Advertisement
২২ ডিসেম্বর ২০২৪
Pallavi Dey

Pallavi Dey death mystery: পল্লবীর শ্যুটিং ছিল সকালে, ইউনিট থেকে ফোন করেছে বার বার, জানালেন অঞ্জনা বসু

সবাই যখন কিংকর্তব্যবিমূঢ়, তখনই পল্লবীর এক বন্ধু যোগাযোগ করেন প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে। জানা যায়, এত বড় অঘটন ঘটে গিয়েছে।

পল্লবীর সঙ্গে একই ধারাবাহিকে কাজ করতেন অঞ্জনা।

পল্লবীর সঙ্গে একই ধারাবাহিকে কাজ করতেন অঞ্জনা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ মে ২০২২ ১৬:৪৮
Share: Save:

মাত্র ২৫-এর শান্ত স্বভাবের মিষ্টি মেয়েটা ‘নেই’! ভাবতেই পারছেন না ‘মন মানে না’ ধারাবাহিকের প্রয়াত নায়িকা পল্লবী দে-র সহ-অভিনেত্রী অঞ্জনা বসু। বৃহস্পতিবারই একসঙ্গে শ্যুট করেছেন। আড্ডা দিয়েছেন রূপটান ঘরে বসে। পর্দার সেই ‘গৌরী’র ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে রবিবার সকালে। অঞ্জনার কথায়, ‘‘শুক্র আর শনিবার আমাদের ছুটি ছিল। বদলে রবিবার শ্যুট। আমার নেই। পল্লবীর ছিল। সাধারণত নির্দিষ্ট সময়েই চলে আসত। দেরি হচ্ছে দেখে প্রযোজনা সংস্থা থেকে ওর ফোনে ফোনের পরে ফোন। কোথায় গেল মেয়েটা? ফোন করা হয় ওর প্রেমিককেও। ফোন বেজে গিয়েছে। কোনও সাড়া নেই!’’

সবাই যখন কিংকর্তব্যবিমূঢ়, তখনই পল্লবীর এক বন্ধু যোগাযোগ করেন প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে। জানা যায়, এত বড় অঘটন ঘটে গিয়েছে। আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে কথা বলতে বলতেই গলা ধরে এসেছে জনপ্রিয় অভিনেত্রী-রাজনীতিবিদের। কাজের চাপ না সম্পর্কের চাপ, কোন চোরাবালিতে মাত্র ২৫-এই তলিয়ে গেলেন পল্লবী? জবাব জানা নেই তাঁরও। তবে নিজমুখেই স্বীকার করেছেন, বর্তমানে ছোট পর্দায় কাজের চাপ প্রচণ্ড। অতিমারির পর থেকে আর আগের মতো রাত জেগে কাজ হয় না। রাত ৯টার পরে শ্যুট গুটিয়ে ফেলার চেষ্টা করা হয়। ফলে, দম ফেলার ফুরসত থাকে না কারওরই। পল্লবীরও ছিল না।

অঞ্জনার মুখেও জয়জিতের মতোই পল্লবীর মনখারাপের কথা শোনা গিয়েছে। যদিও তাকে গুরুত্ব দিয়ে রাজি নন তিনি। অভিনেত্রীর কথায়, ‘‘বিশেষ কোনও কারণে মনখারাপ আমাদেরও হয়। মা-মাসিমাদেরও হত। সব দিন সমান উৎসাহ বা প্রাণপ্রাচুর্য কারওরই থাকে না। শিল্পীদের তো আরও থাকে না। কারণ, শিল্পীরা ভীষণ স্পর্শকাতর, প্রচণ্ড অনুভূতিপ্রবণ। পল্লবীরও মাঝেমধ্যে তেমনটাই হত। কিন্তু সেটে আমাদের মধ্যে এলে চনমনে হয়ে উঠত।’’

পাশাপাশি আরও একটি দিকে আঙুল রেখেছেন তিনি। ‘কিশমিশ’-এ দেবের মায়ের দাবি, কাজের কারণে পরিবার ছেড়ে বেরিয়ে এসে একা থাকাটা বোধহয় ঠিক নয়। কারণ, পরিবার বা মা-বাবা যে ভাবে আগলে রাখেন, ভালবাসেন, অন্য কেউ তা করেন না। তিনি যতই আপন বা ভালবাসার মানুষ হোন না কেন। অঞ্জনার আফশোস, ‘‘প্রজন্মের দাবি মেনে পল্লবীও বন্ধনহীন সম্পর্কে একত্রবাস করছিল। মা-বাবার সঙ্গে থাকলে যতই সমস্যা আসুক, তাঁরা ঠিক সামলে দিতেন। এটা আমার বিশ্বাস। তা হলে হয়তো এ ভাবে অসময়ে ঝরে যেতে হত না ওকে। পাশে পরিবার নেই মানে পিছু ডাকারও যে কেউ নেই!’’

অন্য বিষয়গুলি:

Pallavi Dey Death Tollywood
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy