তিথির ভূমিকায় ইন্দ্রাণী পাল।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কান পাতলেই শোনা যায়, ‘হোক কলরব’। শহরের আনাচ-কানাচে কান পাতলে কী শোনা যায়? বিপদ থেকে নিজেকে বাঁচানোর সহজপাঠ, ‘আপনি কিন্তু কিছুই দেখেননি মাস্টারমশাই!’ এই পাঠের দাপটেই সমাজের বহু অন্যায় সুবিচার পায় না। তিথি যদিও উল্টো রাস্তায় হেঁটে অভ্যস্ত। সে সাদাকে ‘সাদা’ বলে, কালোকে ‘কালো’! সেই জোরেই চোখের সামনে ঘটে যাওয়া সড়ক দুর্ঘটনার সঙ্গে জড়িত রুদ্রিকের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলে। নিজের এবং পরিবারের ভবিষ্যতের কথা না ভেবেই।
ভাগ্যের পরিহাস, এই অভিযুক্তের সঙ্গেই সাতপাক ঘুরতে হয় তাকে। নিশ্চয়ই ভাবছেন, বাকিদের মতোই তিথির সব প্রতিবাদ বৃথা গেল! প্রভাবশালী বাবা থাকা সত্ত্বেও আদালতে তিথির সাক্ষ্যই তাকে জেলের ঘানি টানিয়েছে। রুদ্রিক কি তিথিকে স্ত্রী হিসেবে মানতে পারবে? এ রকমই এক ঝাঁক প্রশ্ন আর তার সমাধান নিয়ে স্টার জলসায় আসছে নতুন ধারাবাহিক ‘বরণ’। ব্লুজ প্রযোজনা সংস্থার কর্ণধার স্নেহাশিস চক্রবর্তীর আশা, তিথির প্রতিবাদ নতুন করে সমাজকে প্রতিবাদী হতে শেখাবে।
নতুন ধারাবাহিকের হাত ধরে ছোট পর্দায় পা রাখতে চলেছেন নতুন ২ অভিনেতা, ইন্দ্রাণী পাল, সুস্মিত মুখোপাধ্যায়। এঁদেরই দেখা যাবে তিথি আর রুদ্রিকের ভূমিকায়। কী বলছেন তাঁরা? ২ জনেই আশাবাদী নতুন ধারাবাহিক নিয়ে। ‘তিথি’ ওরফে ইন্দ্রাণীর মতে, এই ধরনের ভাবনা আগে কেউ ভাবেনি। সমাজকে নতুন করে প্রতিবাদী করে তোলার কথাও বলা হয়নি কোনও ধারাবাহিকে। ফলে, ‘বরণ’ দর্শকমন জয় করবে সহজেই। একই সুর শোনা গিয়েছে প্রযোজকের কথাতেও, ‘‘সমাজের সবাই যখন পিঠ বাঁচাতে ব্যস্ত, তখনই তিথি যেন সবার চোখের ঠুলি খুলে দিচ্ছে। পাবলিক সার্ভিস কমিশন পরীক্ষা দেওয়ার স্বপ্ন যে মেয়ের চোখে, সে নিঃস্বার্থ ভাবে পাশে দাঁড়িয়েছে এক অচেনা ব্যক্তির। নিজের স্বপ্নের কথা, পরিবারের ভাল-মন্দের কথা বিচার না করে। এটাই '২১-এর সমাজের ছবি হয়ে ওঠা উচিত।’’
তিথির প্রতিবাদ আদৌ চোখ খুলে দেবে কিনা জানা নেই। তবে তাকে ‘বরণ’ করে নিতে চাইলে ৫ এপ্রিল রোজ সোম থেকে রবিবার রাত ৮টায় খুলতেই হবে স্টার জলসা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy