়াশোনাও আছে নায়িকার। মাইক্রোবায়োলজিতে ডিগ্রি আছে মাধুরীর।
তা হলে অভিনয়ে এলেন কেন?
এক সাক্ষাৎকারে নিজেই তা জানিয়েছেন ওটিটি ছবি ‘ফেম গেম’-এর নায়িকা। বলেছেন, ‘‘খুব কম বয়সে আচমকাই অভিনয়ের সুযোগ আসে। কিন্তু প্রথম ছবির ব্যর্থতায় খানিকটা দমে গিয়েছিলাম। ভাবছিলাম, সিদ্ধান্তটা কি ঠিক হল? তার পরে মা বোঝায়, যা-ই করি না কেন, পরিশ্রম আর লেগে থাকা ভীষণ জরুরি। সেটাই মাথায় রেখেছি বরাবর। সাফল্যও আমায় হতাশ করেনি।’’
আপাতত ওটিটিতেই পরবর্তী কাজ করছেন অভিনেত্রী। আনন্দ তিওয়ারি পরিচালিত ‘মজা মা’ ছবিতে দেখা যাবে তাঁকে। শুধু মাইক্রোবায়োলজিস্ট হওয়ার স্বপ্নটাই যা অধরা রয়ে গেল মাধুরীর!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy