এই তিনি ‘রানি রাসমণি’র ভূপালচন্দ্র, কিছু ক্ষণ পরেই আবার ‘মিঠাই’-এর সন্দীপ। এক চরিত্র থেকে অন্য চরিত্রে যাওয়ার মাঝে দম ফেলার জো নেই অভিনেতা বিশ্বাবসু বিশ্বাসের। কিন্তু শুধু তো চরিত্রবদল নয়, একই সঙ্গে চেহারা বদলও। মানে, মেকআপ-টেকআপ করে পুরো একটা নতুন লুক! সেই মেকআপে অবশ্য কারও সাহায্যই নিলেন না তিনি। নিজের মেকআপ নিজেই করে ভূপালচন্দ্র থেকে সন্দীপ হয়ে উঠলেন তিনি। কাজও মিটে গেল কম সময়ে। তাঁর এই দক্ষতায় মুগ্ধ বিশ্ব-প্রেমীরা। কোথা থেকে পেলেন মেকআপের এই শিক্ষা? আনন্দবাজার ডিজিটালের কাছে তিনি ফাঁস করলেন সেই রহস্য। তাঁর মেকআপ গুরু আর কেউ নন, ১৮ বছর বয়সি ‘দিদা’। অর্থাৎ রানিমা দিতিপ্রিয়া রায়।
আরও পড়ুন: বেঁচে থাকার জন্য রণবীর নয়, কাকে বাছলেন দীপিকা?
কী বলছেন বিশ্বাবসু? তাঁর কথায়, ‘‘লকডাউনের সময়ে জি বাংলায় তারকাদের নিজেদেরই মেকআপ করতে হয়েছিল। আমি পড়েছিলাম মুশকিলে! এ সব ব্যাপারে কোনও জ্ঞানই ছিল না৷ তখনই দিতিপ্রিয়া ভিডিয়ো কলে আমার ক্লাস নেয়। ধরে ধরে শিখিয়েছিল মেকআপের টুকিটাকি। এই বিষয়ে যা শিখেছি, তা ওই ‘দিদা’র থেকেই।’’
তবে শুধু দিদিমণি আর ছাত্র নয়, দিদা আর নাতির সম্পর্কে বিস্তর খুনসুটিও আছে। বিশ্বাবসু জানালেন, ‘‘আমাদের সম্পর্ক তো ‘লেগ-পুলিং’য়ের। তার প্রমাণ আমাদের ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলেই রয়েছে।’’ ‘আফটার মেকআপ’-এর ছবি আপলোড করেছিলেন বিশ্বাবসু। পাশে কোলাজে ছিলেন তাঁর শিক্ষিকা। মেকআপ শেখানো এবং তা নিয়ে খুনসুটির হরেক প্রমাণ সেখানেও পাওয়া গেল।
আরও পড়ুন: নতুন বছরে মন্দারমণি গেলেন সোহিনী-অনির্বাণ

বিশ্বাবসু এখন নতুন চরিত্র নিয়ে ব্যস্ত। ‘মিঠাই’ পরিবারের ছোট ছেলে সন্দীপের ভূমিকায় অভিনয় করছেন তিনি। ‘দিদা’ দিতিপ্রিয়ার শিক্ষায় শুধু কম সময়ে কাজই মিটছে না তাঁর, তিনি করোনা সংক্রমণের ভয় থেকেও এখন অনেকটা দূরে।