(বাঁ দিক থেকে) অনির্বাণ ভট্টাচার্য, চঞ্চল চৌধুরী, মেজবাউর রহমান সুমন, ঋত্বিক চক্রবর্তী, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত । গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
বিগত ১০ বছরে কলকাতা এবং বাংলাদেশের যৌথ প্রযোজনার ছবির সংখ্যা কমেছে। অতিমারির পর সেই সংখ্যাটা তলানিতে এসে ঠেকেছে। দীর্ঘ দিন ধরেই দুই বাংলার শিল্পীরা দুই দেশে কাজ করেছেন। তবে বাংলাদেশের ছবির ‘কনটেন্ট’ নিয়ে কয়েক বছর আগেও নাক সিঁটকোতেন টলিউড এবং এ রাজ্যের দর্শক। তুলনায় বাংলাদেশের নাটক অনেক বেশি প্রশংসিত হত। কিন্তু সাম্প্রতিক অতীতে পড়শি দেশের সিনেমা এবং ওয়েব সিরিজ়ের বিষয় ভাবনায় বিপ্লবের উত্তাপ এ পার বাংলাতেও এসে পৌঁছেছে। ফলে টলিউডের অনেকেই কিন্তু এখন ঢালিউডমুখী! এর নেপথ্যে কী কী কারণ রয়েছে? দুই বাংলার শিল্পীদের সঙ্গে কথা বলে উত্তর সন্ধানের চেষ্টা করেছিল আনন্দবাজার অনলাইন।
দুই বাংলার যৌথ প্রযোজনার ছবি জনপ্রিয় হওয়ার প্রথম লগ্ন থেকেই বাংলাদেশে একের পর এক কাজ করে চলেছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। এই মুহূর্তে অভিনেত্রীর হাতে বেশ কিছু ও পার বাংলার ছবির কাজ রয়েছে। টলিউডের কনটেন্ট একঘেয়ে বা তার মান কমছে বলেই কি শিল্পীরা এখন বাংলাদেশকে পাখির চোখ করতে চাইছেন? ঋতুপর্ণা কিন্তু এই বক্তব্যের সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত হতে পারলেন না। বললেন, ‘‘বাংলাদেশে যে এখন বেশ কিছু ইন্টারেস্টিং কাজ হচ্ছে, সেটা অস্বীকার করতে পারব না। ওখানে আমার নিজের একটা আলাদা দর্শকবৃত্ত রয়েছে। তাই তাঁদের প্রতি দায়িত্ববোধ থেকেও আমি কিছু ছবি করি।’’ সিনেমার ক্ষেত্রে বাজারের চাহিদা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই প্রসঙ্গেই দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রি এবং বলিউডের শিল্পীদের একসঙ্গে কাজের উদাহরণ দিলেন ‘দহন’-এর অভিনেত্রী। দুই বাংলার শিল্পীরা একসঙ্গে কাজ করলে দুই দেশের ব্যবধান অনেকটাই কমে যাবে বলে বিশ্বাস ঋতুপর্ণার। বাংলাদেশে কাজ করার প্রবণতা টলিপাড়ার বর্ষীয়ান অভিনেতাদের মধ্যেও লক্ষ করা যাচ্ছে। যেমন মাঝে শোনা গিয়েছিল, বর্ষীয়ান অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীও বাবা-মেয়ের সম্পর্কের প্রেক্ষিতে একটি বাংলাদেশি ছবিতে অভিনয় করতে পারেন।
বাংলাদেশে এখন ওটিটির রমরমা। কলকাতার ‘হইচই’-এর পাশাপাশি তাঁদের নিজস্ব ওটিটি ‘চড়কি’বা ‘বায়োস্কোপ’-এ মজেছেন দর্শক। তবে বছর ছয়েক আগেও কিন্তু পরিবেশ এতটা অনুকূল ছিল না। ওটিটির ভবিষ্যৎ অনুমান করেই সেই সময় ফেলুদাকে বাংলাদেশের দর্শকের কাছে ওয়েব সিরিজ়ের আকারে হাজির করেছিলেন প্রযোজক শাহরিয়ার শাকিল। ‘ফেলুদা ফেরত’ সিরিজ়ে ফেলুদা এবং তোপসের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন যথাক্রমে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় এবং ঋদ্ধি সেন। শাহরিয়ারের মতে, অতিমারির পর ওটিটির রমরমা বেড়েছে বলেই আরও বেশি করে সারা বিশ্বের বাঙালির কথা মাথায় রেখে কনটেন্ট নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। তাঁর কথায়, ‘‘বুঝতে হবে, সারা বিশ্বের বাঙালির কথা চিন্তা করলে সেখানে দুই বাংলার শিল্পীরা থাকলে, বাজারটাও একটু বেড়ে যায়।’’
শাহরিয়ার প্রযোজিত ‘সুড়ঙ্গ’ ছবিটির ট্রেলার নিয়ে এ পার বাংলাতেও চর্চা শুরু হয়েছে। তিনি নিজেও তাঁর আগামী ছবিতে কলকাতার অভিনেতাদের নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী। কথা প্রসঙ্গেই ঢালিউডের পারিশ্রমিকের নতুন কাঠামোর প্রসঙ্গ টানলেন তিনি। বললেন, ‘‘ভাল কনটেন্টের পাশাপাশি বিগত কয়েক বছরে আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে পারিশ্রমিকের পরিমাণও বেড়েছে। সেটাও কিন্তু আমাদের ইন্ডাস্ট্রির প্রতি বিদেশি শিল্পীদের আকর্ষিত হওয়ার অন্যতম কারণ।’’
ফেব্রুয়ারি মাসে মুক্তি পেয়েছিল ইন্দ্রনীল রায়চৌধুরী পরিচালিত দুই বাংলার যৌথ প্রযোজনার ছবি ‘মায়ার জঞ্জাল’। ঋত্বিক চক্রবর্তীর সঙ্গে ছবিতে জুটি বেঁধেছিলেন বাংলাদেশের অভিনেত্রী অপি করিম। ঋত্বিক অবশ্য বিষয়টিকে খুব একটা ‘তাত্ত্বিক’ দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিশ্লেষণ করতে চাইলেন না। তাঁর সহজ যুক্তি, ‘‘বাংলা ভাষায় কাজ হচ্ছে— ব্যস, এটাই তো আসল বিষয়। পাশাপাশি আমার ক্ষেত্রে কী কাজ এবং কোন পরিচালক, এই দুটো জিনিসও অগ্রাধিকার পায়।’’ তবে একই সঙ্গে ঋত্বিক জানালেন, টলিউডের সবাই কিন্তু বাংলাদেশে কাজ করছেন না। কারণ, প্রাথমিক স্তরে টলিউডের শিল্পীদের নিয়ে কাজের ভাবনাটা ও পার বাংলার নির্মাতাদের থেকেই আসতে হবে বলে মনে করেন তিনি। ওটিটি নিয়ে বাংলাদেশের একাধিক নির্মাতার সঙ্গেও ঋত্বিকের কথাবার্তা চলছে। বললেন, ‘‘সব কিছু চূড়ান্ত হলে আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি কাজ করব।’’
‘কারাগার’ ওয়েব সিরিজ় বা ‘হাওয়া’র দৌলতে বাংলাদেশের অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী এখন এ পার বাংলায় চর্চিত নাম। দুই বাংলার একসঙ্গে কাজ করার ঐতিহাসিক গুরুত্বকে তিনি আগে আলোকিত করতে চাইলেন। তাঁর মতে, ঋত্বিক ঘটক এবং গৌতম ঘোষের মতো পরিচালকেরা দীর্ঘ দিন ধরেই এ রকম উদ্যোগ নিয়েছেন। যৌথ প্রযোজনার ছবির সংখ্যা কমে যাওয়ার ক্ষেত্রে দুই দেশের প্রশাসনিক জটিলতাও একটা বড় কারণ বলে মনে করেন ‘মনের মানুষ’ ছবির এই অভিনেতা। চঞ্চল বললেন, ‘‘টিভি বা ডিভিডিতে উত্তম-সুচিত্রা বা পরবর্তী কালে প্রসেনজিৎদা, চিরঞ্জিৎদা বা রঞ্জিত মল্লিক এবং তাপস পালের ছবি দেখেছি। বরং একটা দীর্ঘ সময় আমাদের ছবি পশ্চিমবঙ্গের মানুষের দেখার সুযোগ ছিল না। ওটিটি সেই বেড়াটি ভেঙে দিয়েছে। ফলে আমার দেশের অভিনেতারাও এখন পশ্চিমবঙ্গে পরিচিত হচ্ছেন।’’ ফলে ভাল নির্মাতা বা অভিনেতার প্রতি স্বাভাবিক ভাবেই কলকাতার শিল্পীরা আকর্ষিত হচ্ছেন বলে মনে করছেন চঞ্চল। একই সঙ্গে জানালেন, ভাল কাজ দেখলে সেই পরিচালক বা অভিনেতার সঙ্গে কাজের ইচ্ছেটা তাঁর নিজের ক্ষেত্রেও অনেকটাই বেড়ে যায়। হেসে বললেন, ‘‘আসলে দর্শকের কাছে এখন ‘দেশ’ আর মুখ্য নয়। তাঁদের কাছে গুরুত্ব পায় ভাল বিষয়বস্তু।’’
বাংলাদেশের সিনেমাকে পিছনে ফেলে ওটিটি অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। সেই প্রসঙ্গেই বললেন, ‘‘আমার দেশের ইন্ডাস্ট্রি কিন্তু কলকাতার মতো পেশাদার নয়। এখানে নির্মাতারা ছবি তৈরি করেন আবেগ থেকে।’’ পাশাপাশি দুই বাংলার একসঙ্গে কাজ দুই দেশের শিল্পীদের বন্ধুত্ব বাড়াতে সাহায্য করেছে বলে মনে করছেন চঞ্চল। তিনি বিশ্বাস করেন, ভাল ‘টিম’-এর সঙ্গে কাজ করলে সেটা আর তখন শুধু বাংলাদেশ বা ভারতের দর্শকের কাছে সীমাবদ্ধ থাকে না। বললেন, ‘‘বিগত কয়েক বছরে কলকাতার এমন কোনও শিল্পী হয়তো নেই, যাঁর সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত ভাবে বা সমাজমাধ্যমে আলাপ হয়নি। এই বন্ধুত্বের জায়গা থেকেও কিন্তু দুই বাংলার কাজের ব্যাপ্তি অনেকটাই বেড়েছে।’’
বাংলাদেশের আশফাক নিপুণ পরিচালিত ‘মহানগর’ সিরিজ়টির দুটো সিজ়নই দুই বাংলায় প্রশংসিত। সিরিজ়ের দ্বিতীয় সিজ়নে ক্যামিয়ো চরিত্রে টলিপাড়া থেকে অনির্বাণ ভট্টাচার্যকে দেখা গিয়েছিল। দুই বাংলার এই একজোট হওয়ার প্রবণতাকে ইতিবাচক দিক থেকেই দেখছেন অনির্বাণ। সাম্প্রতিক অতীতে বাংলাদেশের ওটিটির কাজের উদাহরণ টেনে বললেন, ‘‘অন্য ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে অভিনেতা এবং কলাকুশলীর মেলবন্ধন হতে থাকলে সেটা তো সিনেমা শিল্পের জন্য খুবই আনন্দের বিষয়। যে কোনও অভিনেতার কাছেই সেটা লোভনীয় প্রস্তাব।’’
ইদানীং ইন্ডাস্ট্রিতে ‘কনটেন্ট ইজ় দ্য কিং’ শব্দবন্ধের প্রচার করা হয়। দুই বাংলার একজোট হওয়ার ক্ষেত্রে অনির্বাণ কিন্তু তাঁর ভোটটি শুধুমাত্র কনটেন্টকে দিতে চাইছেন না। কারণ অভিনেতার মতে, অভিনয়, সিনেমাটোগ্রাফির মতো সিনেমা তৈরির বিভিন্ন বিষয়গুলোকেও আকর্ষণীয় হতে হবে। অনির্বাণের কথায়, ‘‘কনটেন্টকে যে থালা এবং বাটিতে পরিবেশন করা হবে সেগুলোও তো পরিচ্ছন্ন হওয়া প্রয়োজন। বিগত কয়েক বছরে বাংলাদেশ কিন্তু পরিবেশনায় সেটা করে দেখাতে পেরেছে।’’ বিগত কয়েক বছরে চঞ্চল চৌধুরী এবং মোশারফ করিমের অভিনয় বা আশফাক নিপুণের কাজ যে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে নতুন ধারার দিকনির্দেশ করেছে তা নিয়ে একমত অনির্বাণ। তিনি বললেন, ‘‘একই ভাষাভাষী সেই মানুষগুলোর পাশে দাঁড়িয়ে আমরা অভিনয় করতে পারলে তো দুই বাংলাই সমৃদ্ধ হবে।’’
ইদানীং টলিপাড়ায় দশ-বারো দিনে ছবির শুটিং সারা হয়। বলা হয়, বাংলাদেশে নির্মাতারা চিত্রনাট্য লিখতে অনেকটা সময় নেন। সেটাও কি প্রজেক্ট সফল হওয়ার অন্যতম কারণ? অনির্বাণ বললেন, ‘‘শাওকী (‘কারাগার’ সিরিজ়ের পরিচালক সৈয়দ আহমেদ শাওকী) আমাকে বলেছিলেন যে, ওঁরা চিত্রনাট্য লিখতে অনেকটাই সময় নেন। কম সময়েও কিন্তু ভাল কাজ হয়। তবে এটা ঠিক, সময় নিয়ে কাজ করলে সেই ছাপটা কাজের মধ্যে দেখা যায়।’’ ‘মহানগর ৩’-এ অনির্বাণের চরিত্রটিকে আরও বড় পরিসরে দেখবেন দর্শক। তবে তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। কারণ অভিনেতা জানালেন তৃতীয় পর্বের শুটিং শুরু হবে আগামী বছর।
সম্প্রতি, ‘হাওয়া’ ছবিটিকে ঘিরে দুই বাংলার উন্মাদনার সাক্ষী থেকেছেন দর্শক। বহুল আলোচিত এই ছবির পরিচালক মেজবাউর রহমান সুমন বাংলাদেশের ওটিটির উত্থান স্মরণ করে বললেন, ‘‘আমাদের এখানে কাজের ধারাবাহিকতা ছিল ছোট পর্দায়। যে কাজ দুই বাংলায় প্রশংসিত। ওটিটির সফল পরিচালকদের একটা বড় অংশ কিন্তু সেই টিভি থেকেই উঠে এসেছেন। তাই সহজেই সাফল্য এসেছে।’’ বিগত কয়েক বছরে বাংলাদেশে ভাল সিনেমা এবং ওয়েব সিরিজ়ের ধারাবাহিকতা বজায় থাকার জন্যই তা টলিউডেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সাহায্য করেছে বলে মনে করেন সুমন।
তা হলে কি দুই বাংলার শিল্পী কোনও প্রজেক্টে একসঙ্গে কাজ করলে তা সফল হবেই? এই প্রসঙ্গে সুমন অবশ্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইলেন। তাঁর কথায়, ‘‘সে ক্ষেত্রে ছবির দর্শক বাড়ে ঠিকই। কিন্তু দিনের শেষে চিত্রনাট্যই নির্বাচন করে নেবে তার অভিনেতাকে।’’ টলিপাড়ায় বাংলাদেশের কোনও অভিনেতার করা সব কাজই যে ও পার বাংলার দর্শক দেখেন তা মানেন না সুমন। তাঁর কথায়, ‘‘কলকাতায় সেই অভিনেতার যে কাজটি চর্চিত, সেটাই আমার দেশের দর্শককে বেশি আকর্ষণ করবে বলেই আমার মনে হয়।’’
বাংলাদেশের ‘প্রিয়তমা’ ছবিতে সে দেশের সুপারস্টার শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয় করছেন এ পার বাংলার ছোট পর্দার জনপ্রিয় মুখ ইধিকা পাল। বৃহস্পতিবার শুটিংয়ের ফাঁকে ঢাকা থেকে ফোনে বলছিলেন, ‘‘ভাল গল্প। তার উপর ছবিতে শাকিব খান রয়েছেন। এই বিষয়গুলোই আমাকে ছবিটার প্রতি আকৃষ্ট করেছিল।’’ এর পাশাপাশি প্রথম কাজেই বাংলাদেশের ইন্ডাস্ট্রির তরফে যে আতিথেয়তা পেয়েছেন তাতে মুগ্ধ ইধিকা। বললেন, ‘‘ভবিষ্যতে ভাল প্রস্তাব এলে আমি আবার ঢালিউডে কাজ করতে চাই।’’
দুই বাংলার যৌথ প্রযোজনায় তৈরি হচ্ছে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত অভিনীত ‘স্পর্শ’ ছবিটি। টলিপাড়া থেকে ছবিটির অন্যতম পরিচালক অভিনন্দন দত্ত। তিনি অবশ্য দুই বাংলার যৌথ বাজারের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইলেন। বললেন, ‘‘কলকাতায় ছবির বিক্রির বাজার কিন্তু ক্রমশ পরিসরে ছোট হয়ে আসছে। বাংলা ছবিকে আমরা যে বিশ্ববাজারে নিয়ে যেতে পারছি না, তার দায় আমাদের।’’ ক্রমশ সঙ্কুচিত বাজারের পাশাপাশি নতুন ময়দানে দর্শক খোঁজাটা স্বাভাবিক প্রবণতা বলেই মনে করছেন অভিনন্দন।তার কারণ হিসাবে তিনি বললেন, ‘‘ এখানকার কোনও শিল্পী ওখানে কাজ করলে তাঁর নিজের বাজারটাও কিন্তু অনেকটাই বৃদ্ধি পায়। পরে তিনি কলকাতায় কাজ করলে, স্বাভাবিক ভাবে বাংলাদেশের দর্শকও সেই কাজ নিয়ে আগ্রহী হবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy