Advertisement
০৩ নভেম্বর ২০২৪
Dance Dance Junior Season 2

‘মাদুরওয়ালা’ ডাক থেকে বাবাকে মুক্তি দিতে নর্তক হতে চায় ‘ডান্স ডান্স জুনিয়র’-এর শুকদেব

সৌম্যজিতের কোরিয়োগ্রাফার অদিতি তাকে নিয়ে কলকাতার শহর ঘুরতে গিয়েছিলেন। তার সারল্য মাখা বিস্ময়ে আপ্নুত কোরিয়োগ্রাফার।

সৌম্যজিৎ ও শুকদেব

সৌম্যজিৎ ও শুকদেব

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৪:২৮
Share: Save:

তার বাবাকে ‘মাদুরওয়ালা’ বলে ডাকে সবাই। যেন তার বাবার কোনও নাম নেই। তার পরিবারের সবারই যেন এই একটাই নাম, ‘মাদুরওয়ালা’। বাবার সম্মানের জন্য পরিশ্রম করতে চায় সে। চিৎকার করে নয়, শরীরের ভাষা দিয়েই বোঝাতে চায় তার মনের ভাব। নাচ করে। সেই ১১ বছরের শুকদেবের ইচ্ছাপূরণের পথে একটা দরজা খুলে দিল ‘স্টার জলসা’-এর ‘ডান্স ডান্স জুনিয়র সিজন ২’।

উত্তর ২৪ পরগণার গ্রাম গুমা থেকে এসেছে সে। বাবা মাদুর তৈরি করেন। কষ্ট করে সংসার চালাতে হয় তাঁদের। ভাল জামা কাপড় নেই বলে কোনও অনুষ্ঠানে যেতে পারে না শুকদেবরা। বাবার সম্মানের জন্যই বড় নৃত্যশিল্পী হতে চায় সে।

১১ বছরের সৌম্যজিতেরও ইচ্ছে, সে তার নিজের পরিচিতি তৈরি করবে। নাচ করে সকলকে তাক লাগিয়ে দেবে সে। বাঁকুড়ায় বাড়ি তার। কলকাতার চাকচিক্য দেখার সুযোগ হয়নি কোনও দিন। ‘ডান্স ডান্স জুনিয়র ২’-এর দৌলতে তার স্বপ্নপূরণ হয়েছে। সৌম্যজিতের কোরিয়োগ্রাফার অদিতি তাকে নিয়ে কলকাতার শহর ঘুরতে গিয়েছিলেন। তার সারল্য মাখা বিস্ময়ে আপ্নুত কোরিয়োগ্রাফার। অদিতি জানালেন, ‘‘সৌম্যজিতের কাছ থেকে একটা বড় শিক্ষা পেয়েছি আমি। ছোট ছোট জিনিসের মধ্যে যে অগাধ আনন্দ লুকিয়ে থাকে, তা আগে জানতাম না।’’

শুকদেব

শুকদেব

সৌম্যজিৎ

সৌম্যজিৎ

টলিউড ও বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা ও নৃত্যশিল্পী মিঠুন চক্রবর্তী, টলিউডের সুপারস্টার দেব, টলি অভিনেত্রী মনামি ঘোষের সান্নিধ্যে ১৫ জন কিশোর-কিশোরী তাদের প্রতিভা নিয়ে এসেছে গোটা বাংলার কাছে। প্রতি দিন বাংলার দর্শকের জন্য নতুন নতুন চমক নিয়ে আসছে ‘স্টার জলসা’। ২৭ ও ২৮ ফেব্রুয়ারি এই কিশোরদের প্রতিভার ঝলক দেখতে পাওয়া যাবে ‘ডান্স ডান্স জুনিয়র সিজন ২’-তে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE