রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত।
শেষ কয়েক বছরে ছোট পর্দায় সঞ্চালিকা হিসাবেই তাঁকে ক্যামেরার সামনে বেশি দেখছেন দর্শক। এখন তিনি টলিপাড়ার ‘দিদি’। বহু দিন হয়ে গেল বড় পর্দায় রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখেননি দর্শক। শেষ ১০ বছর ধরে তাঁকে সঞ্চালকের ভূমিকায় দেখা যায় তাঁকে। তবে শুটিংয়ের ব্যস্ততার মাঝে পরিবারের জন্য তোলা থাকে পর্যাপ্ত সময়। ছেলের রৌনকের প্রতিটি জিনিসে নজর মা রচনার। দর্শকের একাংশের ধারণা, তারকা-সন্তানেরা সহজে অনেক কিছু পেয়ে যায় বলে মূল্যবোধ তৈরি হয় না। কিংবা মা-বাবার খ্যাতির প্রভাব পড়ে তাঁদের জীবনেও। এ ছাড়া ব্যস্ততার কারণেও অনেক অভিনেতা সময় পান না ছেলেমেয়ের পড়াশোনার দিকে নজর দিতে। যদিও সে কথা রচনার ক্ষেত্রে যে প্রযোজ্য নয় তা ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে কান পাতলেই শোনা যেত। সেই প্রমাণ আবারও মিলল ‘দিদি নম্বর ১’-এর নতুন পর্বে।
নতুন পর্বে অতিথি হিসাবে এসেছিলেন ছোট পর্দার আরও এক জনপ্রিয় সঞ্চালিকা সুদীপা চট্টোপাধ্যায়। দীর্ঘ দিন ‘রান্নাঘর’ নামক জনপ্রিয় রান্নার শো-এর সঞ্চালিকা ছিলেন তিনি। এ বার এই শো-এর মঞ্চে এসে ফাঁস করলেন রচনার জীবনের আর এক গোপন তথ্য। এমনিতেই শো-এর বিভিন্ন পর্বে নিজের ছেলের সম্পর্কে নানা কথা বলে থাকেন নায়িকা। ছেলে বড় হচ্ছে তাই তাকে সামলাতে গিয়ে মাঝেমাঝে হিমশিমও খেতে হয় রচনাকে। আবার অনেক প্রতিযোগীকে সন্তান সামলানোর টিপস্ও দেন তিনি। রচনা নিজে তাঁর ছেলেকে সামলাতে, সঠিক পথে রাখতে কী কী করেন সে কথা ফাঁস করলেন সুদীপা।
তিনি বলেন, “আমার আর রচনাদির (বন্দ্যোপাধ্যায়) রূপসজ্জার ঘর পাশাপাশি ছিল। দিদির সেই ঘরে একটি বোরখা টাঙানো থাকত। এক দিন আগ্রহের বশে এক জনকে জিজ্ঞেস করি এখানে এই বোরখাটা ঝুলছে কেন? তখন জানতে পারি রৌনককে পড়ানোর জন্য, ওকে সময় দেওয়ার জন্য বিশেষ পন্থা বার করেছেন দিদি।” রচনা সেই বোরখা পরে মেট্রো করে কালীঘাট আসতেন। মেট্রো স্টেশনের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকত তাঁর বাড়ির গাড়ি। সেই গাড়িতে করে বাড়ি পৌঁছতেন তিনি। রৌনককে সঠিক সময়ে যাতে পড়াতে বসাতে পারেন, সেই জন্যই এই উপায় বার করেছিলেন রচনা। এই ঘটনা ভাগ করে নিয়ে সুদীপা জানান, তিনি নিজেও এখন এক জন মা। রচনার মতো তিনি ছেলে আদিদেবকে সঠিক ভাবে মানুষ করতে চান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy