সইফ আলি খানের উপর হামলার ঘটনায় থমকে গিয়েছিল বলিউড। ঘটনার জেরে বদল এসেছে সইফ-করিনার জীবনেও। নিজেদের জীবনযাপন নিয়ে খুব একটা রাখঢাক করেননি সইফ বা করিনা কেউই। ছবিশিকারিদের ক্যামেরায় অনায়াসেই ধরা দিয়েছেন তাঁরা। এমনকি দুই সন্তান তৈমুর ও জেহ্কেও বার বার প্রকাশ্যে এনেছেন দম্পতি। ক্যামেরার সামনে নানা অঙ্গভঙ্গিও করতে দেখা গিয়েছে তাদের অতীতে। কিন্তু সে সব আর হবে না, স্পষ্ট বুঝিয়ে দিলেন করিনা নিজেই। হামলার পরে বদলে গিয়েছে অনেক কিছুই।
শনিবার রণধীর কপূরের জন্মদিন উপলক্ষে সপরিবারে তাঁদের বাড়ি গিয়েছিলেন করিনা ও সইফ। বাড়ির বাইরে ছবিশিকারিদের দেখে সাবধান হয়ে যান অভিনেত্রী। বাচ্চাদের ছবি তোলা যাবে না, স্পষ্ট জানিয়ে দেন করিনা। ছবিশিকারিদের দেখেই করিনা বলেন, “আমার ছবি তুলে আপনারা দয়া করে চলে যান। বাচ্চাদের ছবি তোলা যাবে না, বলেই দিয়েছিলাম।” ছবিশিকারিরা মেনে নেন করিনার কথা। কিন্তু অভিনেত্রী ফের স্মরণ করিয়ে দেন, “দয়া করে বাচ্চাদের একটা ছবিও তুলবেন না।”
উল্লেখ্য, ১৬ জানুয়ারি সইফ-করিনার বাড়িতে মধ্যরাতে প্রবেশ করেছিলেন এক ব্যক্তি। ডাকাতির উদ্দেশ্যেই তিনি হানা দিয়েছিলেন বলে জানা যায়। বাধা দিতে গেলে তিনি ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন সইফের উপরে। ছ’বার ছুরিকাঘাতে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন সইফ। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ঠিকই, কিন্তু আগের থেকে জোরদার হয়েছে তাঁদের নিরাপত্তা। পাশাপাশি তৈমুর ও জেহ্কেও এ বার থেকে আড়ালেই রাখতে চান সইফ ও করিনা। ঘটনার রাতে সইফ রক্তাক্ত অবস্থায় অটোয় চড়ে পৌঁছেছিলেন লীলাবতী হাসপাতালে। ঘটনার কয়েক দিন পরেই গ্রেফতার হন মূল অভিযুক্ত শরিফুল ইসলাম।