ফেলুদার ভূমিকায় টোটা।
তাঁর ছবি মানেই বিতর্ক। ওয়েব সিরিজ়েও সেই বিতর্ক পিছু ছাড়ল না সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের। ফেলুদার কাহিনি নিয়ে তাঁর ওয়েব সিরিজ় ‘ফেলুদা ফেরত’-এর প্রথম সিজ়নের ট্রেলার রিলিজ় করতেই বিতর্ক শুরু। ‘ছিন্নমস্তার অভিশাপ’ নিয়ে তৈরি প্রথম সিজ়ন, সেখানে ক্রেডিটের জায়গায় কেন ‘রিটন বাই সৃজিত মুখার্জি’ লেখা? কাহিনি তো সত্যজিৎ রায়ের। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নিয়ে তর্ক-বিতর্ক চলতেই থাকে। তবে ফেলুদা ভক্তদের আবেগের কথা ভেবে এবং অযথা জটিলতা এড়াতে সিরিজ়ের নির্মাতারা শেষ পর্যন্ত ক্রেডিট বদলে দিয়ে করেন, ‘স্ক্রিনপ্লে, ডায়লগ অ্যান্ড ডিরেকশন সৃজিত মুখার্জি’।
সোশ্যাল মিডিয়ায় দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে রীতিমতো মৌখিক দ্বন্দ্ব শুরু হয়ে যায় এই নিয়ে। একদলের দাবি, সিরিজ় তৈরির সময়ে কাহিনি সেই মতো ঢেলে সাজাতে হয়। সে ক্ষেত্রে ‘রিটন বাই’ হিসেবে সৃজিতের নাম লেখায় কোনও ভুল নেই। সৃজিত নিজেও একই যুক্তি দিয়েছেন। এর আগে সত্যজিৎ রায়, ঋতুপর্ণ ঘোষ যখন রবীন্দ্রসাহিত্য থেকে ছবি করেছেন, তখন তাঁরাও লেখক হিসেবে নিজেদের নাম রেখেছেন। এমন উদাহরণ স্ত্রিনশট তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন অনেকে। ‘‘ক্রেডিট লাইনে তো সবচেয়ে আগে লেখাই আছে সত্যজিৎ রায়ের কাহিনি অবলম্বনে। আর একটা গল্পকে সিনেমা বা সিরিজ় করতে গেলে তাতে অনেক সংযোজন হয়। স্ক্রিনপ্লে, সংলাপ সবটা মিলিয়ে জিনিসটা গড়ে ওঠে। এই সহজ কথাটা কাউকে বোঝাতে পারছি না,’’ যুক্তি দিলেন সৃজিত। নিজের যুক্তিতে আস্থা থাকলে চাপের কাছে নতিস্বীকার করলেন কেন? ‘‘এটা নতিস্বীকার নয়। প্রথমে যেটা লেখা ছিল সেটাও ঠিক ছিল। এখন যেটা আছে সেটাও ভুল নয়। আর আড্ডাটাইমস চাইছে এই বিতর্কটা থেমে যাক। অযথা ঝামেলা বাড়িয়ে তো লাভ নেই। আমার পক্ষেও জনে জনে গিয়ে যুক্তি দিয়ে বোঝানো সম্ভব নয়।’’ এই বিতর্ক সিরিজ়কে বাড়তি কোনও সুবিধে দেয় কি না, সেটাই দেখার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy