Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪
Hrithik Roshan

অভিনেতা হওয়ার সুযোগ হাতছাড়া হতে পারত, বেদনাময় শৈশবের স্মৃতিচারণায় হৃতিক

হৃতিকের শৈশব খুব একটা সুখকর ছিল না। ডাক্তার বলেছিলেন, তিনি নাকি কোনও দিন নাচতে পারবেন না!

অভিনেতা বলেছেন, ‘‘ছোটবেলায় স্কুলে  আমার কোনও বন্ধু ছিল না, ছিল না কোনও প্রেমিকা।’’

অভিনেতা বলেছেন, ‘‘ছোটবেলায় স্কুলে আমার কোনও বন্ধু ছিল না, ছিল না কোনও প্রেমিকা।’’ ছবি: সংগৃহীত।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২২ ১৮:৩৮
Share: Save:

তিনি বলিউডের প্রথম সারির তারকা। অভিনয়ের পাশাপাশি তাঁর নাচে মজে অনুরাগীরা। সেই হৃতিক রোশন কি না অভিনয় ছেড়ে দেওয়ার কথা ভেবেছিলেন! অবাক হওয়ারই কথা। হৃতিকের শৈশব খুব একটা সুখকর ছিল না। ডাক্তার বলেছিলেন, তিনি নাকি কোনও দিন নাচতে পারবেন না! সম্প্রতি এক জাতীয় সংবাদমাধ্যমের সামনে এমনই বেশ কিছু চমকপ্রদ তথ্য ফাঁস করেছেন পর্দার কৃষ।

কী রকম ছিল হৃতিকের ছেলেবেলা? উত্তরে অভিনেতা বলেছেন, ‘‘ছোটবেলায় স্কুলে তোতলা ছিলাম। কথা বলতে পারতাম না। আমার কোনও বন্ধু ছিল না, ছিল না কোনও প্রেমিকা। প্রচণ্ড লাজুক ছিলাম এবং বাড়ি ফিরে শুধু কাঁদতাম।’’ স্কুলের দিনগুলো অভিনেতাকে যে এক প্রকার লড়াই করেই কাটাতে হয়েছে, তা বেশ স্পষ্ট। এর সঙ্গেই অভিনেতা বলেছেন, ‘‘ডাক্তার বলেছিলেন, আমি কোনও দিন অভিনেতা হতে পারব না। কারণ, মেরুদণ্ডে সমস্যা হওয়ার জন্য আমাকে বলা হয়েছিল যে, আমি নাকি কোনও দিন নাচতে পারব না।’’

স্বাভাবিক ভাবেই এ রকম মন্তব্য শুনে মনের দিক থেকে ভেঙে পড়েছিলেন হৃতিক। ভেবেছিলেন, অধরা থেক যাবে তাঁর স্বপ্ন। অভিনেতার কথায়, ‘‘মনের দিক থেকে এতটাই ভেঙে পড়েছিলাম যে, সকালে ঘুম থেকে উঠতাম আর ভাবতাম যে অভিনেতা হওয়ার স্বপ্নটা দূরেই থেকে যাবে। ভেতরে ভেতরে নিজেকে প্রতিবন্ধী ভাবলে খুবই কষ্ট হত।’’

হৃতিক এখন অবশ্য বিষয়টিকে হালকা চালেই গ্রহণ করেন। কারণ তিনি বলেছেন, ‘‘ফিরে তাকালে, এখন আমার জীবনে সমস্যা তৈরির জন্য ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাই। বলি, ওই দিনগুলো দেখেছি বলেই নিজেকে আরও শক্তিশালী হিসেবে গড়ে তোলার সাহস পেয়েছি।’’

হৃতিককে দর্শক সম্প্রতি ‘বিক্রম বেদা’ ছবিতে দেখেছেন। ছবিটি বক্স অফিসে সফল না হলেও, ছবিতে হৃতিকের অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে। এই মুহূর্তে অভিনেতা ‘ফাইটার’ ছবির প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE