সলমন খান। ছবি-সংগৃহীত।
সলমন খানকে নিশানা করে একের পর এক হামলার ছক কষছে বিষ্ণোই-গ্যাং। সম্প্রতি বলি তারকাকে হত্যার আরও একটি ষড়যন্ত্র ফাঁস করেছে পুলিশ। মুম্বইয়ের পানভেল-এ রয়েছে সলমনের ফার্ম-হাউজ়। সেখানেই অভিনেতার উপর হামলা করার পরিকল্পনা ছিল বিষ্ণোই গ্যাং-এর।
জানা যাচ্ছে, এক নাবালককে এই হত্যার কাজে ব্যবহার করার পরিকল্পনা ছিল। লরেন্স বিষ্ণোইয়ের দলের দুই সদস্যের মধ্যে হওয়া একটি ভিডিয়ো কল খতিয়ে দেখে নভি মুম্বই পুলিশ। সেই কথোপকথন থেকে মুম্বই পুলিশ জানতে পারে, কুখ্যাত গ্যাংস্টার গোল্ডি ব্রার-এর তত্বাবধানে বিভিন্ন জায়গায় হামলার ছক কষছিল বিভিন্ন দল। যেমন মুম্বই, থানে, নভি মুম্বই, পুণে, রায়গড়। এ সব জায়গায় ছড়িয়ে রয়েছে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত আততায়ীরা। এরা অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র চালাতে জানে।
গোল্ডি ব্রারের নির্দেশ অনুযায়ী, এই পরিকল্পিত হামলা পরিচালনার দায়িত্বে ছিল আনমোল বিষ্ণোই ও রোহিতে গোদারা। এরাই ১৮ বছরের নীচে বয়স, এমন এক নাবালককে ব্যবহার করছিল। হামলার পরে কন্যাকুমারী হয়ে শ্রীলঙ্কা পালানোর পরিকল্পনা ছিল এই বিষ্ণোই গ্যাং এর। সলমনের বান্দ্রার বাড়ি, পানভেলের বাড়ি ও তাঁর শুটিং-এর এলাকা — এই সব জায়গা মিলিয়ে প্রায় ৬০-৭০ জনকে মোতায়েন করে রেখেছিল বিষ্ণোই-গ্যাং। অভিনেতার প্রতি দিনের যাতায়াতের উপর নজর রাখছিল তারা।
অভিযোগ, সলমনকে হত্যা করার জন্য পাকিস্তান থেকে শক্তিশালী আগ্নেয়াস্ত্র আনা হয়েছিল। এ তথ্য জানিয়েছে মুম্বই পুলিশ। ২০২২-এ পঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসে ওয়ালার হত্যার সঙ্গেও এর যোগ রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
সিধু মুসে ওয়ালাকে হত্যা করতে যে আগ্নেয়াস্ত্রর ব্যবহার করা হয়েছিল, সেই একই ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে সলমনকে হত্যার ছক কষেছিল বিষ্ণোই-গ্যাং। এমনকি, হত্যার ছক কষার জন্য লরেন্স বিষ্ণোইয়ের দলের কয়েকজন সলমনের পানভেলের বাড়িতে গিয়ে রেইকি পর্যন্ত করে এসেছিল বলে জানা যাচ্ছে।
এপ্রিলে সলমনের বাড়ির বাইরে গুলিবর্ষণ করে বিষ্ণোই-গ্যাংয়ের সদস্যরা। এটি সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ার পরে দু’জনকে গ্রেফতার করে মুম্বই পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy