স্বামীর অগভীর জীবনবোধ এবং নাছোড় বিতর্কের ইতিহাস দীপিকাকে অস্বস্তিতে ফেলছে? এ নিয়ে অবশ্য মুখ খোলেননি ‘বাজিরাও মস্তানি’ জুটি। ছবি—সংগৃহীত
সব সময় মনের মিল নয়, চারিত্রিক বৈপরীত্যও একের প্রতি অন্যের আকর্ষণের মূল কারণ হতে পারে। রণবীর সিংহ আর দীপিকা পাড়ুকোনের সম্পর্ক তেমনই এক উদাহরণ। রণবীর বরাবরই বহির্মুখী, বেশি কথা বলেন। জীবনকে লঘু চালে নিতেই তিনি অভ্যস্ত। তাঁর যৌনজীবন নিয়েও মুখরোচক আলোচনা চলে বলিপাড়ায়। অন্য দিকে, দীপিকা মিতভাষী, ব্যক্তিত্বময়ী। অভিনেত্রী হিসাবেও তাঁর খ্যাতি বিপুল। প্রেমের ক্ষেত্রেও তাঁকে নিয়ে খুব বেশি গুজব শোনা যায় না।
এ হেন দুই তারকা পর্দায় একসঙ্গে কাজ করে জনপ্রিয় হয়েছেন, তাই বলে ব্যক্তিগত জীবনেও জুটি বাঁধবেন এমনটা হয়তো আশা করেননি অনুরাগীরা। তার পর যখন দাম্পত্যে রয়েছেন, কেমন আছেন দু’জনে? বিভিন্ন সময়ে জিজ্ঞাসা করেও দীপিকার থেকে বিশেষ কথা বার করা যায়নি। আর রণবীর? তাঁর উত্তর তো সব সময়ে হেঁয়ালি। তবে যৌনজীবন নিয়ে তিনি বরাবর অকপট। দীপিকার সঙ্গে কেমন দাম্পত্যে আছেন তা সেখান থেকেই অনুমান করা যায়।
রণবীর বেহিসাবি, উদ্দাম জীবনযাপন করেছেন একটা সময়ে। জানাতে দ্বিধা করেননি, মাত্র বারো বছরে কৌমার্য হারিয়েছিলেন তিনি। স্কুলে তাঁর বন্ধুদের তিনি যৌনতা বিষয়ে উপদেশ দিতেন। সেই সব বন্ধুর মায়েরা বিরক্ত হতেন। কিন্তু পাত্তা দিতেন না রণবীর। তাঁকে ঝুড়ির মধ্যে একমাত্র ‘পচা আপেল’ বলে চিহ্নিত করেছিলেন বন্ধুদের অভিভাবকরা। ভয়ে থাকতেন, তাঁর সংসর্গে ছেলেরা নষ্ট হয়ে যাবে।
খোলাখুলি জানান অভিনেতা, ছাব্বিশ বছর বয়স পর্যন্ত ‘সেক্স ম্যানিয়াক’ ছিলেন তিনি। যখন-তখন জেগে উঠত যৌন প্রবৃত্তি, সঙ্গমের ইচ্ছা। দমন করতেন না তিনি। বরং, যেখানেই যেতেন, পকেটে থাকত কন্ডোমের প্যাকেট। নিজেই হেসে বলেছিলেন, “বলা তো যায় না, সাবধনতা অবলম্বন করা উচিত। কখন কী হয়ে যায়!” সঙ্কোচ না রেখে অভিনেতা জানান, জন্মদিনে তাঁর পাওয়া সেরা উপহারটি হল ‘বার্থডে সেক্স’।
বিপরীতে রণবীর-ঘরনি দীপিকাকে বলতে শোনা যায়, “যৌনক্রিয়া করার সময় আবেগ অনেকটা গুরুত্বপূর্ণ।” স্বামী রণবীরের সঙ্গে তাঁর যৌন সম্পর্কের রসায়ন নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “যৌনতা কেবল শরীরের উপর কিংবা পারফরম্যান্সের উপর নির্ভর করে না।” এর বেশি কিছুই বলেননি। এতে আবারও দম্পতির পরস্পরবিরোধী চরিত্রের পরিচয় মেলে। তা নিয়ে কানাঘুষো শোনা যায়, তবে কি রণবীর নিজের স্ত্রীকে শুধু যৌনতা দিয়ে সুখী করতে পারছেন না? স্বামীর অগভীর জীবনবোধ এবং নাছোড় বিতর্কের ইতিহাস দীপিকাকে অস্বস্তিতে ফেলছে? এ নিয়ে অবশ্য মুখ খোলেননি ‘বাজিরাও মস্তানি’ জুটি। দীপিকাকে ‘পাঠান’-এর বিপুল সাফল্যের পর দেখা যাবে দক্ষিণী ছবি ‘প্রোজেক্ট কে’-তে। এই ছবির শুটিং চলাকালীনই মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন দীপিকা, নিয়মিত মনোবিদের কাছে যাচ্ছিলেন, সে খবর ফাঁস হয়ে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy