দীপিকার চরিত্র একেবারে মুখোশহীন, নিরাভরণ
ইতিমধ্যেই বেশ চর্চায় তাঁর আগামী ছবি ‘গেহরাইয়াঁ’। শকুন বত্রার এই নতুন ছবিতে একেবারে অন্য রকম এক চরিত্রে দেখা যাবে দীপিকা পাড়ুকোনকে। গালে টোল পড়া, মিষ্টি হাসির পাশের বাড়ির মেয়েটি নয়। এ কাহিনিতে সম্পর্কের নানা জটিলতায় ঘুরপাক খাওয়া দীপিকার চরিত্র একেবারে মুখোশহীন, নিরাভরণ। খানিক ভুলে ভরাও বটে। আর তাকেই ফুটিয়ে তুলতে নিজের মনের গহীনে অনুভূতির চোরাস্রোতে ডুব দিয়েছেন দীপিকা। ফিরে দেখেছেন পুরনো সম্পর্ক, ফেলে আসা অবসাদে মোড়া দিনগুলো। এ অভিজ্ঞতা তাঁর কাছে নতুন, বলছেন দীপিকা নিজেই।
‘গেহরাইয়াঁ’য় দীপিকা বছর তিরিশের আলিশা খন্না। নিজের ছ’বছরের প্রেমের সম্পর্কে একঘেয়েমিতে এসে ঠেকেছে। পেশাতেও হাজারো সমস্যা। তিতিবিরক্ত আলিশার জীবনে এই সময়েই হাজির তুতো বোন টিয়া এবং তাঁর হবু বর জেইন। আর সেখানেই জটিলতারও সূত্রপাত। জেইনের সঙ্গে আলিশার বন্ধুত্ব কোন খাতে বইবে, বাঁধা গতের বাইরে হাঁটার আকাঙক্ষায় কতটা এলোমেলো করে দেবে তিন-তিনটে জীবন— তাই নিয়েই এগোবে ছবির গল্প।
এ হেন আলিশার অনুভূতিগুলোকে জীবন্ত করে তুলতেই পিছু হেঁটেছেন দীপিকা। তাঁর কথায়, “এই চরিত্রের জন্য নিজের মনের সব আবরণ সরিয়ে ভিতরকার আসল মানুষটাকে টেনে বার করতে হয়েছে। যাতে অনুভূতিগুলো একেবারে খাঁটি, নিখাদ হয়। আর তা করতে গিয়েই ফিরে দেখতে হয়েছে অতীতের সম্পর্ক, ফেলে আসা খারাপ সময়। যে সময়টায় আমি নিজে মানসিক অবসাদে দিন কাটিয়েছিলাম। আর এই সবটাই করতে হয়েছে কারণ, এই চরিত্রটাই এমন। আবরণহীন, মানসিক ভাবে দুর্বল। যার মনের ক্ষতগুলো এখনও টাটকা।”
দীপিকার চরিত্রকে, তার মানসিক টানাপড়েনকে পর্দায় বাস্তব করে তুলতে বিস্তর খেটেছেন পরিচালক শকুন বত্রা নিজেও। বলেছেন, “দীপিকার সঙ্গে টানা আলোচনা করেছিলাম। ওঁর উদ্বেগ-অবসাদে মোড়া দিনগুলো, বিভিন্ন পুরনো সম্পর্কের অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা হত। আমরা চেয়েছিলাম, অভিনেত্রী হিসেবে নয়, এই চরিত্রটা দীপিকা ফুটিয়ে তুলুন বাস্তবের, রক্তমাংসের মানুষ হয়েই।” তাঁর মতে, প্রকৃত ভালবাসার খোঁজে নয়, গল্পে সম্পর্কে অবিশ্বাসের প্রশ্ন এসেছে সমাজের চেনা ছক, বাঁধা গতের বাইরে হাঁটার তাগিদে। আর সেখানেই দীপিকার চরিত্র হয়ে উঠেছে আর পাঁচটা ছবির নায়িকার চেয়ে একেবারে আলাদা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy