শ্যাডউইক বসম্যানের ইনস্টাগ্রাম হ্য়ান্ডল থেকে নেওয়া ছবি।
মানুষ তাঁদের প্রিয় 'রাজা'-কে হারিয়েছেন। হলেনই বা তিনি সিনেমার পর্দার রাজা, তা বলে মানুষের আবেগ তাঁর জন্য কোনও অংশে কম নয়। তিনি ‘ওয়াকান্ডা'-র রাজা টি’চালা’, শ্যাডউইক বসম্যান। শনিবার হলিউড সুপারস্টার বসম্যানের মৃত্যুর খবর তাঁরই ভেরিফায়েড টুইটার হ্যান্ডলে ঘোষণা করা হয়। টুইটারের আগের সব রেকর্ড ভেঙে এই পোস্ট এখনও পর্যন্ত সব থেকে বেশি লাইক পেয়েছে। প্রসঙ্গত, টুইটারে কোনও পোস্টে রিঅ্যাক্ট করার জন্য কেবল লাইক অপশনই রয়েছে।
প্রায় চার বছর ধরে কোলন ক্যানসারে ভুগছিলেন বসম্যান। কিন্তু সেই মারণ রোগ শরীরে নিয়েই একের পর এক চরিত্রে অভিনয় করে গিয়েছেন। প্রকাশ্যে কখনও তাঁর ক্যানসারের কথা বলেননি, বিশেষ কেউ জানতেনও না তাঁর এই রোগের কথা। অবশেষে ২৯ অগস্ট মাত্র ৪৩ বছর বয়সে নিজের বাড়িতেই মারা যান শ্যাডউইক বসম্যান।
বসম্যান আমেরিকার সাউথ ক্যারোলিনায় জন্মগ্রহণ করেন। হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। ২০০৩ সালে ‘থার্ড ওয়াচ’ নামে এক টেলিভিশন সিরিজের একটি এপিসোড দিয়ে তাঁর অভিনয় যাত্রা শুরু। এর পর বড় পর্দায় একের পর এক চরিত্রে নজর কাড়েন তিনি। বেসবল স্টার জ্যাকি রবিনসনের উপর তৈরি ফিল্ম ‘৪২’-এ তাঁর অভিনয় সবার মন জয় করে নেয়। '৪২' মুক্তি পায় ২০১৩ সালের এপ্রিলে।
২০১৬ সালে মুক্তি পায় মার্ভেলের ‘ক্যাপ্টেন অ্যামেরিকা: সিভিল ওয়ার’। সেখানেই আত্মপ্রকাশ ঘটে ওয়াকান্ডার রাজা টি’চালা ওরফে ব্ল্যাক প্যান্থারের। মার্ভেল সিনেমা প্রেমীদের কাছে ব্ল্যাক প্যান্থার হয়ে ওঠে অন্যতম প্রিয় চরিত্র। 'সিভিল ওয়ার' মু্ক্তি পায় ২০১৬ সালের এপ্রিলে। ওই বছরই ফেব্রুয়ারিতে মুক্তি পায় ‘গডস অফ ইজিপট’, সেখানে জ্ঞানের দেবতা ‘থথ’-এর ভূমিকায় দেখা যায় বসম্যানকে। ছোট্ট চরিত্রেও সবার নজর কাড়েন তিনি। এর পর ২০১৮ সালে জানুয়ারি মুক্তি পায় ‘ব্ল্যাক প্যান্থার’।
আরও পড়ুন: প্রতিবেশীদের জন্য পাঁচিলে লেখা ওয়াইফাইয়ের পাসওয়ার্ড, তবে ব্যবহার করা সহজ নয়
আরও পড়ুন: বৃহত্তম হাইড্রোজেন বোমা বিস্ফোরণের গোপন ভিডিয়ো প্রকাশ করল রাশিয়া
এমন প্রিয় অভিনেতার অকালপ্রয়াণ মেনে নিতে পারেননি সিনেমাপ্রেমী থেকে নেটাগরিক কেউই। যার প্রতিফলন দেখা যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। এ পর্যন্ত প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার দু’টি টুইট সব থেকে বেশি লাইক পেয়ে এই তালিকায় শীর্ষে ছিল। ২০১৭ সালের ১৩ অগস্টের একটি টুইট এখনও পর্যন্ত ৪৩ লাখের বেশি লাইক পেয়েছে। ২০২০ সালে ২৭ জানুয়ারি আর একটি টুইট লাইক পেয়েছে ৪০ লাখের বেশি।
দেখুন সেই টুইট:
"No one is born hating another person because of the color of his skin or his background or his religion..." pic.twitter.com/InZ58zkoAm
— Barack Obama (@BarackObama) August 13, 2017
Kobe was a legend on the court and just getting started in what would have been just as meaningful a second act. To lose Gianna is even more heartbreaking to us as parents. Michelle and I send love and prayers to Vanessa and the entire Bryant family on an unthinkable day.
— Barack Obama (@BarackObama) January 26, 2020
কিন্তু সেই সব রেকর্ড ভেঙে গিয়েছে বসম্যানের মৃত্যুসংবাদে। যে টুইটটি এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত ৬৬ লাখের বেশি লাইক পেয়েছে। টুইটার ঘোষণা করে এটিই এখনও পর্যন্ত সব থেকে বেশি লাইক পাওয়া টুইট। এমনকি সেই টুইটটি রিটুইট হয়েছে টুইটারের অফিসিয়াল হ্যান্ডল থেকেও। সেখানেও শোক প্রকাশ করা হয়েছে এবং হয়ে চলেছে বসম্যানের মৃত্যুতে।
দেখুন সেই টুইট:
— Chadwick Boseman (@chadwickboseman) August 29, 2020
Most liked Tweet ever.
— Twitter (@Twitter) August 29, 2020
A tribute fit for a King. #WakandaForever https://t.co/lpyzmnIVoP
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy