হঠাৎ কলমচি হওয়ার শখ কেন তাঁর?
‘দলছুট’ তিনি বরাবর। ইংলন্ডের অক্সফোর্ড ব্রুক্স থেকে ডার্ক ট্যুরিজমে স্নাতকোত্তর। কিছুকাল সেখানে থেকে অভিজ্ঞতাও অর্জন করেছেন। কিন্তু ওই পর্যন্তই! পরিবার, পরিজনের অনুরোধ কানে না তুলে তিনি ফিরে এসেছেন নিজের দেশে। বেলুড় মঠের বাড়িতে। পেশা বদলে অভিনয়ে জনপ্রিয় হয়েছেন। আর এখন?
ধারাবাহিক ‘মহাপীঠ তারাপীঠ’ শেষ হতেই নতুন রূপে ফিরছেন সাধক ‘বামদেব’। এবার তিনি লেখক! ২০২২-এর বইমেলায় তাঁর লেখা বই প্রকাশিত হতে চলেছে, ‘দলছুটের কলম’।
যাঁরা ইন্ডাস্ট্রিতে আসেন তাঁদের স্বপ্ন, হয় প্রযোজক-পরিচালক-অভিনেতা নয়তো পরিচালক-অভিনেতা হবেন। কিংবা প্রযোজক-অভিনেতা। সব্যসাচী সেখানেও ব্যতিক্রম! হঠাৎ কলমচি হওয়ার শখ কেন তাঁর? আনন্দবাজার অনলাইনকে অভিনেতার যুক্তি, ‘‘লিখতে বড্ড ভালবাসি। অনেক দিন থেকেই। আগে লেখা ফেসবুকে পোস্ট করতাম না। কিন্তু লিখতাম। সেই লেখা পড়ে অনেকেই লিখতে বলতেন। গত দু’বছর ধরে নিয়মিত ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার পরে সেই আর্জি প্রবল। একাধিক প্রকাশনা সংস্থা যোগাযোগও করেছে। শেষে একটি সংস্থার অনুরোধ ফেলতে পারিনি।’’ সংস্থা জানিয়েছে, আপাতত সব্যসাচীকে কিছু লিখতে হবে না। তাঁর প্রকাশিত পোস্ট সংকলিত করে তারা বইয়ের আকারে ছাপবে। ‘দলছুটের কলম’ নাম দিয়ে। অভিনেতার আশা, ফেসবুকের অনুরাগীদের বাইরেও কিছু মানুষ এ বার তাঁর লেখার সঙ্গে পরিচিত হবেন। আশা, তাঁর লেখা ছোট ছোট রম্যরচনা ভাল লাগবে।
সঙ্গে আফশোসও। ‘‘আর আমি আগের মতো ফেসবুক পোস্ট দিতে পারব না। আগামী দিনে কলম ধরতে হবে প্রকাশনা সংস্থার হয়ে। এমনই চুক্তি হয়েছে’’, বক্তব্য সব্যসাচীর। তাঁর নতুন রূপে নিশ্চয়ই মোহিত প্রেমিকা ঐন্দ্রিলা শর্মা? বুধবারেই সপরিবারে প্রেমিকাকে নিয়ে উত্তরবঙ্গ সফর সেরে ফিরেছেন অভিনেতা-লেখক। ফোনে প্রশ্ন শুনে হেসে ফেলেছেন। দাবি, ‘‘অবশ্যই খুশি হয়েছে। ঐন্দ্রিলাও লেখার কথা বলত। কিন্তু ও তো বই পড়ে না! ফলে, আমি লিখেছি বলে যে খুব আগ্রহ নিয়ে পড়বে এমনটা হবে না।’’
এত দিন ‘অভিনেতা’ হিসেবে সই দিতেন। ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ‘লেখক’ সব্যসাচী সই দেবেন! শুনেই কি হাল্কা অস্বস্তি খেলল কণ্ঠস্বরে? বিনয়ের সঙ্গে জবাব এল, তিনি এভাবেও ভাবেননি। যা যা ঘটছে তার সঙ্গে চলার চেষ্টা করছেন। ব্যস, আর কিচ্ছু না। বিদেশে থেকে, ইংরেজিতে পড়াশোনার পরেও বাংলা ভাষাকেই আঁকড়ে ধরার কারণ হিসেবে জানিয়েছেন, তিনি আদ্যন্ত বাঙালি। ভাতের মতোই রোজের জীবনযাপনে তাঁর বাংলা ভাষাকেই চাই। আগামী দিনে সচেতনভাবেই কি এই সত্তাকে ধরে রাখবেন? সব্যসাচীর কথায়, ‘‘সেরকম কোনও ভাবনা নেই। যা যা ভালবাসি বা পারি সেগুলোই ধরে রাখার চেষ্টা করব। অভিনয়ও করব, লিখবও।’’ আপাতত ছুটির মেজাজে অভিনেতা। খুব শিগগিরিই হয়তো আবার বাইরে যাবেন। পাশাপাশি ‘নেপোলিয়ান’ নাম দিয়ে ছোটদের জন্য গল্প লিখছেন। একসঙ্গে বেশ কয়েকটি ছোট গল্প লেখা হলে সেটিও বেরোবে বই আকারে। হয়তো বাংলা নতুন বছরে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy