পাপিয়া অধিকারী।
ফের ছোট পর্দায় পাপিয়া অধিকারী। ৪টি ধারাবাহিক নিয়ে খুব শিগগিরিই নতুন ভাবে ফিরছে কালার্স বাংলা। সেখানেই শশী-সুমিত প্রোডাকসন্সের নতুন ধারাবাহিক ‘দত্ত অ্যান্ড বউমা’-য় অভিনেত্রী ‘সোনা মা’।
রবিবার নেটমাধ্যমে প্রকাশ্যে এসেছে ধারাবাহিকের প্রচার ঝলক। সেই ঝলক বলছে, বৌ নিয়ে বাড়িতে ফিরেছে নাতি। ধুমধাম করে বিয়ের আচার-অনুষ্ঠান পালিত হচ্ছে। সেখানেই নাতবৌ দেখতে এসেছেন ‘সোনা মা’ ওরফে পরিবারের কর্ত্রী। পাপিয়ার দাবি, বৌমার পাশাপাশি এই চরিত্রও সমান গুরুত্বপূর্ণ। প্রসঙ্গত, ২০১৭-য় এই চ্যানেলেরই ‘গাছকৌটো’ ধারাবাহিকে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন পাপিয়া।
সাধারণত মা, মাসিমা, দিদিমার চরিত্র অনেক অভিনেত্রীই এড়িয়ে চলেন। সেখানে ‘ঠাকুমা’ চরিত্রে প্রত্যাবর্তন পাপিয়ার। কী বলছেন অভিনেত্রী? আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে তাঁর দাবি, ‘‘আমার কোনও চরিত্র নিয়েই সমস্যা নেই। শশী-সুমিত ছাড়াও সুরিন্দর ফিল্মস সহ একাধিক প্রযোজনা সংস্থা আমায় তাঁদের নতুন ধারাবাহিকের জন্য ডেকেছিল। চিত্রনাট্য শুনে এই ধারাবাহিক বেছে নিয়েছি।’’ পাপিয়ার বিপরীতে দেখা যাবে কৌশিক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ‘সোনা মা’-র নাতি-নাতবৌ আদিত্য, তিতিক্ষা।
দত্ত বাড়ি গয়নার কারিগর। শহরের বনেদি পরিবার। সাধারণত, গয়না বিপনিতে ‘সন্স’ শব্দটাই বরাবর চলে এসেছে। এই ধারাবাহিক সেই প্রথা ভেঙে ছেলের বদলে বৌমার প্রাধান্য প্রতিষ্ঠা করছে। দোকানের নাম তাই ‘দত্ত অ্যান্ড বউমা’। সেই বাড়ির অন্দরমহলে সোনা মায়ের কথাই শেষ কথা।
পাপিয়ার কথায়, ‘‘আমার চরিত্র যতটা নরম ততটাই কঠিন। বাড়ির কর্তা ব্যবসা দেখলেও সে দিকে আমার কড়া নজর। পাশাপাশি, নতুন প্রজন্মের সঙ্গেও আমার দারুণ বন্ধুত্ব। কথার ভাঁজে নাতবৌ কতখানি যোগ্য, সেটাও যাচাই করে নিই।’’
বাস্তবে নতুন প্রজন্মের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে কেমন লাগছে তাঁর? অভিনেত্রী উচ্ছ্বসিত, সেটে দারুণ মজা হচ্ছে। তাঁর টিফিন শসা, স্যালাড, টকদই, স্যান্ডউইচ। নাতি-নাতবৌ বিরিয়ানির ভক্ত। ফলে, বিরিয়ানি বনাম শসা-স্যান্ডউইচের জোর টক্কর! পাশাপাশি এও জানিয়ছেন, ‘‘প্রয়োজন মতো ওঁরা আমার থেকে টিপস নিচ্ছেন। সেটা কাজে লাগলে খুশি ওঁরা। আমারও ভাল লাগছে।’’
বাস্তবে পাপিয়ার আরও একটি পরিবার আছে। সেটা রাজনীতি, বিজেপি শিবির। সেই পরিবারের কী হবে? অভিনেত্রীর দাবি, তিনি কোনও দিনই বলেননি, রাজনীতির জন্য অভিনয় ছেড়ে দেবেন। বরং তাঁরা অভিনেতা বলেই বিরোধী শিবির তাঁদের সুযোগ দিয়েছিল। কারণ, পরিচিতির কারণে তাঁরা দ্রুত জনগণের সঙ্গে মিশে যেতে পারবেন। জনগণও তাঁদের ভরসা করবেন।
যাঁরাই নির্বাচনে পরাজিত তাঁরাই ধীরে সুস্থে অভিনয়ে ফিরছেন। নিন্দুকদের প্রশ্ন, জিতলে অভিনয়ের জন্য সময় বের করতে পারতেন পাপিয়া? অভিনেত্রীর সাফ জবাব, ‘‘রাজনীতিতে পরাজয় মানে পরে জয়। আমি রাজনীতি থেকে সরিনি। ধৈর্যের সঙ্গে উপর মহল থেকে যা নির্দেশ আসছে সেটা পালন করছি।’’ পাশাপাশি শাসকদলের প্রতি তাঁর কটাক্ষ, তিনি নতুন। তাই রাজনীতির ‘খেলা’ তাঁর ধরতে সময় লেগেছে। মন দিয়ে তাই সেই ‘খেলা’-ই শিখছেন। সঠিক সময়ে সবাইকে সঠিক জবাব ফিরিয়ে দেবেন, বিশ্বাস পাপিয়ার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy