অনিচ্ছাকৃত গর্ভপাতে তৃতীয় সন্তানকে হারিয়েছেন ক্রিসি আর জন।
অনিচ্ছাকৃত গর্ভপাত নয়, নিজের প্রাণ বাঁচাতে গর্ভস্থ ভ্রূণ নষ্ট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ক্রিসি টেইগেন। তিনি তখন প্রায় পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। পৃথিবীর আলো দেখানোর আগেই হারিয়েছিলেন পুত্র জ্যাককে। ২০২০ সালের সেই ঘটনা মনে করলে এখনও শিউরে ওঠেন মডেল-তারকা। জনপ্রিয় আমেরিকান গীতিকার তথা সঙ্গীতশিল্পী লেজেন্ডের সঙ্গে সে ছিল তাঁর তৃতীয় সন্তান।
গর্ভাবস্থায় তৈরি হওয়া কিছু জটিলতার কারণেই জ্যাককে হারিয়েছিলেন ক্রিসি। তবে আরও মর্মান্তিক তথ্য ছিল নেপথ্যে। ডাক্তাররা জানিয়ে দিয়েছিলেন, এমনিও বাঁচবে না সেই শিশু। মৃত সন্তান গর্ভে ধরে প্রাণসংশয় হতে পারত মায়েরও। অতএব গর্ভপাতের পথ বেছে নেন দম্পতি। হৃদয়বিদারক সেই ঘটনার কথা ভাগ করে নেন এক বছর পরে। তার আগে গোটা বিশ্ব জেনেছিল, অনিচ্ছাকৃত গর্ভপাতে তৃতীয় সন্তানকে হারিয়েছেন ক্রিসি আর জন।
ক্রিসি বলেন,“গর্ভপাত বললেই দৃষ্টিভঙ্গি বদলে যায়। কিন্তু এটা গর্ভপাত ছিল শিশুর দিক দিয়ে দেখলে। অন্য দিকে,আমার জীবন বাঁচানোর জন্য সেটাই ছিল চিকিৎসা পদ্ধতি।”
ছয় বছরের মেয়ে লুনা এবং চার বছরের ছেলে মাইলসের পরে জ্যাক আসেনি। তবে আসছে অন্য কেউ। আবার গর্ভবতী হয়েছেন ক্রিসি। ভাগ করে নিলেন সেই সুখবরও।
তবে আইনের হাত থেকে নিষ্কৃতি পাবেন কি? স্বেচ্ছায় গর্ভপাত এখন অপরাধ হিসাবে গণ্য হচ্ছে আমেরিকায়। এক বছরেরও বেশি সময় বিষয়টা জনসমক্ষে বলতে না পেরে অপরাধবোধে ভুগছিলেন ক্রিসি। এই বছরের জুন মাসে সুপ্রিম কোর্ট রো ভি ওয়েডের প্রস্তাব বাতিল করার পরেই উপলব্ধি করেছিলেন ক্রিসি। মনে হয়েছিল, বোকামি করেছেন। নিজের কাছে নিজে স্পষ্ট হতে বছর ঘুরে গেল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy