সইফ আলি খানের উপর হামলার ঘটনা নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল বি-টাউনে। মধ্যরাতে অভিনেতার বাড়িতে ঢুকে পড়েন এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি। উদ্দেশ্য ছিল চুরির। কিন্তু বাধা পেয়ে অভিনেতাকে ছ’বার ছুরিকাঘাত করেছিলেন তিনি। প্রাথমিক তদন্তে এমনই জানা গিয়েছিল। তিন দিনের মাথায় মুম্বই পুলিশের জালে ধরাও পড়েন। শরিফুল ইসলাম নামে সেই দুষ্কৃতীকে নাকি সইফ-পুত্র ইব্রাহিম আলি খানের প্রথম ছবি ‘নাদানিয়া’ দেখার নিদান দেওয়া হল।
শরিফুল বাংলাদেশের বাসিন্দা। অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। তদন্ত এখনও জারি রয়েছে। সেই শরিফুল ইসলামকেই নাকি শাস্তিস্বরূপ ইব্রাহিমের ছবি দেখতে বলা হয়েছে! কৌতুকশিল্পী প্রণীত মোরে ‘নাদানিয়া’ ছবির সমালোচনা করতে গিয়ে এমনই খোঁচা দিয়েছেন। ইব্রাহিম ও খুশি কপূরের অভিনয়কেও একহাত নিয়েছেন তিনি।
প্রণীত খোঁচা দিয়ে বলেছেন, “খুশি কপূর তো অন্য মাত্রায় চলছেন। খুশির আগের ছবিটি ছিল আমির খানের পুত্র জুনেইদ খানের সঙ্গে। ওই ছবিতে জুনেইদের ভাবমূর্তিটাও খারাপ করে দিলেন। এই ছবিটা সইফ আলি খানের ছেলে ইব্রাহিম আলি খানের সঙ্গে। ইব্রাহিমের ভাবমূর্তিও খারাপ হয়ে গেল।”
এখানেই শেষ নয়। খুশি কপূরকে একহাত নিয়ে প্রণীত বলেছেন, “খুশি বোধহয় প্রতিজ্ঞা করেছেন, ‘দিল চাহতা হ্যায়’ ছবিতে যাঁরাই অভিনয় করেছেন, তাঁদের বাচ্চাদের অবস্থা খারাপ করে দেবেন। তবে অক্ষয় খান্না ভাল আছেন। ভাবছেন, ভাগ্যিস তিনি বিয়ে করেননি।” এর পরেই সেই দুষ্কৃতীর প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলেন প্রণীত। তিনি বলেন, “এত খারাপ অভিনয় করেছে এরা, সইফ-কাণ্ডের দুষ্কৃতীকে বিচারক বলেছেন, ‘তোমাকে ফাঁসি দেব না। কিন্তু তোমাকে ‘নাদানিয়া’ ছবিটি দু’বার দেখতে হবে’। ওই বেচারাও চিৎকার করে বলেছে, ‘তার চেয়ে আমার গলাটা কেটে দাও’।” সবটাই তিনি বলেছেন রসিকতা করে।
‘নাদানিয়া’ ছবিতে ইব্রাহিম ও খুশি ছাড়াও অভিনয় করেছেন দিয়া মির্জ়া, মহিমা চৌধুরী, সুনীল শেট্টি, যুগল হংসরাজ।