(বাঁ দিকে) অদিতি রাও হায়দরি। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত।
চলতি বছরে ‘জুবিলি’ ওয়েব সিরিজ়ে তাঁর অভিনয় দর্শক থেকে শুরু করে সমালোচকদেরও প্রশংসা কুড়িয়েছে। মঙ্গলবার কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের শেষ দিনে শহরে এসেছিলেন বলিউড অভিনেত্রী অদিতি রাও হায়দরি। ‘জুবিলি’তে অদিতি অভিনীত সুমিত্রা কুমারী চরিত্রটি নিয়ে যত আলোচনা হয়ে হয়েছে, ততটাই হয়েছে শ্রীকান্ত রায় চরিত্রটি নিয়ে। এই চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন টলিউডের প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। নন্দনে পা রেখে বাঙালি সুপারস্টারের সঙ্গে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিলেন অদিতি।
‘বম্বে টকিজ়’-এর প্রতিষ্ঠাতা হিমাংশু রায় এবং দেবিকা রানির জীবনের আধারে নির্মিত ‘জুবিলি’। প্রসেনজিৎকে ‘বুম্বাদা’ বলেই সম্বোধন করলেন অদিতি। বললেন, ‘‘বুম্বাদা অসাধারণ একজন অভিনেতা। খুবই ভাল মানুষ।’’ কথাপ্রসঙ্গে একটি অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিলেন অদিতি। বললেন, ‘‘সেটে মাঝেমধ্যেই মেকআপ ভ্যানে এসি বন্ধ থাকত। আমরা গরমে কুলকুল করে ঘামতাম। কিন্তু দাদাকে দেখতাম, চুপচাপ বসে রয়েছেন।’’ প্রসেনজিৎ নানা ভাবে তাঁকে অনুপ্রাণিত করেছেন বলেই জানালেন অদিতি। প্রসেনজিতে মুগ্ধ অদিতি বললেন, ‘‘চারশোরও বেশি ছবি করা এক জন অভিনেতা এখনও সমান উত্তেজনা নিয়ে সেটে আসেন এবং চরিত্রে নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেন, সেটা দেখে শিখলাম। দেখে মনে হত, যেন এই প্রথম সেটে এলেন।’’ অদিতি জানালেন, ‘জুবিলি’-র সেটে তাঁদের পুরো টিমের খেয়াল রাখতেন প্রসেনজিৎ। অদিতির কথায়, ‘‘আমার কাছে বুম্বাদা পিতৃসুলভ এক মানুষ।’’
অদিতি জানালেন তিনি কলকাতায় আসতে পছন্দ করেন। বললেন, ‘‘কলকাতায় আসতে খুবই ভাল লাগে। বাংলায় সংস্কৃতির খুব কদর করা হয়।’’ কথাপ্রসঙ্গেই কলকাতার সঙ্গে তাঁর যোগসূত্রের কথা জানালেন অদিতি। বললেন, ‘‘আমার মা শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী। তাই মায়ের সঙ্গে মাঝেমধ্যেই কলকাতায় আসতাম।’’ এরই সঙ্গে অদিতি হেসে যোগ করলেন, ‘‘আমি কিন্তু শুক্তো এবং চচ্চড়ি খেয়ে বড় হয়েছি।’’
এক সময় পরিচালক অরিন্দম শীল তাঁর ব্যোমকেশের জন্য প্রস্তাব দিয়েছিলেন অদিতিকে। সেই প্রসঙ্গ টেনে অদিতি বলেন, ‘‘খুব ইচ্ছে ছিল ছবিটা করার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হয়নি। বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষার ছবিতে অভিনয় করেছি। আশা করছি এ বার বাংলা ছবিতেও অভিনয় করব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy