Bollywood Diva Zeenat Aman has gone through troubled love life through ages dgtl
bollywood
দুই দাম্পত্যেই নির্যাতিত, প্রথম স্বামী সঞ্জয় খানের অত্যাচারে চিরতরে ক্ষতিগ্রস্ত জিনাত আমনের ডান চোখ
১৯৮০ সালে জিনাতকে মুম্বইয়ের (তখন বম্বে) এক হোটেলে ডেকে পাঠান সঞ্জয়। কথা ছিল, আলোচনা করবেন ছবি নিয়ে। কিন্তু অভিযোগ, হোটেলের বন্ধ ঘরে জিনাতকে অকথ্য মারধর করেন সঞ্জয়। সঞ্জয়ের প্রথম স্ত্রী জারিন এবং আরও কয়েক জনের সামনেই চলেছিল শারীরিক নির্যাতন।
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০১৯ ১০:৫৬
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১২৩
কেরিয়ার শুরু করেছিলেন সাংবাদিক হিসেবে। সেখান থেকে পথবদল করে চলে আসা বিনোদন জগতে। স্টাইল এবং ফ্যাশনের সংজ্ঞা তিনি নতুন করে লিখেছিলেন।‘জিনাত আমন’ নামটাই বলিউডের অভিধানে কেতাদুরস্তের সমার্থক। (ছবি:সোশ্যাল মিডিয়া)
০২২৩
জিনাতের জন্ম ১৯৫১ সালে, মুম্বইয়ে। তাঁর মা সিন্দা বর্ধিনী কারভস্তে ছিলেন মরাঠি ব্রাহ্মণ। বাবা আমানুল্লাহ খানের পারিবারিক শিকড় ছিল আফগানিস্তানে। ‘পাকিজা’ ও ‘মুঘল-এ-আজম’ ছবিতে তিনি কাজ করেছিলেন চিত্রনাট্যকার হিসেবে। ‘আমন’ ছদ্মনামে তিনি লিখতেন। সেই নাম-ই পরে জিনাত ব্যবহার করতেন নিজের পদবি হিসেবে। (ছবি:সোশ্যাল মিডিয়া)
০৩২৩
মাত্র ১৩ বছর বয়সে বাবাকে হারিয়েছিলেন জিনাত। তাঁর মা এরপর এক জার্মান নাগরিককে বিয়ে করে জার্মানির নাগরিকত্ব পান। (ছবি:সোশ্যাল মিডিয়া)
০৪২৩
জিনাতের পড়াশোনা পঞ্চগনির একটি আবাসিক স্কুলে। এরপর উচ্চশিক্ষার জন্য লস অ্যাঞ্জেলস পাড়ি। গন্তব্য ছিল সাদার্ন ক্যালিফর্নিয়া ইউনিভার্সিটি। কিন্তু গ্র্যাজুয়েশন শেষ না করেই ফিরে আসেন ভারতে। সাংবাদিক হিসেবে যোগ দেন ‘ফেমিনা’ পত্রিকায়। (ছবি:সোশ্যাল মিডিয়া)
০৫২৩
সেখান থেকেই চলার পথ বদল। সাংবাদিকতা থেকে চলে এলেন মডেলিং-এ। ‘মিস ইন্ডিয়া’ কনটেস্টে তৃতীয় স্থান পেলেন। ১৯৭০ সালে মিস এশিয়া প্যাসিফিক-এ বিজয়িনী জিনাত-ই। এরপর সাংবাদিকতা ছেড়ে পুরোপুরি চলে এলেন বিনোদন জগতে। (ছবি:সোশ্যাল মিডিয়া)
০৬২৩
প্রথম ছবি ১৯৭১ সালে। ছোট ভূমিকায় অভিনয় করলেন ‘হালচাল’ ছবিতে। সে বছরই মুক্তি পায় তাঁর দ্বিতীয় ছবি ‘হাঙ্গামা’। কিন্তু বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে দু’টি ছবি-ই। (ছবি:সোশ্যাল মিডিয়া)
০৭২৩
হতাশ জিনাত ভেবেছিলেন অভিনয় ছেড়ে মাল্টা চলে যাবেন। থাকবেন মা এবং সৎ বাবার সঙ্গে। কিন্তু পরিকল্পনা পাল্টে দিল দেব আনন্দের একটা ফোনকল। দেব আনন্দ জিনাত-কে ‘হরে রাম হরে কৃষ্ণ’ ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ দেন। (ছবি:সোশ্যাল মিডিয়া)
০৮২৩
এই ভূমিকায় প্রথমে অভিনয় করার কথা ছিল জাহিদার। কিন্তু তিনি অফার ফিরিয়ে দেওয়ায় সেই সুযোগ পান জিনাত আমন। ছবিতে আর ডি বর্মনের সুরে ‘দম মারো দম’ গানের সঙ্গে জিনাতের পারফরম্যান্স বলিউডের ইতিহাসে আইকনিক হয়ে যায়। (ছবি:সোশ্যাল মিডিয়া)
০৯২৩
এই ছবির অসামান্য সাফল্যের পরে দেব আনন্দ-জিনাত জুটি বেশ কিছু ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছেন। ‘হীরা পান্না’, ‘ইশক ইশক ইশক’, ‘প্রেম শাস্ত্র’, ‘ডার্লিং ডার্লিং’-এর মতো সফল ছবির নাম একে একে যোগ হয় তাঁদের যুগলবন্দির তালিকায়। (ছবি:সোশ্যাল মিডিয়া)
১০২৩
এরপর ১৯৭৩ সালে মুক্তি পায় ‘ইয়াদোঁ কি বারাত’। ছবিতে গিটার হাতে জিনাত এবং আশা ভোঁসলের কণ্ঠে ‘চুরা লিয়া হ্যায় তুমনে জো দিল কো’ মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। (ছবি:সোশ্যাল মিডিয়া)
১১২৩
দেব আনন্দ ছাড়াও জিনাত সাফল্যের সঙ্গে কাজ করেছেন বি আর চোপড়া, রাজ কপূর, মনমোহন দেশাই, ফিরোজ খান, নাসির হুসেন, মনোজ কুমার, প্রকাশ মেহরা, শক্তি সামন্তের মতো পরিচালকদের সঙ্গে। (ছবি:সোশ্যাল মিডিয়া)
১২২৩
১৯৭৮ সালে মুক্তি পায় রাজ কপূরের ‘সত্যম শিবম সুন্দরম’।ছবিতে স্বল্পবসনা জিনাতকে দেখে তীব্র সমালোচনা হয়। বিতর্কিত এই ছবির জন্য একইসঙ্গে নন্দিত ও নিন্দিত হন নায়িকা জিনাত। (ছবি:সোশ্যাল মিডিয়া)
১৩২৩
বলিউডে সাফল্য এল জিনাতের হলিউড অভিযান কিন্তু মুখ থুবড়ে পড়ে। ১৯৭৮ সালে মুক্তি পায় ‘শালিমার’। ছবিতে অভিনয় করেছিলেন হলিউডের শিল্পীরাও। ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একসঙ্গে মুক্তি পেয়েছিল ছবিটি। কিন্তু চূড়ান্ত ব্যর্থ হয় বক্স অফিসে। (ছবি:সোশ্যাল মিডিয়া)
১৪২৩
হলিউডে পা রাখতে না পারলেও বলিউডে জিনাত-যুগ বজায় ছিল দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে। ‘হীরালাল পান্নালাল’, ‘চোর কে ঘর চোর’, ‘কুরবানি’, ‘দোস্তানা’, ‘ডন’-এর মতো ছবি তাঁর কেরিয়ার উল্লেখযোগ্য। (ছবি:সোশ্যাল মিডিয়া)
১৫২৩
বলিউডে নায়িকাদের পরিচিত ইমেজ ভেঙে দিয়েছিলেন জিনাত। তিনি দেখিয়েছিলেন, পশ্চিমী পোশাকেও নায়িকা হওয়া যায়। নায়িকা মানেই শাড়িতে সুন্দর, এই মিথ চলে গিয়েছিলে তাঁর দৌলতে। কিন্তু যাঁর আবেদনে পাগল হয়ে গিয়েছিল কয়েক প্রজন্মের দর্শক, তিনি নিজে কিন্তু দাম্পত্যে ছিলেন চরম অসুখী।
১৬২৩
শোনা যায়, কেরিয়ারের শীর্ষে থাকতেই ১৯৭৮ সালে জিনাত বিয়ে করেছিলেন সঞ্জয় খানকে। তখন সঞ্জয়ের প্রথম বিয়ের বয়স-ই পেরিয়েছে ১২ বছর।কিন্তু সঞ্জয়ের প্রেমে পাগল ছিলেন জিনাত। সব জেনেশুনেই বিয়ে করেছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁর মোহ এবং ভুল, সব ভাঙল কয়েক মাসের মধ্যেই।
১৭২৩
মাত্র এক বছরেই শেষ হয়ে যায় জিনাতে প্রথম দাম্পত্য। অভিযোগ, জিনাতকে সন্দেহ করতেন সঞ্জয়। দমবন্ধ করা সেই সম্পর্কে মানসিক নির্যাতন আর নিতে পারছিলেন না জিনাত। কিন্তু সরে এলেও সঞ্জয়কে তিনি মন থেকে মুছে ফেলতে পারেননি। তার মাসুলও তাঁকে দিতে হয়েছিল। (ছবি:সোশ্যাল মিডিয়া)
১৮২৩
১৯৮০ সালে জিনাতকে মুম্বইয়ের (তখন বম্বে) এক হোটেলে ডেকে পাঠান সঞ্জয়। কথা ছিল, আলোচনা করবেন ছবি নিয়ে। কিন্তু অভিযোগ, হোটেলের বন্ধ ঘরে জিনাতকে অকথ্য মারধর করেন সঞ্জয়। সঞ্জয়ের প্রথম স্ত্রী জারিন এবং আরও কয়েক জনের সামনেই চলেছিল শারীরিক নির্যাতন। (ছবি:সোশ্যাল মিডিয়া)
১৯২৩
অভিযোগ, শেষে জিনাতের চিৎকার শুনে দরজা ভেঙে তাঁকে উদ্ধার করেন হোটেলকর্মীরা। আহত জিনাতের মুখ ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়। মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাঁর ডান চোখের দৃষ্টিশক্তি। বরাবরের জন্য ‘লেজি আই’ হয়ে যায় সেটি। জীবনের এই বিতর্কিত পর্ব নিয়ে মুখে কুলুপ সঞ্জয় খানের।
২০২৩
তবে এই নিয়ে কোনওদিন পুলিশে অভিযোগ জানাননি জিনাত। বিভিন্ন সাক্ষাৎকার বলেছেন, ওই নির্মম অভিজ্ঞতার কথা তিনি ভুলে যেতে চান। তিনি ভুলতে চেয়েছেন মাজহার খানের সঙ্গে তাঁর দ্বিতীয় দাম্পত্যও।
২১২৩
স্বল্প পরিচিত অভিনেতা মাজহার খানকে জিনাত বিয়ে করেন ১৯৮৫ সালে। জিনাতের অভিযোগ, মাজহারের হাতেও নিয়মিত নির্যাতিত হতেন তিনি। মাদকাসক্ত মাজহার চূড়ান্ত অসুস্থ হয়ে পড়েন ১৯৯৩ সালে। এক সাক্ষাৎকারে জিনাত জানান, এরপর পাঁচবছর তিনি সবকিছু ছেড়ে মাজহারের সেবা করেছিলেন। তিক্ত অতীত ভুলে গিয়েই দুঃসময়ে স্বামীর পাশে ছিলেন। (ছবি:সোশ্য়াল মিডিয়া)
২২২৩
অগ্ন্যাশয়ের জটিল রোগে ১৯৯৮ সালে মারা যান মাজহার। জিনাতের অভিযোগ, এরপরেও মাজহারের পরিবার তাঁকে গ্রহণ করেনি। বরং চেষ্টা করেছিল দুই ছেলেকে জিনাতের থেকে সরিয়ে নিতে। (ছবি:সোশ্যাল মিডিয়া)
২৩২৩
২০১৩ সালে শোনা গিয়েছিল জিনাত আবার বিয়ে করতে চলেছেন সাঁইত্রিশ বছর বয়সী এক ব্যবসায়ীকে। মুম্বইয়ের ওই যুবকের সঙ্গে জিনাত নাকি লিভ ইন-ও করছিলেন। কিন্তু পরে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন জিনাত। তিনি আবার ফিরতে চলেছেন বড় পর্দায়। আশুতোষ গোয়াড়িকরের পরিচালনায় ‘পানিপথ’ ছবিতে জিনাতকে দেখা যাবে সাকিনা বেগমের ভূমিকায়।