‘বছরের বেস্ট ২০২৪’-এর মঞ্চে এল বৃষ্টি, দর্শন চক্রবর্তীর পরিচালনায় ‘স্যাফায়ার’ নৃত্যগোষ্ঠীর পরিবেশনা। নিজস্ব চিত্র।
জীবনের জন্য জীবনের দিকে পথ চলা। এই তো নীল গ্রহের দিনলিপি। ‘বছরের বেস্ট ২০২৪’ শুরু হয়েছিল পরমপুরুষের কাছে দয়া প্রার্থনার মধ্য দিয়ে। তার পর অনুপম গেয়েছিলেন শৃণ্বন্তু বিশ্বের অমৃতের পুত্রের গান। সেই শৃণ্বন্তু বিশ্বেরই আর এক ছবি ফুটে উঠল পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের বিরতিতে।
নৃত্যশিল্পী সুদর্শন চক্রবর্তীর পরিচালনায় তাঁর দল ‘স্যাফায়ার ক্রিয়েশন ডান্স কোম্পানি’ তুলে ধরল এ পৃথিবীর ঋতুরঙ্গ। তবে নৃত্যানুষ্ঠান শুরুর আগেই সঞ্চালকেরা মজা করে বলেছিলেন, এ বঙ্গে ঋতু শুধু দু’টি, ‘কম গরম’ আর ‘বেশি গরম’, আর কোনও ঋতু নেই! স্যাফায়ারের নাচ অবশ্য এতখানি চরমভাবাপন্ন ছিল না। শিল্পীরা বেছে নিয়েছিলেন চারটি ঋতু। যে চারটি ঋতুর সঙ্গে নিশ্চিত ভাবে মিলে যায় অনন্ত পথযাত্রী মানুষের জীবন। গ্রীষ্ম, বর্ষা, শীত আর বসন্ত। শরীরী হিল্লোলে ধরা পড়ে যেন জীবনের চারটি পর্যায়।
মৌসুমি হাওয়া যে দেশের প্রাণভোমরা, সে দেশে গ্রীষ্মের থেকে বেশি আর্তি আর কোথায়! প্রখর দারুণ দীর্ঘ সেই দগ্ধ দিনের ছবি ফুটে ওঠে মঞ্চে। ধরা পড়ে তৃষ্ণা। ফুটিফাটা ধরিত্রী যেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়ে যায়, এ রূপ, রস, অহংবোধ— সবই আসলে নশ্বর। এক মুহূর্তে নষ্ট হয়ে যেতে পারে সর্বস্ব। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয় না। প্রাণদায়ী বারিধারা নেমে আসে মহাশূন্য থেকে। নীল জলের ছোঁয়ায় সবুজ হয়ে ওঠে পৃথিবী। না, জলের রং নেই, নেই আকার। আছে শুধু প্রাণ। তবু সে প্রাণ এক দিন ফুরোয়। আসে জরা, আসে শীত। শুষ্কতার এ যেন এক অন্য রূপ। ফুরিয়ে আসা প্রাণের শেষ স্পন্দন ঝরে যায় উত্তরের শীতল বাতাসে।
কিন্তু সেখানেই কি শেষ? না তো। আবার শুরু হয় নতুন জীবন। একেবারে নতুন। গোলাপি রঙে, প্রেমের প্রসাদে আসে বসন্ত। সেই শৃণ্বন্তু বিশ্বের অমৃত পুত্র। অনিঃশেষ, অনাদি এবং অনন্ত। এ ভাবেই চলতে থাকে জীবন। এ যেন এক অনন্ত বৃত্ত, মঞ্চের উপর যা ফুটে উঠল সুদর্শন চক্রবর্তীর পরিচালনায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy