Chandrachur Singh Lost His Fame As A Successful Hero Soon in Bollywood dgtl
bollywood
ছিলেন সঙ্গীত শিক্ষক, সমুদ্রের ঢেউয়ে গুরুতর আহত হওয়ায় বলিউড থেকে প্রায় হারিয়েই যান চন্দ্রচূড়
তার পরে বেশ কিছু ছবিতে কাজ করেছিলেন তিনি। সেগুলি সে ভাবে দাগ কাটতে পারেনি। আবার তিনি ফর্মে ফিরে আসেন নব্বইয়ের দশকের শেষে।
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১০ অগস্ট ২০২০ ১২:৪৩
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৮
কেরিয়ারের দ্বিতীয় ছবিতেই গুলজারের মতো পরিচালককে পেয়েছিলেন। রাজনৈতিক পটভূমির সেই ছবি বলিউডের মাইলফলক ছবিগুলির মধ্যে অন্যতম। কিন্তু তার পরেও চন্দ্রচূড় সিংহ হারিয়ে গেলেন ইন্ডাস্ট্রি থেকে।
০২১৮
চন্দ্রচূড়ের বাবা ছিলেন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মী। মা ছিলেন ওড়িশার বোলাঙ্গিরের রাজ পরিবারের মেয়ে। দেহরাদূনের ওয়েলহ্যাম বয়েজ স্কুল এবং দূন স্কুলের পরে চন্দ্রচূড়ের পড়াশোনা দিল্লির সেন্ট স্টিফেন্স কলেজে।
০৩১৮
দূন স্কুলে পড়াশোনার পাশাপাশি চন্দ্রচূড় সিংহ প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন ভারতীয় ধ্রুপদী সঙ্গীতে। তাঁর স্বপ্ন ছিল সঙ্গীতের শিক্ষক বা সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মী হওয়া। পরে স্বল্প দিনের জন্য হলেও দূন স্কুলে সঙ্গীত-শিক্ষণের দায়িত্বে তিনি ছিলেন।
০৪১৮
মুম্বইয়ে কেরিয়ার করতে এসে প্রথমেই ধাক্কা। পর পর বেশ কিছু ছবি বাতিল হয়ে যায়। কথা হওয়ার পরেও ছবিগুলি না হওয়ায় ভেঙে পড়েন চন্দ্রচূড়। সে সময়ই ফিরে গিয়েছিলেন দূন স্কুলে সঙ্গীতের শিক্ষক হতে।
০৫১৮
অবশেষে ১৯৯৬-তে স্বপ্নপূরণ। অমিতাভ বচ্চন কর্পোরেশন লিমিটেডের ‘তেরে মেরে সপনে’ ছবিতে সুযোগ পেলেন চন্দ্রচূড়। সে বছরই মুক্তি পায় তাঁর দ্বিতীয় ছবি ‘মাচিস’।
০৬১৮
রাজনৈতিক পটভূমিতে তৈরি ছবিটি প্রশংসিত হয়েছিল সমালোচক ও দর্শক, দুই মহলেই। ‘মাচিস’-এর দৌলতে রাতারাতি তারকা হয়ে গিয়েছিলেন চন্দ্রচূড়, তব্বু এবং জিমি শেরগিল।
০৭১৮
তার পরে বেশ কিছু ছবিতে কাজ করেছিলেন তিনি। সেগুলি সে ভাবে দাগ কাটতে পারেনি। আবার তিনি ফর্মে ফিরে আসেন কয়েক বছর পরে। পর পর মুক্তি পায় ‘দাগ দ্য ফায়ার’, ‘কেয়া কহেনা’ এবং ‘জোশ’।
০৮১৮
বক্স অফিসে লাগাতার সাফল্যের সুবাদে সমসাময়িক নায়কদের প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে ফেলে দেন ‘বহিরাগত’ চন্দ্রুচূড়। ঠিক যে সময়ে কেরিয়ার গ্রাফ উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে, সে সময়েই ধাক্কা এল অন্য দিক দিয়ে।
০৯১৮
২০০০ সালে গোয়ার সমুদ্রে জেট স্কি করতে গিয়ে গুরুতর আহত হন চন্দ্রচূড়। উত্তাল ঢেউয়ের দাপটে একটুর জন্য বেঁচে যায় তাঁর ডান হাত। কাঁধ এবং হাতের সংযোস্থলে মারাত্মক আঘাতে শুশ্রূষার জন্য দীর্ঘ দিন শুটিংয়ের বাইরে ছিলেন চন্দ্রচূড়।
১০১৮
এর পর তাঁর বেশ কিছু সিনেমা পর পর মুখ থুবড়ে পড়ে বক্স অফিসে। কাঁধে ওই চোটের জন্য অনেকটাই পিছিয়ে যায় তাঁর কেরিয়ার।
১১১৮
কয়েক বছর সিনেমা থেকে দূরে থাকার পরে ২০১২ সালে কামব্যাক করেন বিস্মৃত চন্দ্রচূড়। অভিনয় করেন ‘চার দিন কি চাঁদনি’ ছবিতে। কিন্তু এই ছবিও সাফল্যের মুখ দেখেনি।
১২১৮
এর পর আরও কিছু ছবিতে অভিনয় করেন চন্দ্রচূড়। কিন্তু কোনওটাই বক্স অফিসে লক্ষ্মীলাভ করেনি। সম্প্রতি তিনি সুস্মিতা সেনের বিপরীতে অভিনয় করেছেন ওয়েব সিরিজ ‘আরয়া’-তে।
১৩১৮
কেরিয়ার জুড়েই প্রত্যাখ্যান দেখেছেন চন্দ্রচূড়। ঘোষণা হওয়ার পরেও তব্বুর বিপরীতে চন্দ্রচূড় সিংহের ছবি ‘দরিয়া’-র কাজ শুরু হয়নি। দীপা মেহতার ছবি ‘অর্থ’-এ তাঁকে দেওয়া অভিনয়ের সুযোগ চলে গিয়েছিল রাহুল খন্নার কাছে।
১৪১৮
সুস্মিতা সেনের সঙ্গেও কেরিয়ারের শুরুতে একটি ছবিতে অভিনয়র কথা ছিল চন্দ্রচূড় সিংহের। কিন্তু সেই ছবিটিও শেষ পর্যন্ত তৈরি হয়নি। বার বার প্রত্যাখ্যাত হয়ে তাঁর আত্মবিশ্বাস হারিয়ে গিয়েছিল, স্বীকার করেছেন তিনি।
১৫১৮
এও জানিয়েছেন, ‘মাচিস’-এর পরে কেরিয়ার নিয়ে তাঁর প্রত্যাশা অনেক বেশি ছিল। কিন্তু সেই উচ্চতাও অধরা থাকায় হতাশ নন তিনি।
১৬১৮
কেরিয়ারে মতো তিনি ধাক্কা খেয়েছেন ব্যক্তিগত জীবনেও। ১৯৯৯ সালে চন্দ্রচূড় সিংহ বিয়ে করেন অবন্তিকা মানকোটিয়াকে। জাঁকজমক, রোশনাই থেকে বহু দূরে সেই বিয়ে ছিল একান্ত ঘরোয়া। নিমন্ত্রিত ছিলেন শুধু কাছের লোকজন।
১৭১৮
পরবর্তীতে সিঙ্গল ফাদার হয়ে একমাত্র ছেলেকে বড় করেছেন চন্দ্রচূড়। তবে তাঁর ব্যক্তিগত জীবনকে পর্দার আড়ালে রাখতেই ভালবাসেন তিনি। সে সব নিয়ে আলোচনাও করতে চান না। প্রথমে অনীহা থাকলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় এসেছেন সম্প্রতি। কিন্তু সেখানেও ব্যক্তিগত জীবনকে উজাড় করে মেলে ধরতে তিনি অনিচ্ছুক।
১৮১৮
কেরিয়ারে পিছিয়ে পড়ায় বরং ছেলেকে অনেকটা সময় দিতে পেরেছেন তিনি। এ ভাবেই জীবনকে সদর্থক দৃষ্টিতে দেখতে চান নায়কোচিত আচরণ থেকে বহু দূরে থাকা এই অন্তর্মুখী অভিনেতা।