(বাঁ দিক থেকে) সিদ্ধার্থ মলহোত্র, ডেভিড ধওয়ান ও বরুণ ধওয়ান। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
সিদ্ধার্থ মলহোত্রকে নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেন বরুণ ধওয়ান। সম্প্রতি আরবাজ় খানের সঙ্গে একটি কথপোকথনে এই তথ্য প্রকাশ্যে আনলেন বরুণের বাবা ডেভিড ধওয়ান। বিদেশে পড়াশোনা শেষ করার পরে মা-বাবা ভেবেছিলেন, ছেলে ব্যাঙ্কে চাকরি করবেন। কিন্তু হঠাৎ এক দিন বরুণ কাউকে কিছু না বলেই কর্ণ জোহরের কাছে চলে যান। ‘মাই নেম ইজ় খান’ ছবিতে সহ-পরিচালকের কাজ শুরু করেন। এর পরে এক দিন ‘স্টুডেন্ট অফ দ্য ইয়ার’ ছবির জন্য কর্ণ জোহর ডেভিডের বাড়িতে গিয়ে জানিয়েছিলেন, তিনি চান বরুণ নায়ক হিসাবে আত্মপ্রকাশ করুন। তার পরে বরুণ ও সিদ্ধার্থের ফোটোশুট করান কর্ণ। ছবির শুটিংয়ের সময় প্রায়শই সিদ্ধার্থের কারণে নিজের অবস্থান নিয়ে সন্দিহান হয়ে পড়তেন বরুণ ।
ডেভিডের কথায়, “আমি ওর সঙ্গে থাকতাম। কিছু কিছু সময় দেখতাম ও বিষণ্ণ হয়ে পড়ত। আমি বুঝিয়েছিলাম, ছবিতে দু’জন নায়ক থাকলে এ রকম অনুভূতি হয়।” তবে ছেলেকে আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছিলেন বাবা। বলেছিলেন, “তুমি যথেষ্ট ভাল। ভয় পেয়ো না। ঝাঁপিয়ে পড়ো।” ছবি মুক্তি পাওয়ার পরে অমিতাভ বচ্চন ও জয়া বচ্চন বরুণকে নিয়ে বলেছিলেন “লম্বা রেসের ঘোড়া”, জানালেন ডেভিড।
সেই সময় অনেকেই পরামর্শ দিয়েছিলেন, ডেভিড ও বরুণ যেন একসঙ্গে ছবি করেন। কিন্তু বরুণ এক ধরনের ছবিতে অভিনয় করতে অভ্যস্ত তখন। বাবার সঙ্গে কাজ করার প্রস্তুতি ছিল না তখনও। পরবর্তী কালে ‘ম্যায় তেরা হিরো’ ছবিতে ছেলেকে কাস্ট করেন ডেভিড। শুটিংয়ের দ্বিতীয় দিনে কান্নাকাটি করেছিলেন বরুণ, স্মরণ করিয়ে দিলেন আরবাজ়। জবাবে ডেভিড বললেন, “আমার ছেলে বলে বিশেষ সুবিধা পাবে না।” জানালেন, ছেলেকে শক্ত হাতে শাসন করতেন শুটিং ফ্লোরে।
একটি দৃশ্যে বরুণ বাইক চালাবেন। শুটিংয়ের শুরুতে গাড়ি থেকে পড়ে যান বরুণ। তা দেখে ডেভিড ছেলেকে বলেছিলেন, “কোথা থেকে চলে এসেছে এই কর্ণ জোহরের নায়ক!” পরে ঘটনাটি নিয়ে দাদার কাছে বরুণ অভিমান করেছিলেন, বাবা কী ভাবে তাঁকে সকলের সামনে অপমান করেছেন! এই ছবির পরে ‘জুড়ুয়া ২’, ‘কুলি নং ১’ ছবিতে ছেলেকে কাস্ট করেছিলেন ডেভিড।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy