Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪
Tollywood Film

Ashare Gappo: সংলাপে ‘হনু’, ‘সীতে’র মতো শব্দ কেন? ‘আষাঢ়ে গপ্পো’ ছবিতে সেন্সরের কাঁচি!

মিনিট তিনেকের দৃশ্য। তাতেই সেন্সর বোর্ডের অকারণ কাঁচির কোপ! একটি আইটেম সং-এর বেশ কয়েকটি পংক্তিও খাপছাড়া ভাবে বাদ পড়তে চলেছে সেন্সরের সৌজন্যে! অভিযোগ, খোদ পরিচালকের। ছবিতে অভিনয় করেছিলেন আবীর চট্টোপাধ্যায়, রুদ্রনীল ঘোষ, পায়েল সরকার, খরাজ মুখোপাধ্যায় প্রমুখ।

‘আষাঢ়ে গপ্পো’র একটি দৃশ্য।

‘আষাঢ়ে গপ্পো’র একটি দৃশ্য।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০২২ ১৪:৩৯
Share: Save:

১০ বছর আগের ছবি অরিন্দম চক্রবর্তীর ‘আষাঢ়ে গপ্পো’। তাতে মিনিট তিনেকের একটি দৃশ্য। তাতেই নাকি সেন্সর বোর্ডের অকারণ কাঁচির কোপ পড়েছে। একটি আইটেম সং নিয়েও একই সমস্যা। গানের বেশ কয়েকটি পংক্তি খাপছাড়া ভাবে বাদ পড়তে চলেছে সেন্সরের সৌজন্যে! অভিযোগ, খোদ পরিচালকের। ছবিতে অভিনয় করেছিলেন আবীর চট্টোপাধ্যায়, রুদ্রনীল ঘোষ, পায়েল সরকার, খরাজ মুখোপাধ্যায় প্রমুখ।

কী কারণে সেন্সরের কোপে ‘আষাঢ়ে গপ্পো’র দৃশ্য এবং গান? অরিন্দমের দাবি, বিষয়টি যৎসামান্য। দৃশ্যের ভিতরে দৃশ্য। গুণ্ডার তাড়া খেয়ে অজান্তে সেটে ঢুকে পড়েছেন দুই ব্যক্তি। সেটে রামায়ণের দৃশ্যগ্রহণ চলছে। রাবণ সীতাকে সম্বোধন করে বলছে, ‘‘রাম নেই, হনু নেই, দেবর লক্ষ্মণও নেই। তোকে কে বাঁচাবে?’’ এই ‘হনু’ শব্দতেই নাকি প্রবল আপত্তি কর্তাদের। তাঁদের যুক্তি ‘মান’ শব্দটি না থাকায় নাকি মান খোয়া গিয়েছে রামচন্দ্রের দোসরের! পরিচালক সঙ্গে সঙ্গে বলেছিলেন, ডাবিং করে হারানো ‘মান’ ফিরিয়ে দেবেন তিনি। তাতেও রাজি নন তাঁরা। কর্তাদের দাওয়াই, শব্দটিতে ‘বিপ’ বসাতে হবে। একই ভাবে চিত্রনাট্যের কারণে রসিকতাচ্ছলে সীতা হয়েছেন ‘সীতে’। এতেও হিতে-বিপরীতে। এই শব্দটিতেও ‘বিপ’ থাকবে। অরিন্দমের মতে, ‘‘কোনও সঠিক যুক্তি দিতে পারছে না সেন্সর বোর্ড। এ দিকে নিজেদের সিদ্ধান্ত থেকেও এক চুল নড়বে না তারা।’’

কাঁচি আইটেম গানেও। সেখানে গানের পংক্তি দ্বর্থ্যক। দোকানদার বলবেন, ‘‘দোকান যে খুলেছি, করবি কে বউনি?’’ এতেও নাকি আঁশটে গন্ধ খুঁজে পেয়েছে বোর্ড। একই গন্ধ গানের মাঝের কিছু পংক্তিতেও। ব্যস, পংক্তি বাতিলের দাবি। একটা ছবি মুক্তি দিতে ১০ বছর লেগে গেল? অরিন্দমের কথায়, ‘‘প্রযোজকের কিছু আইনি সমস্যার জন্য আটকে গিয়েছিল ছবি-মুক্তি। ওয়েব প্ল্যাটফর্মে ছবির মুক্তি ইচ্ছে আছে। সেন্সর থেকে শংসাপত্র আনতে গিয়ে এত কাণ্ড।’’ তাঁর আরও অভিযোগ, প্রথম সারির পরিচালকের ছবির সংলাপে দিব্য কটূক্তি ছাড় পায়। যত কোপ তুলনায় নতুন বা ছোট পরিচালকদের ছবিতে।

বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন রুদ্রনীলও। তাঁর দাবি, ছবিটি বহু পুরনো। সমস্ত দৃশ্যও আর মনে নেই। তবে যে দৃশ্যের যে শব্দে আপত্তি সেটা একেবারেই মজা করে করা হয়েছে। পুরো ছবিটিই রসিকতাচ্ছলে বানানো হয়েছিল। যতদূর মনে পড়ছে কোনও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ধর্মীয় আঘাত নেই তাতে। মিনিট তিনেকের ওই দৃশ্য হয়তো সে ভাবেও দর্শক মনে ছাপ ফেলবে না। তার পরেই হাসতে হাসতে তাঁর রসিকতা, ‘‘বগটুই কাণ্ডে বোধহয় ক্লান্ত সবাই। তাই মুখ বদলাতে সীতা-হনুমান নিয়েই আপাতত অকারণ হইচই বাধানোর একটা চেষ্টা চলছে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Tollywood Film censor board cut
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE