দিয়ার মা ছিলেন বাঙালি।
দিয়া মির্জার জন্মদাতা পিতা ফ্রাঙ্ক হ্যান্ডরিখ একজন জার্মান শিল্পী ছিলেন। দিয়ার ন’বছর বয়সে তাঁর বাবার মৃত্যু হয়। তারও চার বছর আগে দিয়ার মায়ের সঙ্গে তাঁর বাবার বিবাহ-বিচ্ছেদ হয়ে যায়। দিয়ার মা ছিলেন বাঙালি। পেশায় অন্দরসজ্জা শিল্পী। দিয়ার মা এবং বাবা দু’জনেই অন্য সংসার পাতেন। মা দীপা হায়দরাবাদবাসী আহমেদ মির্জাকে বিয়ে করেন। দিয়া পরবর্তী কালে দ্বিতীয় বাবার পদবিই ব্যবহার করেন।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের জন্মদাতা পিতার কথা বললেন দিয়া। তাঁর আক্ষেপ, ‘‘আমি চেয়েছিলাম, বাবার কিছু জিনিস নিজের বাড়িতে নিয়ে আসব। কিন্তু সমস্তটাই আমার সৎ ভাইয়ের মালিকানায় চলে গিয়েছে।’’ তাঁর কথায় জানা গেল, কয়েক বছর আগে দিয়ার সৎ ভাই মুম্বই আসেন দীপার সঙ্গে দেখা করতে। দিয়া তাঁকে নিজেদের বাড়ি ঘুরিয়ে দেখাচ্ছিলেন। একটি দেওয়াল ভর্তি ছবির সামনে এসে দাঁড়ান দিয়া এবং তাঁর সৎ ভাই। সামনে একটি ছবি— ছোট্ট দিয়া, সঙ্গে তাঁর মা এবং জন্মদাতা পিতা। দিয়ার কথায় ‘‘সেই ছবিটি দেখার পর আমার মনের মধ্যে থেকে সমস্ত আক্ষেপ কোথায় দূর হয়ে গেল! মনে হল, পার্থিব বস্তু চেয়ে কী হবে? আমার কাছে তো বাবার স্মৃতি রয়েছে। সেগুলিই আমার কাছে সব থেকে বেশি মূল্যবান। তখনই এই এত বছরের কষ্ট, যন্ত্রণা সব উবে গেল।’’
২০১৮ সালে জার্মানিতে গিয়ে বাবার বর্তমান পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান দিয়া। তাঁদের সঙ্গে একাধিক ছবি পোস্ট করেন তিনি। নিজের শিকড়ের অন্য দিকের সঙ্গে পরিচিত হতে চেয়েছিলেন তিনি।
ব্যবসায়ী বৈভব রেখির সঙ্গে বিয়ে হওয়ার তিন মাস পর মে মাসে প্রথম সন্তানের জন্ম দিয়েছেন দিয়া। ‘প্রি-ম্যাচিওরড’ সন্তানের জন্ম দেওয়ায় জন্মের পরেই ছেলে অভ্যানকে প্রায় দু’মাস এনআইসিইউতে (নিউবর্ন ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিট) চিকিৎসাধীন থাকতে হয়েছিল। ছেলে বাড়ি ফেরার পর ছবি পোস্ট করেছিলেন দিয়া।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy