(বাঁ দিক থেকে) অহন শেট্টি, মানা শেট্টি, সুনীল শেট্টি ও আথিয়া শেট্টি। ছবি: সংগৃহীত।
নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় অভিনেতা সুনীল শেট্টি। আদ্যোপান্ত ভারতীয়, বরাবর অভিনয়ও করেছেন তেমন চরিত্রেই। বলিউডের বৃত্তের বাইরে তিন সদস্যকে নিয়ে সুখের সংসার তাঁর। স্ত্রী মানা শেট্টি, মেয়ে আথিয়া শেট্টি ও ছেলে অহন শেট্টি। দুই সন্তানই চোখের মণি তাঁর। তাঁদের লেখাপড়া নিয়ে কোনও আপস করেননি। দু’জনকেই বিদেশি স্কুলে পড়িয়েছেন। বিস্তর টাকাকড়ি খরচ হলেও আমেরিকান বোর্ডের স্কুলে আথিয়া ও অহনকে পড়িয়েছেন সুনীল। খরচ বাড়লেও কখনও তাঁদের ভারতীয় স্কুলে ভর্তি করার কথা ভাবেননি অভিনেতা। কেন? সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সেই কারণ খোলসা করলেন সুনীল নিজে।
বলিউড তারকাদের নিয়ে ভারতীয়দের মধ্যে যে উন্মাদনা চোখে পড়ে, তা বিশ্বের অন্য কোথাও নেই। বলিউড তারকাদের সাফল্যে তাঁদের যতটা আপন করে নেন অনুরাগীরা, তারকাদের ব্যর্থতাতেও ছেড়ে কথা বলেন না তাঁরা। দুই সন্তান এমন পরিবেশে লেখাপড়া শিখুক, তা চাননি সুনীল। আথিয়া ও অহনকে সুস্থ ও স্বাভাবিক একটা শৈশব উপহার দিতে চেয়েছিলেন সুনীল। অভিনেতা বলেন, ‘‘আমি কখনও চাইনি যে আমার ছেলেমেয়েরা ভারতীয় স্কুলে পড়ুক। অন্তত এমন স্কুলে, যেখানে শিক্ষক-শিক্ষিকারা ভারতীয়। বলিউড অভিনেতার সন্তান বলে ওরা কোনও বিশেষ সুবিধা পাবে, বা ওদের সঙ্গে আলাদা ভাবে আচরণ করা হবে— এটাই আমি চাইনি।’’ তাতে কম ঝক্কি পোহাতে হয়নি সুনীলকে। অভিনেতার কথায়, ‘‘আমার এখনও মনে আছে আমাকে বাবা বলেছিলেন, এতে অনেক বেশি টাকা খরচ হবে। আমি সে কথা ভেবে পিছিয়ে যাইনি। আমার মনে হয়, আখেরে তাতে ভালই হয়েছে।’’
তিনি নিজে অভিনেতা বলে যে তাঁর সন্তানেরাও সেই পথেই হাঁটবেন, তা কখনও ভাবেননি সুনীল। অভিনেতা বলেন, ‘‘আথিয়াকে আমি আটলান্টার একটা কলেজে ভর্তি করাতে গিয়েছিলাম। কলেজ ঘুরে দেখলাম, ভাল লাগল। কলেজে মেয়ে ভর্তি হয়ে গেল। তার পর বিমানবন্দরে এসে আথিয়া আমাকে বলল, ও বিনোদনের জগতেই পা রাখতে চায়। আমি ওকে আগে থেকে সাবধানও করেছিলাম। ও ব্যর্থতার সঙ্গে যুঝতে পারবে তো? কারণ বলিউড যত ঝলমলে জায়গাই হোক না কেন, দিনের শেষে এই পেশায় মারাত্মক চাপ। প্রতিটা শুক্রবার এলে আমার মনে হয়, এই চাপের চোটে আর বাঁচব না।’’ সলমন খান প্রযোজিত ‘হিরো’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন আথিয়া। অন্য দিকে, ‘তড়প’ ছবির হাত ধরে বলিউড অভিষেক অহনের। যদিও দুই ভাইবোনের কেউই এখনও পর্যন্ত নিজেদের অভিনয় দিয়ে দর্শকের মনে দাগ কাটতে পারেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy