Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪
Entertainment News

‘গোপালভাঁড়’ রক্তিম এখন কী করছে জানেন?

সে দিন দুপুর শেষ হয়ে বিকেলকে প্রায় ছুঁয়ে ফেলেছে। ‘বেদের মেয়ে জ্যোত্স্না’র মেকআপ রুমে তখন রক্তিমের বিশ্রামের সময়। শটের ডাক আসেনি। তৈরিও হয়নি ‘গজরাজ’।

‘গোপালভাঁড়’-এর লুকে রক্তিম।

‘গোপালভাঁড়’-এর লুকে রক্তিম।

স্বরলিপি ভট্টাচার্য
শেষ আপডেট: ১১ জুন ২০১৯ ১৩:১৫
Share: Save:

গোলগাল চেহারা। হাসিমুখ। আর কথার ফুলঝুড়ি। রক্তিম সামন্তকে এ ভাবেই চেনেন বাংলার দর্শক। উপস্থাপনার মাধ্যমে প্রথম লাইমলাইটে আসা। তার পর অভিনয়ও এসেছে নিয়ম মেনেই। জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘গোপাল ভাঁড়’-এ মূল চরিত্রে অভিনয় করেছিল রক্তিম। আর এখন ‘বেদের মেয়ে জ্যোত্স্না’ ধারাবাহিকে ‘গজরাজ’-এর ভূমিকায় অভিনয় করছে পঞ্চম শ্রেণির এই পড়ুয়া।

সে দিন দুপুর শেষ হয়ে বিকেলকে প্রায় ছুঁয়ে ফেলেছে। ‘বেদের মেয়ে জ্যোত্স্না’র মেকআপ রুমে তখন রক্তিমের বিশ্রামের সময়। শটের ডাক আসেনি। তৈরিও হয়নি ‘গজরাজ’। ‘‘জানো তো, এখন গজরাজ পুরোহিত সেজেছে। একটু পরে সিনে ডাকবে। তৈরি হতে হতে কথা বলি?’’— বলল রক্তিম।

‘‘নিশ্চয়ই…।’’ কোনও প্রশ্ন করার আগেই রক্তিমের স্বগতোক্তি: ‘‘তুমি ভাবতেও পারবে না, আমার এটা করতে কত ভাল লাগছে। গজরাজ লাড্ডু, ফল ভালবাসে। আর আমি বিরিয়ানি, রায়তা ভালবাসি। তবে ওর মতো দুষ্টু লোকেদের নাকে দড়ি দিয়ে ঘোরাতে আমারও ভাল লাগে।’’

আরও পড়ুন, ‘রাইফেল’-এর নেপথ্যে অর্পিতা-রুদ্রনীল!

উত্তরপাড়ার বাড়ি থেকে উত্তর কলকাতায় দিল্লি পাবলিক স্কুল হোক বা স্টুডিও পাড়া— রক্তিমের সঙ্গী ওর মা স্নিগ্ধা সামন্ত। সাড়ে চার বছরের রক্তিম যে দিন অডিশন দিয়ে ‘দাদাগিরি’র মঞ্চে সুযোগ পায়, সেটাই ছেলের টার্নিং পয়েন্ট বলে মনে করেন তিনি। বাড়িতে টিভি থাকলেও কেবল কানেকশন নেই। ছোট থেকে রক্তিম কোনওদিন টিভি দেখতে দেখতে খাওয়া শেখেনি। সে কারণে ক্লাস ফাইভে ইউটিউব দেখলেও তা মোহে পরিণত হয়নি বলে মনে করেন স্নিগ্ধা।


‘গজরাজ’-এর লুকে রক্তিম।

‘দিদি নম্বর ওয়ান’, ‘ডান্স বাংলা ডান্স’, ‘গোপাল ভাঁড়’— একের পর এক কাজ করেছে রক্তিম। কিন্তু স্নিগ্ধা বা তাঁর স্বামী, পেশায় ব্যবসায়ী রাজীব, কোনও দিনই ছেলেকে প্রথম হওয়ার টার্গেট দেননি। ‘‘ও কতটা কী করতে পারবে জানি না। তবে সব সময় ওকে ভাল পরিবেশ দেওয়ার চেষ্টা করি। আর অভিনয় কারও কাছে শেখেনি ও। এটা ওর কাছে স্নান করা, ভাত খাওয়ার মতোই অভ্যাস,’’ শেয়ার করলেন স্নিগ্ধা।

আরও পড়ুন, এই তারকাদের আসল বয়স এত…! জানলে অবাক হবেন

‘‘এ বার আমি একটা গান শোনাব’’ ঘোষণা করল রক্তিম। ঘোষণার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ‘ও সোনা ব্যাঙ, ও কোলা ব্যাঙ’ গাইতে শুরু করল খুদে শিল্পী। গানটা শেষ করার পরই হঠাত্ মনে পড়ল স্কুলের কথা। ‘‘আগে আমাকে সবাই গোপাল বলে ডাকত। এখন গজরাজ বলে ডাকছে, জানো। আর আমার টিফিন বন্ধুরা শুধু খেয়ে নেয়। বলে, মোটা হয়ে যাবি,’’ গুছিয়ে দৈনন্দিন অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিল সে।

‘মোটা হওয়া কি খারাপ?’— এ প্রশ্নের সপাট জবাব রয়েছে রক্তিমের কাছে। ‘‘আসলে ছোটবেলায় মোটা হলে ভাল। বড় হলে রোগা হতেই হবে। মাম্মা রোগা করে দেবে আমায়,’’— অমলিন হাসি নিয়ে ফ্লোরের দিকে পা বাড়াল রক্তিম।

(টলিউডের প্রেম, টলিউডের বক্স অফিস, বাংলা সিরিয়ালের মা-বউমার তরজা -বিনোদনের সব খবরআমাদের বিনোদন বিভাগে। )

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE