ছবি: সংগৃহীত।
একটি সিনেমা বদলে দিয়েছিল দর্শিল সাফারির জীবন। ‘তারে জমিন পর’ ছবিতে ডিসলেক্সিয়া-আক্রান্ত ঈশান অবস্তির চরিত্রে অভিনয় করে রাতারাতি প্রচারের আলোয় চলে আসেন দর্শিল। সেই সময় কিশোর দর্শিলের উঁচু, এবড়োখেবড়ো দাঁত নিয়ে হাসি-মশকরা করত বন্ধুরা। সে কথা জানিয়েছিল খুদে দর্শিলই। তবে অধুনা ২৫ বছরের সেই যুবক জানালেন, দাঁতের ওই রকম আকার না থাকলে তিনি ছবিটিতে অভিনয় করার সুযোগই পেতেন না।
‘তারে জমিন পর’-এ অভিনয়ের সময় দর্শিলের বয়স মাত্র দশ। ছবিতে ঈশান নামে ডিসলেক্সিয়া আক্রান্ত এক বালকের চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। দেখা যায়, ঈশানের পরিবারের লোকজন এবং স্কুলের শিক্ষকরা কেউই তার অদ্ভুত আচরণের কারণ বুঝতে পারছেন না। পরে বোঝা যায়, চরিত্রটি ডিসলেক্সিয়ায় আক্রান্ত।
‘তারে জমিন পর’ ছবিতে আমির খানের মতো অভিনেতার সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন দর্শিল। সেই অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে তিনি একটি সংবাদমাধ্যমকে জানান, তিনি ভয় পেতেন যে, অভিনয়ে কোনও ভুলচুক করলে আমির তাঁকে বকবেন। কিন্তু কোনও দিনই আমির তাঁকে বকেননি বলে জানিয়েছেন তিনি।
‘তারে জমিন পর’-এর সুখস্মৃতিকে সঙ্গে নিয়েই ফের বড় পর্দায় ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। কিন্তু নিজেই জানালেন, ইন্ডাস্ট্রিতে যত দ্রুত প্রতিষ্ঠিত হবেন ভেবেছিলেন, তত দ্রুত প্রতিষ্ঠিত হতে পারেননি তিনি। তাঁর কারণ হিসাবে কোভিডকেই দায়ী করেছেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন, বড় পর্দায় কাজের জন্য অনেক পরিচালক, প্রযোজকের সঙ্গে কথাবার্তা এগিয়ে গেলেও কোভিডের কারণে সব কাজ অনির্দিষ্ট কালের জন্য পিছিয়ে যায়।
তবে ১৭ নভেম্বরই একটি জনপ্রিয় ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেয়েছে তাঁর ‘ক্যাপিটাল এ স্মল এ’ নামে একটি স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি। পরবর্তী কালে অভিনেত্রী সারা আলি খান এবং জাহ্নবী কপূরের সঙ্গে কাজ করতে চান বলে জানিয়েছেন এই অভিনেতা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy