Advertisement
E-Paper

Bidisha Death Mystry: অনুভবের সঙ্গেই শেষ বার কথা, গান শুনতে শুনতে আত্মহত্যা করেছেন বিদিশা?

শেষ রাতেও প্রেমিকের সঙ্গে কথা। তার পরেই নাকি কানে হেডফোন দিয়ে নিজেকে শেষ করে ফেলেন বিদিশা! মৃত্যুযন্ত্রণা এড়াতেই এত কিছু?

অনুভব বেরা এবং বিদিশা দে মজুমদার।

অনুভব বেরা এবং বিদিশা দে মজুমদার।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ মে ২০২২ ১২:২৭
Share
Save

ভোর সাড়ে তিনটে পর্যন্ত অনলাইন ছিলেন মডেল বিদিশা দে মজুমদার। তার পরেই নাকি তিনি ‘নেই’! আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে বিদিশার খুব ঘনিষ্ঠ এক বান্ধবীর দাবি, শেষ রাতের ফোনে শেষ কথাটাও নাকি প্রয়াত মডেল বলেছিলেন অনুভব বেরার সঙ্গেই। অনুভবের আগে এক বন্ধুর সঙ্গে ফোনে কথা হচ্ছিল বিদিশার। সেই সময়েই ফোন আসে প্রেমিকের। তিনি বন্ধুর ফোন কেটে অনুভবের ফোন ধরেন। কথা শেষ হওয়ার পরেই নাকি বিদিশা গলায় ওড়নার ফাঁস দেন! নাম না প্রকাশের শর্তে কথাগুলো বলেছেন তাঁর ঘনিষ্ঠ বান্ধবী। শুক্রবার দুপুর দেড়টা নাগাদ নাগেরবাজার থানায় যাওয়ার কথা অনুভবের।

বিদিশার ফোনে সারা ক্ষণ গান চলত। দামি হেডফোন কানে দিয়ে সব সময়ে গানেই ডুবে থাকতেন তিনি। সে দিনও তা-ই করছিলেন। তারই ফাঁকে কথা চলছিল বন্ধুর সঙ্গে। অনুভবের সঙ্গে কথা ফুরোতেই ফের গান বাজতে থাকে প্রয়াত মডেলের ফোনে। সেই অবস্থাতেই তিনি নাকি আত্মহত্যা করেন। বিদিশার কাছের বান্ধবীর তেমনই ধারণা।

এই বান্ধবীর বাড়িতে বিদিশার নিত্য যাওয়া-আসা ছিল। তাঁর মা-বাবার কাছে সন্তানসমই ছিলেন প্রয়াত মডেল। একই ভাবে ওই বান্ধবীও ছিলেন বিদিশার বাড়ির বড় মেয়ে! পারিবারিক কারণেই তিনি বেশ কিছু দিন যোগাযোগ করতে পারেননি বিদিশার সঙ্গে। তার জন্য প্রতি মুহূর্তে দায়ী করছেন নিজেকে। একই সঙ্গে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন অনুভবের দিকেও। তাঁর দাবি, একাধিক নারীসঙ্গে আসক্ত ওই পুরুষের জন্যই নিজের জীবনটাই দিয়ে দিল বিদিশা!

বিদিশা কতটা ভালবাসতেন অনুভবকে? তার ছোট্ট এক উদাহরণও দিয়েছেন ওই বান্ধবী। তাঁর কথায়, ‘‘করণ দাসের একটি গান আছে ‘অনুভবী হিয়া’। বিদিশার ফোনের কলার টিউন ছিল সেই গানটাই। কারণ, গানের শুরুতে ‘অনুভব’ শব্দটি আছে বলে!’’ সেই অনুভব এখন সমস্তটা অস্বীকার করছেন, মেনে নিতে পারছেন না বিদিশার বান্ধবী। তাঁর যুক্তি, সব বন্ধুদের মুখে তা হলে এই এক জনের নামই কেন? এর আগেও বিদিশা সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। বন্ধুরা তো তাঁর সেই বিশেষ বন্ধু বা অন্য পুরুষের নাম নিচ্ছেন না!

বান্ধবীর আফশোস, ‘‘চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির আগে পর্যন্ত কী ভীষণ হাসিখুশি ছিল আমার বন্ধু। বরাবরই অনুভূতিপ্রবণ মেয়ে। আমার সঙ্গে ঝগড়া করেও পরে কেঁদে ফেলত। একই সঙ্গে প্রচণ্ড রাগী, একটু একগুঁয়ে। কেউ ওকে শাসন করবে, ওর উপর দিয়ে যাবে, এটা মানতে পারত না। ফেব্রুয়ারি মাসে অনুভবের সঙ্গে ফেসবুকে প্রথম আলাপ। তার পর থেকেই বদলে যেতে থাকে বিদিশা।’’ একই কথা আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেছেন বিদিশার আরও এক বন্ধু দীপ্সা মুখোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘‘খুব চুপচাপ, শান্ত হয়ে গিয়েছিল বিদিশা। বলত, নিজেকে বদলে নিচ্ছে। অনুভবের স্ত্রী হয়ে ওর সঙ্গে সংসার করতে চায়। তার পরেই প্রশ্ন করত, অনুভব আমায় মেনে আপন করে নেবে তো?’’ বিদিশার মৃত্যুর পরে অনুভব যদিও সংবাদমাধ্যমে সে সবই অস্বীকার করেছেন।

Bidisha De Majumder Bidisha De Death Mystery sucide model

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}