দশ বছরের দাম্পত্য কাটিয়ে ফেলেছেন সোহা আলি খান ও কুণাল খেমু। তারকা দম্পতির রসায়নের অনুরাগীও রয়েছে। সোহার পরিবার, অর্থাৎ শর্মিলা ঠাকুর, সইফ আলি খানের সঙ্গে কুণালের সম্পর্কও ভাল। কিন্তু একটা সময়ে শর্মিলা নাকি সোহা-কুণালের বিয়ে পক্ষে ছিলেন না।
পরিবারে প্রায় সকলেই অভিনয় জগতের সঙ্গে জড়িত। সইফের প্রথম স্ত্রী অমৃতা সিংহও ছিলেন অভিনেত্রী। সেই বিয়ে একটা সময়ে ভেঙে গিয়েছিল। এমন অসফল দাম্পত্য দেখে শর্মিলা চাইতেন না, কন্যা সোহাও কোনও অভিনেতাকেই বিয়ে করুন। এই বিষয়ে এক সাক্ষাৎকারে কথা বলেছেন সোহা। শর্মিলা নাকি তাঁকে বলেছিলেন, “যা-ই করো, কোনও অভিনেতাকে বিয়ে করতে যেয়ো না।”
আরও পড়ুন:
সোহা মায়ের এই পরামর্শ সম্পর্কে বলেছেন, “আসলে মা মনে করত, অভিনেতাকে বিয়ে করলে আমার জীবন আরও জটিল হয়ে উঠবে। কারণ অভিনেতাদের চরম মাত্রায় আত্মাভিমান থাকে। মেজাজের কোনও ঠিক থাকে না। অভিনেতারা খুবই সংবেদনশীল হয়ে থাকেন। তাই সঙ্গী হিসাবে তাঁদের পেতে গেলে নির্দিষ্ট ভাবনাচিন্তা রাখতে হয়। সেই ক্ষমতা যদিও আমার রয়েছে।”
প্রয়াত ক্রিকেট তারকা মনসুর আলি খানেরও কি মেজাজ ওঠানামা করত? এই প্রশ্নের উত্তরে সোহা বলেন, “সন্তানের সঙ্গে সম্পর্কের সমীকরণ তো স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কের রসায়নের চেয়ে আলাদা হয় বটেই। অনেক সময়ই আমরা সঙ্গীর চোয়ে সন্তানদের সঙ্গে খুব ভাল ব্যবহার করি। কন্যা হিসেবে আমি সেরা একজন বাবাকে পেয়েছি। সারা জীবনে উঁচু স্বরে কথা বলতে শুনিনি বাবাকে। অথচ বাবা খুবই কড়া ছিলেন, কিন্তু মায়ের মতো রেগে যেতেন না।”
সোহা মনে করেন, তিনি তাঁর বাবার মতো। অভিনেত্রীর কথায়, “আমি অনেকটাই আমার বাবার মতো হয়েছি। তাই আমাকে রাগিয়ে দেওয়া বা উত্তেজিত করা খুব কঠিন। তবে কুণাল জানে আমি ঠিক কোন কথায় রেগে যেতে পারি। তা ছাড়া আর কেউ রাগাতে পারে না।”